তদন্ত প্রতিবেদন বাস্তবায়নে আমাদের জিরো টলারেন্স থাকবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই ঘটনার জন্য কে দায়ী, তা তদন্ত শেষ না হলে বলা যাবে না। তবে তদন্ত রিপোর্ট বাস্তবায়নে ক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স থাকবে।

সোমবার (৬ জুন) বিকালে বিএম কনটেইনার ডিপো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সীতাকুণ্ডের সাংসদ দিদারুল আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন আসার আগে কিছু বলা যাবে না। তবে এ ধরণের ঘটনা আমাদের বড় ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে এটি আমাদের দেশের ভাবমূর্তির ওপর ধাক্কা। আমরা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে বাণিজ্য করি তা অনেক প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কাজেই আমরা এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। তদন্তে করে যেটা বেরিয়ে আসবে, আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের আহতদের সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন সরকার। যেখানে যত অর্থ লাগবে, বাহির থেকে যে ওষুধ ক্রয় করতে হচ্ছে, সেটাও ডিসি মহোদয় দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোন ধরণের ওষুধ ও খাবার সংকট নেই। চিকিৎসার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবকিছু ব্যবস্থাও করা হবে।

৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে জানিয়ে ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন। মরদেহগুলোর মধ্যে ২২টি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়া জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে খবর পাওয়া সঙ্গে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮২ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২, পার্কভিউ হাসপাতালে ১০, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৪ জন, ঢাকায় শেখ হাসিনার বার্ণ অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেনাবাহিনী উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭ জনের দায়িত্ব নিয়েছে, তার মধ্যে ২ জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here