চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার টিইইউতে (প্রতি একক ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কনটেইনার)। আগে বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনার রাখার মোট সক্ষমতা ছিল ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউ।
২১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরে কনটেইনার জট কমানো এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজতর করতে কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে কনটেইনার ইয়ার্ড বৃদ্ধির কাজ করছে। ধারণক্ষমতা বাড়ানোর এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি নতুন ইয়ার্ড নির্মাণ ও পুরোনো স্থাপনাগুলো সংস্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পুরোনো নিলাম ইয়ার্ড, গাড়ি রাখার স্থান, ব্যাগেজ শেড ও এক্স-ওয়াই শেডের উন্নয়ন। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই ধারণক্ষমতা আরও বাড়িয়ে প্রায় ৬২ হাজার টিইইউতে উন্নীত করার পরিকল্পনাও রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো সমস্যা ছাড়াই ৪৭-৪৮ হাজার টিইইউ কনটেইনার সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। যদিও যন্ত্রপাতি, ট্রাক ও লরি চলাচলের জন্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ ইয়ার্ড খালি রাখতে হয়। এছাড়া দৈনিক কনটেইনার জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সংখ্যা গড়ে ১০টি থেকে বেড়ে ১২-১৩টিতে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই পণ্য ডেলিভারির সময় কমে এসেছে, যা রপ্তানির লিড টাইম কমিয়ে এনেছে। ইয়ার্ডের ধারণক্ষমতা বাড়ায় রপ্তানিমুখী প্রায় ৬ হাজার টিইইউ কনটেইনারের জন্য প্রি-স্ট্যাকিংয়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। তবে কিছু চ্যালেঞ্জ এখনও রয়ে গেছে। লোকোমোটিভের স্বল্পতার কারণে রেল পরিবহনে বিলম্ব হচ্ছে, যা ঢাকা আইসিডিতে পণ্য পরিবহনে চাপ বাড়িয়েছে। এছাড়া নিলামযোগ্য প্রায় ১০ হাজার কনটেইনার এবং ঢাকা আইসিডিগামী আরও ২ হাজার কনটেইনার এখন ক্লিয়ারেন্সের অপেক্ষায় রয়েছে।
বন্দরের কার্যক্রম স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে জাহাজগুলোর টার্নঅ্যারাউন্ড টাইম (বন্দরে পৌঁছানো থেকে ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত গড় সময়) কমে ২.৫৮ দিনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বহির্নোঙরে অপেক্ষার সময় সর্বোচ্চ দুই দিন পর্যন্তে নেমে এসেছে।