জাতীয় লজিস্টিকস উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লজিস্টিকস সাপোর্ট সহজীকরণ এবং উন্নয়নের করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশে এটিই প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সভা।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় লজিস্টিকস উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন, বিদ্যমান নীতি কাঠামো সহজীকরণ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে এই কমিটি কাজ করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি এবং লজিস্টিকস খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য বিভিন্ন করণীয় বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।
বাংলাদেশে বর্তমানে লজিস্টিকস পরিষেবার ব্যয় খাতভেদে ৪.৫ শতাংশ থেকে ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা হ্রাস করা গেলে সার্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রপ্তানি বহুমুখিকরণ, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ ছাড়া ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হতে উত্তরণের ফলে একদিকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রাপ্ত বিভিন্ন শুল্ক সহায়তা, ট্রেড রিলেটেড সাপোর্ট মেজারস, স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্ট এবং অনেকগুলো রিডাকশন কমিটমেন্টের আওতা সংকুচিত হবে। এই নেতিবাচক প্রভাব নিরসনে একটি উন্নত ও দক্ষ লজিস্টিকস ব্যবস্থা স্থাপন করার বিষয়ে সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে সভাপতি করে গত ২২ জানুয়ারি এই কমিটি গঠন করা হয়। ২৯ সদস্য বিশিষ্ট এই জাতীয় কমিটি সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে নিয়ে কাজ করে থাকে।
জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষ পণ্য পরিবহন ও সেবা নিশ্চিতকল্পে লজিস্টিকস খাতের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে কমিটি। এর সদস্য হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব।