চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের রাজস্ব আদায়ে ৫০ হাজার ৮০৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার মাইলফলক অর্জন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। কেবল রাজস্ব আদায়ে নয়, নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে বিগত ১৩ বছরের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনেও। করোনা মহামারির মধ্যে নতুন মাইলফলক অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে জড়িতরা। এ মাইলফলক রাজস্ব আদায়ে আরও গতি আনবে বলে মনে করছেন তারা। রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর অবস্থান, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাসে তদারকি বৃদ্ধি, পণ্য খালাসে জটিলতা নিরসনের দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রদান, এআইআর শাখা, অ্যান্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট এবং নিলাম কার্যক্রমকে গতিশীল করা, রাজস্ব নিয়ে ঝুলে থাকা মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ, করোনা মহামারির মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত অফিসসহ নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল ৫৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছিল ৪১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬৪ হাজার ৩০৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৭ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের টার্গেট ছিল ৬৩ হাজার ৬১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এদিন পর্যন্ত আদায় হয়েছে ৫০ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের (২০১৯-২০) ২৭ জুন পর্যন্ত আদায় হয়েছিল ৪০ হাজার ৮৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেই কাস্টম হাউস একদিনের জন্যও বন্ধ ছিল না। রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন। আমদানি-রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, ‘২০০৭-০৮ অর্থবছরে কেবল ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। ২০১০-১১ অর্থবছরে ছিল ২১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ২২ থেকে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here