চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার জট ক্রমান্বয়ে স্বাভাভিক হচ্ছে। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পুরোদমে চালু হওয়ায় দু্ইদিনের মধ্যে কনটেইনার জট পরিস্থিতি আর থাকবে না বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে ঈদুল আজহার টানা সরকারি ছুটিতে আমদানিকারকরা পণ্য খালাস ঠিকমতো না নেওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৪৫ হাজার কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে। তবে ছুটি শেষে জাহাজ ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং এবং খালাস আগের নিয়মে ফিরে যাচ্ছে। বন্দরকেন্দ্রিক শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোতে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরুর পর বন্দর থেকে আমদানি কনটেইনার খালাস এবং রপ্তানি কনটেইনার প্রবেশের হার বেড়েছে।
২৪ ঘণ্টায় তিন হাজারেরও বেশি আমদানি কনটেইনার বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে। এ গতি অব্যাহত থাকলে সর্বোচ্চ ক্রমান্বয়ে কনটেইনার জট পরিস্থিতি আর থাকবে না। বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউ কনটেইনার রাখার জায়গা আছে। তবে ৪০ হাজার টিইইউর বেশি কনটেইনার ডেলিভারির জন্য বন্দরের ভেতরে অপেক্ষমান থাকলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে প্রভাব পড়ে এবং দ্রুত জট পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ৫ জুন থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়, যা ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন ছিল। এত দীর্ঘ ছুটির কারণে বন্দরে অপারেশনাল কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাবের আশংকা করে আসছিলেন বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা। এ আশংকাকে আমলে নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে সম্ভাব্য অচলাবস্থা মোকাবিলায় ১০টি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ সিদ্ধান্তের আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরে শুধুমাত্র ঈদের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কিন্তু এরপর থেকে আগের মতোই ২৪ ঘণ্টা সচল আছে বন্দর।