মাস তিনেক আগে অফশোর এনার্জি খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর প্রথম কোনো রাজ্য হিসেবে এ খাতে বিস্তৃত পরিসরে নীতিগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ভিক্টোরিয়া। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী এক দশকের মধ্যে গভীর সমুদ্র বায়ুবিদ্যুৎ খাতে অন্তত ২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।
‘দ্য ভিক্টোরিয়ান অফশোর উইন্ড পলিসি ডিরেকশনস পেপার’ শীর্ষক এই রূপকল্পে ২০৪০ সাল নাগাদ অফশোর প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৯ গিগাওয়াটে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে। রাজ্য সরকার আশা করছে, এই নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প ২০৩০ সাল নাগাদ ভিক্টোরিয়ার কার্বন নিঃসরণ অর্ধেকে নামিয়ে আনতে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে।
ভিক্টোরিয়া উপকূল জুড়ে বিস্তৃত সমুদ্র এলাকার বায়ুপ্রবাহকে বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে অনুকূল বিবেচনা করা হয়। রাজ্য সরকার বলছে, এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিশাল এক শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব।
রূপকল্প অনুযায়ী, আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। এরপর আরও উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদন সক্ষমতা ২০৩৫ সাল নাগাদ ৪ গিগাওয়াট ও ২০৪০ সাল নাগাদ ৯ গিগাওয়াটে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সাল নাগাদ গভীর সমুদ্র বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১৩ গিগাওয়াটে উন্নীত করার সব সম্ভাবনা রয়েছে ভিক্টোরিয়ার জন্য, যা রাজ্যটিতে বর্তমানে উৎপাদিত অফশোর এনার্জির প্রায় পাঁচগুণ।