বিশ্বব্যাপী প্রচলিত বাণিজ্য সুবিধা ‘অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর’ (এইও) বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এইও সুবিধা পেতে ৬৩টি প্রতিষ্ঠান এনবিআরের কাছে আবেদন করেছে। এ সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের পর কোনো ধরণের যাছাই ও শুল্কায়ন ছাড়াই সরাসরি কারখানা প্রাঙ্গণে নেওয়ার সুবিধা পেয়ে থাকে।
২০১৯ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এই সুবিধা দিয়েছিল।
৬৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কমপক্ষে ১২টি টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক আমদানি-রপ্তানির খাতের সঙ্গে যুক্ত। এর বাইরে আবুল খায়ের গ্রুপের ১০টি, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (বিএসআরএম) ৩টি; বেক্সিমকো, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, শাহ সিমেন্ট লিমিটেড, এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড, সিনজেন্টা বাংলাদেশ লিমিটেড ও ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের দুটি কোম্পানি এইও সুবিধার জন্য আবেদন করেছে।
এইও সুবিধা পেতে যা লাগবে
পণ্যের কায়িক পরীক্ষা ছাড়াই খালাস করার জন্য এইও সনদপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোকে তাদের কাগজপত্র আগেভাগে পাঠাতে হয়, যাতে পণ্য বন্দরে পৌঁছার আগেই প্রায় সব ধরনের কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলা যায়।
কয়েকটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে এইও সুবিধা দেওয়া হবে। এসবের মধ্যে ভ্যাট ও আয়কর আইনের আওতায় সন্তোষজনক কমপ্লায়েন্স রেকর্ড থাকতে হবে, আবেদনকারীকে আগের তিন বছর অপরাধমুক্ত থাকতে হবে, কোনো রাজস্ব বকেয়া থাকা যাবে না, যেকোনো মামলায় জরিমানার পরিমাণ মোট পণ্য বা সেবামূল্যের ১ শতাংশের বেশি হওয়া যাবে না।
এ ছাড়া আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত মূলধন কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন অন্তত ৫ কোটি টাকা হতে হবে। আর বার্ষিক আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা হতে হবে।