ক্রু পরিবর্তন ও শোর লিভকে কেন্দ্র করে তৈরি অনিশ্চয়তার কারণে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে নাবিকদের প্রসন্নতার সূচক উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। মিশন টু সিফেরারের সর্বশেষ একটি জরিপ প্রতিবেদনে এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্বিতীয় প্রান্তিকে সিফেরার হ্যাপিনেস ইনডেক্স করোনা মহামারি শুরুর পর সবচেয়ে সর্বনিম্নে অবস্থান করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রায় সব ক্যাটাগরিতেই সূচকের মান কমেছে। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে, ক্রুদের ভ্রমণ-সংক্রান্ত জটিলতা, জাহাজ ত্যাগ নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং শোর লিভের ক্ষেত্রে প্রায় সম্পূর্ণ ও বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা নাবিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। দুঃখের বিষয়, জাহাজে জীবনযাত্রার প্রায় সব ক্ষেত্রেই নেতিবাচক পরিস্থিতি বাড়ছে। শিগগির গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনতে না পারলে নাবিকদের মানসিক অবসাদ দূর করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
সাধারণ প্রসন্নতা, কাজের চাপ, প্রশিক্ষণ, সামাজিক জীবন, শোর লিভ, মজুরি, খাদ্য, স্বাস্থ্য, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ, ওয়েলফেয়ার ফ্যাসিলিটি ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে নাবিকদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে জরিপ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। আর প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই উত্তরদাতারা নেতিবাচক পরিস্থিতির কথা বলেছেন।
এদিকে বাল্টিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম কাউন্সিলের (বিমকো) সর্বশেষ সিফেরার ওয়ার্কফোর্স রিপোর্টে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ২০২৬ সাল নাগাদ শিপিং খাতে অফিসারের মারাত্মক সংকট দেখা দিতে পারে। আর এই সংকট এড়াতে হলে শিল্প খাতটিতে এখনই প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের মাত্রা বাড়াতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিপিং খাতে এসটিসিডব্লিউ সার্টিফায়েড অফিসারের চাহিদা বাড়ছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যিক জাহাজের বহর পরিচালনার জন্য ২০২৬ সাল নাগাদ অতিরিক্ত প্রায় ৯০ হাজার অফিসারের প্রয়োজন হবে।