রাশিয়া যদি ইউরোপে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে সেখানে যে ঘাটতি তৈরি হবে সেটি অন্য কোনো দেশের পক্ষে পূরণ করার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। কাতারের জ্বালানি মন্ত্রী সাদ আল-কাবি সম্প্রতি গণমাধ্যমকে এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
আল-কাবি বলেন, ‘ইউরোপে মোট এলএনজির আনুমানিক ৩০-৪০ শতাংশ সরবরাহ করে রাশিয়া। অন্য কোনো দেশের এই পরিমাণ গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা নেই… বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এলএনজির চুক্তিগুলো হয় দীর্ঘমেয়াদি। গন্তব্যও আগে থেকে নির্ধারিত থাকে। ফলে রাশিয়া সরবরাহ বন্ধ করলে যে ঘাটতি তৈরি হবে, তা পুরোপুরি পূরণ করা প্রায় অসম্ভব। বড়জোর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব।’
সোমবার রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানো শুরু করার পর ন্যাটো দেশগুলো এর প্রতিক্রিয়ায় মস্কোর ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করেছে। জার্মানি এরই মধ্যে গ্যাজপ্রমের নর্ড স্ট্রিম টু গ্যাস পাইপলাইনের সার্টিফিকেশন স্থগিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ব্যক্তি, ব্যাংক ও বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, পশ্চিমা দেশগুলোর এমন পদক্ষেপ মুখ বুজে মেনে নেবে না রাশিয়া। বরং পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তারা পশ্চিম ইউরোপে গ্যাস বিক্রি বন্ধ করে দিতে পারে। আর এটি হবে এমন এক পদক্ষেপ, যা এর আগে কখনই নিতে দেখা যায়নি রাশিয়াকে।
রাশিয়া সরবরাহ বন্ধ করে দিলে তীব্র গ্যাস সংকটে পড়তে হবে ইউরোপকে- পশ্চিমা বিশ্লেষকদের এমন আশঙ্কার সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন কাতারের জ্বালানি মন্ত্রীও। যদিও ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোর জন্য এলএনজির বিকল্প উৎস সন্ধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, তবুও উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। কারণ এলএনজি সরবরাহের ক্ষেত্রে রাশিয়ার জায়গা নেওয়া খুব একটা যে সহজ হবে না, কাতারের জ্বালানি মন্ত্রীর কথায় তা আরও স্পষ্ট হলো।