রাশিয়ার বিপক্ষে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নিজেদের বন্দরগুলোয় রুশ জাহাজের প্রবেশ ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সরকার দেশটির সব বন্দর কর্তৃপক্ষকে রাশিয়ার সঙ্গে শিপিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে ব্রিটেনের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) একই উদ্যোগ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডেনমার্ক, স্পেনসহ আরও কয়েকটি দেশ রাশিয়ার সঙ্গে সমুদ্র বাণিজ্য বন্ধের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ট্রান্সপোর্টেশন গ্র্যান্ট শ্যাপস বন্দর কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার জাহাজগুলোর ব্রিটিশ বন্দরে প্রবেশকে আমরা সঠিক মনে করছি না। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো সমুদ্র পরিবহন খাত। তাই রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করতে হলে আমাদের নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
জ্বালানি তেল পরিবহনকারী একটি রুশ জাহাজের স্কটিশ বন্দরে নোঙ্গর করার কথা রয়েছে- গত সপ্তাহে এমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বন্দরগুলোয় রাশিয়ার জাহাজের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি আসতে থাকে।
রাশিয়ার বাণিজ্যিক কার্যক্রমে ইউরোপের অন্যান্য বন্দরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পশ্চিম ইউরোপের বৃহত্তম বন্দর পোর্ট অব রটারডামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাদের ট্রান্সশিপমেন্ট ভলিউমের ১৫ শতাংশে হিস্যা রয়েছে রুশ বাণিজ্যের। এই বন্দর দিয়ে পরিবহন হওয়া মোট অপরিশোধিত তেলের এক-তৃতীয়াংশ, এলএনজির এক-চতুর্থাংশ এবং কয়লা ও তেলজাত পণ্যের এক-পঞ্চমাংশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এছাড়া রাশিয়া রটারডাম দিয়ে ইস্পাত, কপার, অ্যালুমিনিয়াম ও নিকেল রপ্তানি করে। রাশিয়ার সমুদ্র বাণিজ্যে ইউরোপীয় বন্দরগুলোর এমন গুরুত্বপূর্ণ সম্পৃক্ততার কারণে ইইউর ওপর ব্রিটেনের মতো পদক্ষেপ গ্রহণের চাপ জোরালো হচ্ছে।