এশিয়ায় গত মাসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আমদানি বাড়াচ্ছে এ অঞ্চলের দেশগুলো। তথ্য বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান রিফিনিটিভের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখে যে এশিয়ার দেশগুলো চাহিদা বাড়িয়েছে, তা নয়। বরং আসন্ন শীতকে ঘিরে ইউরোপের দেশগুলোয় তেলের চাহিদা বেড়েছে। এতে সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করে তা মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে তেল আমদানি বাড়িয়েছে এশিয়া।
এশিয়া বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক অঞ্চল। সেপ্টেম্বরে এখানকার দেশগুলো সব মিলিয়ে দৈনিক ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে, আগস্টে যা ছিল দৈনিক ২ কোটি ৪৯ লাখ ব্যারেল। এ হিসাবে আগস্টের তুলনায় গত মাসে আমদানি বেড়েছে দৈনিক ১৬ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল।
চলতি বছরের মধ্যে এটি ছিল তৃতীয় সর্বোচ্চ মাসভিত্তিক আমদানি। এছাড়া মে মাসের পর গত মাসেই এ অঞ্চলে সর্বাধিক জ্বালানি তেল আমদানি হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের মোট আমদানি বৃদ্ধিতে ৮৫ শতাংশ হিস্যা রয়েছে মাত্র দুটি দেশের। এগুলো হলো চীন ও সিঙ্গাপুর। বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক চীন গত মাসে আমদানি করেছে দৈনিক ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের আমদানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ১৫ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল। সম্মিলিতভাবে দুই দেশের আমদানি বেড়েছে দৈনিক ১৪ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল।
গত মাসে এশিয়ার অন্যান্য শীর্ষ আমদানিকারক দেশের আমদানি তুলনামূলক স্থিতিশীল ছিল। এর মধ্যে ভারত দৈনিক ৪১ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল, জাপান দৈনিক ৩১ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল ও দক্ষিণ কোরিয়া দৈনিক ২৭ হাজার ব্যারেলে তেল আমদানি করেছে।