
সরকার বাণিজ্যিক কূটনীতির উপর জোর দিচ্ছে, এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রতিটি দূতাবাসকে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার (১ জানুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনকালে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ঢাকার পূর্বাচলের মেলা প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
এতদিন ধরে বাণিজ্যমেলা শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত হয়ে এলেও এবার ২৬তম আসর বসল পূর্বাচলে রাজউকের নতুন শহরে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে ২৩টি দেশের বিষয়ে আমরা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করেছি। সকলের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে আরও সহজভাবে করতে পারি অর্থাৎ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের যে মর্যাদা পেয়েছি, সেটাকে ধরে রেখে যদি কোনো চ্যালেঞ্জ আসে, সেটাও যেন আমরা মোকাবেলা করতে পারি সেই বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও দেশের রপ্তানি বাড়ার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ৪৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। সার্বিক রপ্তানি বেড়েছে। কিন্তু সামনের দিকে আমাদের আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সময় কিন্তু এখন আমাদের। সময় বাংলাদেশের। এই কথাটা মনে রাখতে হবে।
পণ্যভিত্তিক রপ্তানিকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতিবছর একটি পণকে বর্ষপণ্য অর্থাৎ ‘প্রডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করা হয়। ২০২২ সালের জন্য আইসিটি পণ্য সেবাকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার প্রান্তে মূল অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান উপস্থিত ছিলেন।