
চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে অপারেশনাল কার্যক্রমে এবার যুক্ত হয়েছে নতুন ১৫ স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ার। বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনার মুভমেন্ট করার কাজে এসব যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
গত ১০ মে চীনের সাংহাই বন্দর থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে হংকংয়ের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ জে ইয়াং ওই ১৫ স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। জাহাজটি রোববার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। বুধবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি টার্মিনালে বার্থিং করে। এখন ক্যারিয়ারগুলো নামানোর কাজ চলছে। এরপর পরীক্ষামূলক ট্রায়াল শেষে বন্দরের বহরে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় এসব ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করতে ব্যয় হয় ১২৬ কোটি ১০ লাখ ৬৬ হাজার ২২৭ টাকা। ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য এসব ইকুইপমেন্ট ক্রয় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জি-৫ প্যাকেজের লট-২’র আওতায় ৪টি ৪-হাই স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ার সংক্রান্ত ক্রয়প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৩৩ কোটি সাত লাখ ৪২ হাজার ২৯৫ টাকা। একই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জি-৫ প্যাকেজের লট-৩’র আওতায় ৫টি ৪-স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ার সংক্রান্ত ক্রয়প্রস্তাব ছিল। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬২৯ টাকা। এছাড়া একই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জি-৫ প্যাকেজের লট-৪’র আওতায় ৬টি ৪-স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ার সংক্রান্ত ক্রয়প্রস্তাব ছিল। যেখানে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫১ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩০৩ টাকা। এসব লটের আওতায় এবার চীন থেকে ১৫টি স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ার আনা হয়েছে।