মাথার ওপর ঝুলছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খড়গ। এই অবস্থায় গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে ক্যারিবীয় দ্বীপ বাহামার পথ ধরেছিল ক্রিস্টাল ক্রুজেসের দুটি প্রমোদতরী। কিন্তু সেখানে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। বাহামা কর্তৃপক্ষের হাতে ঠিকই গ্রেপ্তার হতে হলো ক্রিস্টাল সেরেনিটি ও ক্রিস্টাল সিম্ফোনিকে।
সম্প্রতি জ্বালানি সরবরাহকারী একটি কোম্পানি মার্কিন আদালতে অভিযোগ করে যে ক্রিস্টাল ক্রুজেসের এই দুটি প্রমোদতরীর কাছে তাদের প্রায় ৫০ লাখ ডলারের বিল পাওনা রয়েছে। এছাড়া একই অপারেটরের আরও একটি জাহাজের বিলও অপরিশোধিত রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। তাদের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ামির আদালত যাত্রা শেষে ফ্লোরিডা ফেরামাত্রই সেরেনিটি ও সিম্ফোনিকে গ্রেপ্তারের রায় দেন।
এই পরোয়ানা জারির পর প্রথমে ক্রিস্টাল সিম্ফোনি যাত্রা শেষ করে ফ্লোরিডার পরিবর্তে বাহামার সর্বপশ্চিমের দ্বীপপুঞ্জ বিমিনিতে নোঙ্গর করে। তার রানিং মেট ক্রিস্টাল সেরেনিটি সেখানে পৌঁছায় ঠিক এক সপ্তাহ পর। এর আগে জাহাজটি ক্যারিবীয় দ্বীপ আরুবায় নোঙ্গর করতে চাইলেও সেখানকার কর্মকর্তারা তাদের ফিরিয়ে দেন।
উভয় জাহাজের ক্রু সদস্যরা ক্রু সেন্টারকে মেসেজ করে জানান যে, তারা জ্বালানিসহ অন্যান্য রসদের ঘাটতিতে রয়েছেন। দুটি জাহাজই ৩ ফেব্রুয়ারি বিমিনি থেকে বাহামার উত্তরাঞ্চলের পথে যাত্রা করে। এ সময় তাদের ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। জাহাজ দুটি ৪ ফেব্রুয়ারি গ্র্যান্ড বাহামা আইল্যান্ডের ফ্রিপোর্টে পৌঁছায়। এরপর সেখানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রমোদতরী দুটিকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, ক্রিস্টাল সিম্ফোনি ও ক্রিস্টাল সেরেনিটি উভয় জাহাজই বাহামায় নিবন্ধিত।