বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে পানি সরবরাহে মহাপরিকল্পনা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলা এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় বিস্তৃত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে দৈনিক পানির চাহিদা প্রক্ষেপণ করা হয়েছে প্রায় ১০১ কোটি ৩০ লাখ লিটার। এ পরিমাণ পানির চাহিদা মেটাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের পানির সরবরাহ বিষয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার নিয়ে বুধবার (১০ নভেম্বর) আয়োজিত এক কনসালটেশন সভায় এ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বেজার সঙ্গে কাজ করছে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম), ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিপিএইচই), চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়ারেজ অথরিটি (চট্টগ্রাম ওয়াসা), ওয়াটার রিসোর্স প্ল্যানিং অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএআরপিও)।

এরই মধ্যে আইডব্লিউএম সহযোগিতায় একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ শেষ করেছে বেজা। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিনিয়োগকারীদের বর্তমান চাহিদা বিবেচনা করে বেজা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ৪০টি গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে দৈনিক ২ কোটি লিটার পানি উত্তোলন করা এবং ফেনীর মুহুরী রিজার্ভার থেকে দৈনিক ৫ কোটি লিটার সারফেস ওয়াটার উত্তোলন। উল্লেখ্য, প্রাথমিক পর্যায়ে মুহুরী রিজার্ভার থেকে দৈনিক পাঁচ কোটি লিটার সারফেস ওয়াটার সরবরাহে বেজা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পানি সরবরাহ পরিকল্পনার আওতায় (২০২৬-৪০) চাঁদপুরসংলগ্ন মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি উত্তোলনের বিষয়ে ডিপিএইচই কর্তৃক একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সম্ভাব্যতা সশীক্ষা শেষে খুব দ্রুত এক হাজার এমএলডি পানি সরবরাহে প্রকল্প গ্রহণ করবে। ছোট ফেনী নদী থেকে দৈনিক চার কোটি লিটার সারফেস ওয়াটার উত্তোলনের বিষয়ে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে দৈনিক তিন কোটি লিটার পানি ডিস্যালিনেশন প্লান্টের মাধ্যমে সরবরাহের পরিকল্পনা আছে। এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। রেইনওয়াটার হারভেস্টিং অ্যান্ড রিজার্ভার্স থেকে আগামীতে দৈনিক প্রায় ৫০ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা হবে।

এছাড়া পরিকল্পনার আওতায় সিইটিপির পানি পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে একটি সিইটিপি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যেখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ লাখ লিটার পানি পাওয়া যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here