সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে মার্কিন কারিগরি সহায়তা চায় বাংলাদেশ

সম্প্রতি ভারতসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের আরও ১২টি দেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) সম্পর্কে ওয়াশিংটন ঢাকাকে বিস্তারিত জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় উচ্চ-পর্যায়ের অর্থনৈতিক পরামর্শ (এইচএলইসি) সভার পর একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) সম্পর্কে ব্রিফ করেছে এবং বাংলাদেশ আইপিইএফ-এর সাপ্লাই চেইনের স্থিতিস্থাপকতা এবং ডি-কার্বনাইজেশন পিলার সম্পর্কে তথ্য প্রদানকে স্বাগত জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে উভয় দেশ সকলের সমৃদ্ধির জন্য একটি অবাধ, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের লক্ষ্যে অভিন্ন মনোভাব ব্যক্ত করেছে।

ঢাকা টেকসই উপায়ে তার সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান করতে এবং পরিবেশগত সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য দেশটির সুনীল অর্থনীতির আরও উন্নয়ন মার্কিন কারিগরি সহায়তা চেয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি এবং মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের আন্ডার সেক্রেটারি ফর ইকোনমিক গ্রোথ, এনার্জি, এবং এনভায়রনমেন্ট জোস ডব্লিউ. ফার্নান্দেজ দিনব্যাপী এই বৈঠকে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টোকিওতে গত ২৩ মে অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামকে নিয়ে আইপিইএফ চালু করেন, যারা একসাথে বিশ্বের জিডিপির ৪০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।

আইপিইএফ একটি নতুন ধারণা যা চারটি মূল স্তম্ভের মাধ্যমে দরকষাকষি ও আলোচনা শুরু করতে চায়। এগুলো হলো; সরবরাহ চেইন স্থিতিস্থাপকতা, যা কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কঠিন চ্যালেঞ্জর সম্মুখীন, ক্লিন এনার্জি ও ডি-কার্বনাইজেশন, দুর্নীতি রোধ এবং ডিজিটাল বাণিজ্য ও উদীয়মান প্রযুক্তি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here