ঘূর্ণিঝড় ৩০ বছর ধরেই বিশ্বজুড়ে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আমরা শুনেছি, এমন বড় ঝড়গুলোর ক্ষেত্রেই যে কেবল এটা প্রযোজ্য তা নয়। গবেষণা বলছে, সমুদ্র অববাহিকায় উৎপন্ন দুর্বল ট্রপিক্যাল ঘূর্ণিঝড়গুলোও কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বেশি শক্তিশালী হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, কয়েক দশক আগে যে ঝড়টি কম ক্ষতি করত, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সেটিই এখন আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠছে।
উষ্ণতা সমুদ্র ঝড়ের শক্তিশালী হয়ে ওঠার পেছনে অনেক বেশি শক্তি জুগিয়ে থাকে। তত্ত্ব ও জলবায়ু মডেল বলছে, শক্তিশালী ঝড় আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তবে এর তীব্রতা নতিভুক্ত করা সহজ নয়। ড্রিফটার নামে পরিচিত হাজারো বিচবল আকৃতির ভাসমান ল্যাবের সাহায্যে ঝড়ের সময় সমুদ্রের ঢেউ কাজে লাগিয়ে এর তীব্রতার একটা মাত্রা নিরূপণ করেছেন গবেষকরা।
ট্রপিক্যাল ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে ঘূর্ণায়মান বাতাস ও মেঘ নিয়ে বৃহৎ ঝড়, যা সমুদ্রের উষ্ণ পানির ওপর তৈরি হয়। আটলন্টিকে এটা হারিকেন এবং প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমে টাইফুন নামে পরিচিত। ঝড় কতটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে তা নির্ধারণে ট্রপিক্যাল ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। যদিও শুধু স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এর সঠিক তীব্রতা হিসাব করা কঠিন।
তীব্রতা সাধারণত এক, দুই বা দশ মিনিট স্থায়ী স্থলভাগের ওপরে ১০ মিটার বেগে প্রবাহিত ভূউপরস্থ বাতাসের ভিত্তিতে হিসাব করা হয়। হারিকেনের সময় ঝড়ের স্থানে পৌঁছানো কার্যত অসম্ভব ব্যাপার। কিছু ঝড়ের ক্ষেত্রে এনওএএর আবহাওয়াবিদরা বিশেষ ধরনের এয়ারক্রাফট ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে পাঠিয়ে তীব্রতার উপাত্ত সংগ্রহের জন্য মাপন ডিভাইস ফেলে দেন। কিন্তু এমন অনেক ঝড় আছে, যেগুলোর তীব্রতা এভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে অধিক দূরবর্তী অববাহিকায়।