চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে অনবোর্ড চার্জ প্রতি কনটেইনারে ১৭৫ টাকা বেড়েছে, যা আগামী ছয় মাস পর্যন্ত বহাল থাকবে। এরপর এ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বিকেলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সিদ্ধান্ত দেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
‘অনবোর্ড কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জ’ বলতে জাহাজে কনটেইনার লোড করা, খালাস করা এবং জাহাজের ডেকে বা হোল্ডে স্থানান্তরের জন্য ধার্য ফি বোঝায়। এই চার্জ শিপিং কোম্পানির পক্ষ থেকে ধার্য করা হয় এবং এটি সাধারণত ফ্রেইট বা ভাড়ার একটি অংশ হিসেবে ধরা হয়। এই চার্জের পরিমাণ কনটেইনারের আকার, ধরন এবং লোডিং ও আনলোডিংয়ের জটিলতার ওপর নির্ভর করে।
চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি (জেনারেল কার্গো বার্থ) এলাকায় কনটেইনার জাহাজে অনবোর্ড হ্যান্ডলিং রেট যৌক্তিক হারে বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর না করায় শিপিং এজেন্টদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে।
শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে বার্থ অপারেটরদের এ দ্বন্দ্বের জেরে জিসিবির ছয়টি জেটিতে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কাজে ধীরগতি হচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছিল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে এর আগেও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে বলা হয়, গত ৯ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্যের (হারবার ও মেরিন) সভাপতিত্বে বার্থ অপারেটর ও শিপিং এজেন্টদের অংশগ্রহণে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উভয় পক্ষের প্রস্তাবিত রেটের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকায় বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যমান রেটের সঙ্গে প্রতি কনটেইনারে ২০৫ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বার্থ অপারেটররা তাৎক্ষণিকভাবে ওই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিলেও শিপিং এজেন্টরা সিদ্ধান্ত দেয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর, বার্থ, শিপ হ্যান্ডলিং ও টার্মিনাল অপারেটর, শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে মন্ত্রণালয় বৈঠকের সময় নির্ধারণ করে ৬ মে।
বৈঠকে প্রতি কনটেইনারে ২০৫ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করেন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
বার্থ, শিপ হ্যান্ডলিং ও টার্মিনাল অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে একরাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, উপদেষ্টা ১৭৫ টাকা বাড়তি নিতে বলেছেন।