দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি স্টেকহোল্ডারদের জন্য স্বয়ংক্রিয় ও রিয়েল টাইম পোর্ট পেমেন্ট ডিজিটাল সিস্টেম চালু করেছে।
এই উপলক্ষে এইচএসবিসি এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, শিল্পখাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, গ্লোবাল পোর্ট অপারেটর, শিপিং ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, টেকনোলজি পার্টনার এবং এইচএসবিসির কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এইচএসবিসির নিরাপদ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস(এপিআই) ভ্যালিডেশন ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নিরবচ্ছিন্ন আর্থিক লেনদেন সম্পাদনের লক্ষ্যে এইচএসবিসি এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই ডিজিটাল সেবার সূচনা করেছে।
এইচএসবিসির এই ক্যাশলেস ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে উপস্থিত না হয়েও ব্যবহারকারীরা তাদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। যা বন্দর ব্যবহারকারীদের পেমেন্ট প্রক্রিয়াসহ যাবতীয় বিষয়ে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, আগামী ৫ বছরে আমাদের বন্দরের মাধ্যমে অতিরিক্ত ১৫ লক্ষ টিইইউ পণ্য পরিবহন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, সমুদ্র বন্দর যেন আমাদের বাণিজ্য ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে পারে, সেজন্য দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রসেসিং সময় কমিয়ে, পেমেন্ট প্রক্রিয়া সহজতর করার মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে সাহায্য করছে। বিনিয়োগে আকর্ষণ বাড়ানো ও আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হলে আমাদের অবশ্যই বন্দর ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে হবে।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের মার্কেটস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ সার্ভিসেস প্রধান বাশার এম তারেক বলেন, এই অংশীদারিত্ব এইচএসবিসি বাংলাদেশের ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সমাধান প্রদানের অংশ যা দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাণিজ্য প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত, নিরাপদ ও কার্যকর করতে সহায়তা করবে।