চলতি বছর ১৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার ইলিশ রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। পরিমাণে যা ১ হাজার ৩৫২ মেট্রিক টন।
সম্প্রতি সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা জানান। প্রজনন মৌসুম হিসেবে ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি ২২ দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, এক যুগে ইলিশ আহরণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশ আহরণ ছিল ২.৯৮ লাখ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫.৬৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি না পেলে আমরা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারতাম না।
তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন, নদীর স্রোত ও পরিবেশের সঙ্গে ইলিশের উৎপাদন সম্পৃক্ত। বৈরী পরিবেশ, অসাধুভাবে বালু উত্তোলন, নদীভাঙ্গন, নদীর পানি দূষণসহ নানা কারণে মা ইলিশের প্রজনন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বিধায় বর্তমানে ইলিশের বিস্তৃতি অনেক বেড়েছে। এখন ছোট নদীসহ অনেক দুর্লভ জায়গায় ইলিশ পাওয়া যায়।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কেউ মাছ আহরণ করে কী না সেটা বিমানবাহিনীর মাধ্যমে আকাশপথে মনিটর করা হবে। নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। নিষেধাজ্ঞার সময় যারা আইন অমান্য করবে তাদের তাৎক্ষণিক সাজা প্রদানে মোবাইল কোর্টের ব্যবস্থা থাকবে।