আর্কটিকের পশ্চিমাঞ্চলে পানিতে অম্লত্ব বৃদ্ধির হার অন্যান্য ওশান বেসিনের তুলনায় চারগুণ বেশি। সম্প্রতি বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সারা বিশ্বে মোট যে পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ হয়, তার এক-তৃতীয়াংশের বেশি শোষণ করে নেয় সাগর-মহাসাগরগুলো। যেহেতু কার্বন নিঃসরণ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, সে কারণে সমুদ্রের পানিতে অম্লত্ব বেড়েই যাচ্ছে। গবেষণাপত্রটির লেখকরা বলেছেন, আর্কটিক অঞ্চলে বরফ গলার হার ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। সেখানে অম্লত্ব বৃদ্ধির সঙ্গে এই বরফ গলার একটি আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে।
গবেষক ও সামুদ্রিক রসায়ন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ওয়েই-জুন-কাই বলেছেন, ‘অম্লত্ব বৃদ্ধির পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেড়ে যাওয়া। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০৫০ সাল নাগাদ গ্রীষ্মকালে আর্কটিক অঞ্চলে বরফ টিকে থাকতে পারবে না। ফলে প্রতি গ্রীষ্মে সাগরের পানির অম্লত্ব আরও বাড়বে।’
এই গবেষণাপত্র তৈরির ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা ১৯৯৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আর্কটিক অঞ্চলের সামুদ্রিক অম্লত্বের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এই অঞ্চলের অম্লত্বের গবেষণায় এই প্রথম এত দীর্ঘ মেয়াদের তথ্য বিশ্লেষণ করা হলো। অবশ্য গবেষকরা তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আর্কটিকের পশ্চিমাঞ্চলকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। কারণ মহাসাগরের পূর্বাঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন এবং সেখানকার তথ্য পাওয়ার সুযোগ খুব বেশি নেই।