চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারে পণ্য পরিবহনের ৪৪ বছর পূর্ণ হয়েছে ২২ মার্চ। ১৯৭৭ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ‘এস এস টেনাসিটি’ নামক জাহাজে ছয়টি কনটেইনারে পণ্য আমদানির মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এখন বছরে ২৮ লাখ কনটেইনার পরিবহন হচ্ছে।
কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা দিয়ে কোনো দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিবেচনা করা হয়। কারণ, কনটেইনারে যেমন মূল্যবান রপ্তানি পণ্য পরিবহন হয়, তেমনি শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতিসহ বাণিজ্যিক পণ্যও আমদানি হয়।
কনটেইনারে পণ্য পরিবহন চালু করার মূল উদ্দেশ্য ছিল, বন্দর থেকে সরাসরি কারখানা বা গুদামে পণ্য নিয়ে যাওয়া এবং সেখান থেকে বন্দরে জাহাজে পৌঁছে দেওয়া। বর্তমানে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনারের ৬৫ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর চত্বরে খালাস করা হয়। এই পদ্ধতিতে কনটেইনার খুলে ট্রাকে বোঝাই করে পণ্য নেওয়া হয়। এতে প্রতিদিন বন্দর চত্বরে বিপুলসংখ্যক ট্রাক প্রবেশ করায় কনটেইনার পরিচালন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরের মূল চত্বরেও গাড়ির জট লেগে থাকছে। বাকি ৩৫ শতাংশ কনটেইনার সরাসরি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো ও রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় অবস্থিত কারখানায় নিয়ে খালাস করা হয়। জাহাজ থেকে নামানোর পর সরাসরি বন্দরের বাইরে নেওয়া হয় বলে এসব কনটেইনার ব্যবস্থাপনায় বন্দরের পরিচালন কার্যক্রমে চাপ পড়ে না। তাই বন্দরের বাইরে পণ্য খালাসের হার বাড়ানো গেলে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবহারকারীরা কনটেইনার পরিবহনের সুফল পাবে বলে মনে করা হয়।
কনটেইনারে পণ্য পরিবহনের ‘জনক’ বলা হয় ম্যালকম ম্যাকলিনকে। ১৯৫৬ সালের ২৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে তিনি পণ্য পরিবহনের এই বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন।