ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে বন্দর ইয়ার্ডের অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় জোয়ারের পানি উঠেছিল। জোয়ারের পানিতে কয়েকটি চত্বরে কনটেইনারের নিচের একাংশ পানিতে ডুবে গেছে। তবে ভাটার সময় পানি নেমে যায়। এতে কোনো পণ্য নষ্ট হয়নি।
২৬ মে আজ দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের সময় কর্ণফুলী নদীর বন্দর অংশে জোয়ারের উচ্চতা ছিল ৫ দশমিক ৭০ মিটার। পূর্ণিমার জোয়ারের সময় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানির উচ্চতা বেড়ে মহেশখালের পাশের চত্বরে, নিউমুরিং টার্মিনাল চত্বরের একাংশে পানি ওঠে।
চট্টগ্রাম বন্দরের পর্ষদ সদস্য জাফর আলম বলেন, ‘পূর্ণিমার জোয়ারে পানির উচ্চতা বাড়লেও বন্দরে পানি ওঠে না। তবে এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবের পাশাপাশি একই সময়ে পূর্ণিমার জোয়ার থাকায় বন্দর চত্বরের মহেশখাল এলাকার অংশে পানি ঢুকেছে। কনটেইনারে বাতাসরোধী ব্যবস্থা থাকায় পানি ঢুকে পণ্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা নেই।’
এর আগে বন্দরে অন্তত তিন-চারবার জোয়ারের পানি ওঠার রেকর্ড রয়েছে। জোয়ারের সময় ভারী বর্ষণ বা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরে কনটেইনার রাখার চত্বরে পানি ওঠে। গত বছরের আগস্টে ভারী বর্ষণ ও পূর্ণিমার জোয়ারে বন্দর চত্বরে পানি উঠেছিল। ভাটার সময় কর্ণফুলী নদীর পানির যে উচ্চতা থাকে, সেখান থেকে সাড়ে সাত মিটার উঁচু বন্দরের জেটি।