
প্রশিক্ষিত ও দক্ষ নাবিক তৈরিতে আরও ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী রবিবার নারায়ণগঞ্জের সোনাকান্দায় ডেক ও ইঞ্জিন কর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ডিইপিটিসি) নারায়ণগঞ্জের সুবর্ণজয়ন্তী ও সাবেক ক্যাডেটদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রশিক্ষিত ও দক্ষ নাবিক ও কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার জন্য নতুন নতুন ডিইপিটিসি, মেরিন একাডেমি এবং ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট (এনএমআই) গড়ে তুলছেন। কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় আরও দুটি ডিইপিটিসি গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও মাদারীপুরে ডিইপিটিসি রয়েছে। সমুদ্রগামী জাহাজের রেটিং তৈরির জন্য চট্টগ্রামে একটি এনএমআই ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মাদারীপুরে একটি এনএমআই হয়েছে। কুড়িগ্রামে একটি এন এম আই প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে চট্টগামে মেরিন একাডেমী পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কোন সরকার নৌ সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করে নাই। তারা শুধু লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরন করে নতুন চারটি মেরিন একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেছেন। আরো তিনটি মেরিন একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু কাজ শুরু করেছিলেন। দেশ কি কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে থাকবে সেলক্ষ্যে ১৫০টির ওপর আইন তৈরি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর তৈরি সমুদ্র সীমা আইনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সমুদ্রসীমা জয় করেন। সমুদ্র পথ অবারিত করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর হত্যাকারীরা অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কোন স্বপ্ন পূরণ হয়নি, কর্মসংস্থান হয়নি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে দেশকে শুধু সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে নয়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় উপনীত করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের পরিধি বাড়িয়েছেন। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে এবং দক্ষিণাঞ্চলে পায়রা বন্দর নির্মাণ করেছেন। খানপুরে আধুনিক নদীবন্দর নির্মিত হচ্ছে। নৌসেক্টরের উন্নয়নে সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ডিইপিটিসির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আজিজুল হক খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বেল্লাল হোসেন, সুবর্ণজয়ন্তী ও সাবেক ক্যাডেটদের পুনর্মিলনী উদযাপন অনুষ্ঠানের আহবায়ক ফিরোজ কায়সার আজিজ।