১০৮ বিলাসবহুল গাড়ি আবারও নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস

পর্যটকদের কারনেট সুবিধায় আনা বিলাসবহুল পুরনো গাড়িগুলো আবারও নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। ১০৮টি গাড়ি বিক্রিতে সাধারণ ও অনলাইন দুই পদ্ধতিতেই নিলামের আয়োজন করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ২৯ মে ক্যাটালগ কিনে ১২ থেকে ১৩ জুন জমা দেওয়া যাবে। কেনার আগে গাড়িগুলো বন্দরের ভেতর গিয়ে সরেজমিনে দেখার সুযোগও দিচ্ছে কাস্টমস।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ডের এই গাড়িগুলো ১০ বছর ধরে পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের নিলাম শেডে। এ পর্যন্ত নিলামে উঠেছে অন্তত আটবার, কিন্তু গাড়ি বিক্রি হয়েছে মাত্র তিনটি। এসব গাড়ি নিলামে বিক্রি না হওয়ার প্রধান দুটি কারণ ছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কমার্শিয়াল পারমিট বা সিপি না পাওয়া এবং রিজার্ভ ভ্যালু বা সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস জানিয়েছে, পর্যটন সুবিধায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিদেশ থেকে আসার সময় এসব গাড়ি ‘কারনেট দ্য প্যাসেজ’ সুবিধায় আনতেন। কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়ার সময় আর ফেরত না নিয়ে দেশেই গাড়িগুলো অবৈধভাবে বিক্রি করে দিতেন। আর কারনেট সুবিধায় আনা গাড়ির অপব্যবহার রোধে কাস্টমসের কড়াকড়ি আরোপের পর থেকেই এসব গাড়ি বন্দর থেকে খালাস নেওয়া বন্ধ করেন বিদেশি পর্যটক বা প্রবাসীরা। ২০১১ সালের পর থেকেই মূলত গাড়িগুলো বন্দর শেডে পড়ে আছে। আর সবগুলো গাড়িই বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডের এবং দামি। যদিও সেসব গাড়ি দীর্ঘদিন কনটেইনারের ভেতর এবং বাইরে পড়ে থাকার কারণে কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে।

গাড়িগুলোর মধ্যে ২৬টি মিত্সুবিশি, ২৫টি মার্সিডিস বেঞ্জ, ২৫টি বিএমডাব্লিউ, সাতটি ল্যান্ড রোভার, সাতটি ল্যান্ড ক্রুজার, ছয়টি লেক্সাস, পাঁচটি ফোর্ড, তিনটি জাগুয়ার, একটি দাইয়ু, একটি হোন্ডা ও একটি সিআরভি অন্যতম। এসব গাড়ির মধ্যে বেশির ভাগই ১০ বছরের পুরনো; কিন্তু চার বছরের বেশি পুরনো গাড়ি দেশে আমদানি নিষিদ্ধ। তাই এসব গাড়ি নিলামে তুললেও বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন নেওয়া সম্ভব হতো না। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমোদন বা সিপি নিয়েই এসব গাড়ি বিআরটিএ থেকে নিবন্ধন নেওয়া সম্ভব হবে। ২০২১ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here