
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার এবং বাংলাদেশে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (ডিএফসি) থেকে তহবিল দেওয়ার জন্য ওয়াশিংটনকে অনুরোধ এবং একই সাথে বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি স্থানান্তর অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সফররত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন থেকে ইস্যু করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২ জুন) ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত দুই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় উচ্চ-স্তরের অর্থনৈতিক পরামর্শ (এইচএলইসি) সভায় বাংলাদেশ এই অনুরোধ করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এমপি এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ দিনব্যাপী বৈঠকে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে উপদেষ্টা রহমান দুই দেশের মধ্যে বর্ধিত অর্থনৈতিক সহযোগিতার মূল উপাদান হিসেবে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ওপর জোর দেন। তিনি মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য ডেডিকেটেড ইকোনমিক জোন স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্বের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করতে মার্কিন আইটি কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করেন।
আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কোভিড-১৯ টিকাদানে অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করেন।
উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সামুদ্রিক ও নীল অর্থনীতি, কোভিড-১৯, পর্যটন ও আতিথেয়তা এবং বেসামরিক বিমান চলাচলের বিষয়ে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছে। বাংলাদেশ ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি বিমানের ফ্লাইট পুনরায় চালু করা সরকারের জন্য একটি অগ্রাধিকার উল্লেখ করে এ বিষয়ে আশু পদক্ষেপের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
উভয় পক্ষ ২০২৩ সালে ঢাকায় পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে তৃতীয় দফা আলোচনার আয়োজনে সম্মত হয়েছে।