লাইটার জাহাজ কিনে সাত বছর আগে নিজেদের পণ্য পরিবহন শুরু করেন সিমেন্টসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার উদ্যোক্তারা। লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল থেকে চাহিদামতো ভাড়া না পাওয়া এবং অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে এই খাতে বিনিয়োগ করতে শুরু করেন উদ্যোক্তারা। এভাবে নিজেদের বহর বাড়াতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল থেকে জাহাজ ভাড়া নেওয়ার হার কমে যায়। এ পরিস্থিতিতে এখন বাধ্য হয়ে জাহাজ ভাড়া কমাচ্ছে সংস্থাটি।
আমদানিকারকের প্রতিনিধি হিসেবে পণ্য পরিবহনের ঠিকাদারদের সঙ্গে কয়েক দফা সভা করে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল নতুন ভাড়ার খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত, অর্থাৎ চার মাসের জন্য ভাড়া কমানো হচ্ছে।
ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, ‘করোনা মহামারি বিবেচনায় ভাড়া কমানো হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে আবার পর্যালোচনা করা হবে।’
খসড়া অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে ঢাকা অঞ্চলে নদীপথে পণ্য পরিবহনের ভাড়া টনপ্রতি ৫৪৮ টাকা। এই ভাড়া ১৩৩ টাকা কমিয়ে নতুনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১৫ টাকা। সিমেন্ট ক্লিংকার ছাড়া এই ভাড়ার সঙ্গে ২৬টি নির্ধারিত পণ্যের জন্য বাড়তি ভাড়া দিতে হতো। পণ্যভেদে তা ছিল ২২ থেকে ১৮৫ টাকা। সেটিও গড়ে ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। ঢাকা অঞ্চল ছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে সারা দেশের আরও ৩৩টি স্থানে নদীপথে পণ্য পরিবহনের এই ভাড়া কমানো হয়।