উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় অংশীদার হতে বিশ্বের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। জাপানের ওসাকার কানসাইয়ে ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫’-এ ‘বাংলাদেশ দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে। ঐতিহ্যের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সমাজের সেতুবন্ধের প্রতীক হিসেবে প্যাভিলিয়নটি কাঠের কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা শূন্য কার্বন ও টেকসই অনুশীলনের উদাহরণ।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশ এখন প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের এক অনন্য উদাহরণ। আর্থ-সামাজিক ব্যাপক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করছি আমরা।’ ক্রমবর্ধমান তরুণ জনসংখ্যা এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেশের মানুষকে সমৃদ্ধির স্তরে উন্নীত করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কৌশলগত কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে এ অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তৈরি পোশাক, চামড়া, ওষুধ, হালকা প্রকৌশল, আইটি, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বলেন, ‘১৯৭২ সাল থেকে জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ আছে। প্রতিনিয়ত এ সম্পর্ক গতিশীল হচ্ছে।’ ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়ায়ও জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বৈঠক করেছেন। ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এর ভেন্যুর জাপান প্যাভিলিয়নে গতকাল এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী, জাপানের ট্রেড পলিসি ব্যুরোর দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াবিষয়ক পরিচালক শিমানো তোশিয়ুকি, ট্রেড পলিসি ব্যুরোর ইকোনমিক পার্টনারশিপ ডিভিশনের পরিচালক উচিনো হিরুতো এবং জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোরারজী দেশাই বর্মণ উপস্থিত ছিলেন।