এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে যেতে পারেন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্থগিত জাপান সফর আগামী এপ্রিলে হতে পারে। ঢাকায় জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করে মার্চ অথবা এপ্রিলে জাপান সফরের প্রস্তাব দেন। তখন প্রধানমন্ত্রী এপ্রিলে সফর করার বিষয়ে সায় দেন। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গত বছরের ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা ছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে ২৪ নভেম্বর সে সফর স্থগিতের কথা জানানো হয়। পরে সুবিধাজনক সময়ে তা আয়োজন করা হবে বলেও তখন জানানো হয়েছিল।

জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণে সহযোগিতা দেয়ার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে মেট্রোরেলের অন্যান্য লাইন নির্মাণেও জাপান তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এশীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে ভালো সুবিধা দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই এদেশের বিভিন্ন খাতের পাশাপাশি কক্সবাজারের সাবরাং পর্যটন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। সেটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতেও জাপানের প্রতি আমন্ত্রণ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাবরাং পর্যটন স্পটটি শুধু বিদেশী পর্যটকদের জন্য উৎসর্গীকৃত।’

বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধার কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের আশপাশে থাকা এ অঞ্চলের ৩৫০ কোটি মানুষের বিশাল বাজারের সুবিধা নিতে পারে।’ ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের জন্যও জাপানকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এ টার্মিনালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব একটি জাপানি কোম্পানিকে দেয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘদিনের সম্পর্ক উল্লেখ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন। আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ সম্পর্ক হবে কৌশলগত সম্পর্ক।’

জাপানের রাষ্ট্রদূত জানান, দুটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি বাংলাদেশে আরো জাপানি বিনিয়োগ আনতে কাজ করবেন তিনি। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাপান দূত বলেন, ‘জাপান দ্বিপক্ষীয় এবং আসিয়ান ফোরামের মাধ্যমে বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here