মানবজমিনে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

গত ১৩ই নভেম্বর দৈনিক মানবজমিনে ‘বিদেশিদের হাতে যাচ্ছে পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল’ শীর্ষক সংবাদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, একটি Consulting Firm এর মাধ্যমে EOI পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রাথমিকভাবে Pre-Qualification, পরবর্তীতে PPR অনুযায়ী কমিটি গঠন করে Technical Evaluation এবং Financial Evaluation সম্পন্নকরণপূর্বক যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। PPR অনুযায়ী মূল্যায়ন কমিটিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ছাড়াও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া Consulting প্রতিষ্ঠানের (IIFC) দুইজন পরামর্শক সার্বক্ষণিকভাবে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন।

প্রকৃত সত্য হচ্ছে, পুরো প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে, উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে EOI পদ্ধতির মাধ্যমে এবং PPR অনুসরণ করে একটি মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন সম্পন্ন করে টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। উক্ত টার্মিনালে EOI পদ্ধতিতে টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগের লক্ষ্যে পরামর্শক সেবা প্রদানের জন্য গত ২৫/০৩/২০২৪ইং তারিখে IIFC এর সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হয়। Invitation for EOI এর বিপরীতে Pre-qualification ডকুমেন্ট ক্রয়কারী ০৬ (ছয়)টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রি-কোয়ালিফিকেশন দাখিলের নির্ধারিত তারিখে অর্থাৎ ০৫/০৯/২০২৪ ইং তারিখে ৩ (তিন)টি প্রতিষ্ঠান প্রি-কোয়ালিফিকেশন প্রস্তাব দাখিল করে। IIFC এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে দাখিলকৃত প্রি-কোয়ালিফিকেশন প্রস্তাব মূল্যায়ন করে মূল্যায়ন কমিটি ৩টি প্রতিষ্ঠানেরই প্রি-কোয়ালিফিকেশন প্রস্তাব Substantially Responsive মর্মে গণ্য করে।

পরবর্তীতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান IIFC দ্বিতীয় পর্যায়ে RFP ডকুমেন্ট দাখিল করে। প্রি-কোয়ালিফাইড বিবেচিত ৩টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে RFP ডকুমেন্ট প্রেরণ করা হয়, তৎমধ্যে ২টি প্রতিষ্ঠান RFP দাখিল করে। মূল্যায়ন কমিটি ও IIFC এর প্রতিনিধিগণ বিস্তারিত যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দাখিলকৃত RFP এর মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে রেসপনসিভ বিডার নির্বাচিত করেন। ব্যাখ্যায় বলা হয়, সর্বশেষ গত ০৯/১১/২০২৫ তারিখে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান IIFC এর তত্ত্বাবধানে পিপিআর বিধিমালা অনুসরণক্রমে মূল্যায়ন কমিটি দরপত্রের কার্যক্রম সম্পন্ন করে এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ডের অনুমোদনক্রমে টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে প্রায় ১ (এক) বছর ৮ (আট) মাস সময় লেগে যায়- তাই বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে তাড়াহুড়া করে কাজ দেয়ার বিষয়টি প্রতিবেদকের মনগড়া ও কল্পনাপ্রসূত।

প্রতিবেদনে উল্লেখিত অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে দুইটি কোম্পানিকে বাদ দেয়ার বিষয়টি একেবারেই মিথ্যা। Pre-qualification এ তিনটি প্রতিষ্ঠান কৃতকার্য হয় এবং ওই তিনটি প্রতিষ্ঠানকেই Request for Proposal (RFP) ডকুমেন্ট প্রেরণ করা হয়। তার মধ্যে দুইটি প্রতিষ্ঠান Request for Proposal (RFP) দাখিল করে। ১ (এক)টি প্রতিষ্ঠান নিজেরাই RFP দাখিল করা থেকে বিরত থাকে। দাখিল করা দুইটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য দুইটি দলিল দাখিল করেনি। ফলে মূল্যায়ন কমিটি এবং Consulting Firm উক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে সর্বসম্মতিক্রমে Non-Responsive হিসাবে বিবেচনা করে। এতেই প্রমাণিত হয় যে, দুইটি কোম্পানিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়ে একটি কোম্পানিকে কাজ দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here