ফল ও সবজি রপ্তানিতে বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসের প্রতিযোগী হতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এর আগে নেদারল্যান্ডসের পিপলস পার্টি ফর ফ্রিডাম অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (ভিভিডি) এমপি ফিম ভ্যান স্ট্রিয়েনের নেতৃত্বাধীন প্রতনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নেদারল্যান্ডস সহায়তা করে আসছে। বাংলাদেশ বন্যায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বন্যা ও উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণে নেদারল্যান্ডস আমাদের অনেক সহায়তা করছে। বিভিন্ন প্রকল্পে তাদের বিশেষজ্ঞরা আমাদের সহায়তা করেছেন। যে কারণে বাংলাদেশের বন্যা অনেক নিয়ন্ত্রিত। আগের মতো বন্যা হয় না।’
ডেল্টা প্ল্যান তৈরিতে ডাচ বিশেষজ্ঞদের সহায়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা ডেলটা প্ল্যান বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা। এ ছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার পরিকল্পনায়ও আমরা ডেলটা প্ল্যান অনুসরণ করব। তাতে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা লাগবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ দেশ নেদারল্যান্ডস। তারাই সবচেয়ে বেশি সবজি রপ্তানি করছে। আমরা বাংলাদেশের ফল ও সবজি রপ্তানির চেষ্টা করছি। আমরা নেদারল্যান্ডসের প্রতিযোগী হতে চাই। গ্রিনহাউসে তারা খুবই সফল। অনেক ফসল তারা গ্রিনহাউসে উৎপাদন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস সরকার আমাদের সহায়তা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আনারস ও কলার মতো বিভিন্ন ফল ও সবজি বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে তারা তা বিদেশে রপ্তানি করে। বাংলাদেশ থেকেও যদি তারা আম-আনারস নিয়ে তা ইউরোপের বাজারে বিক্রি করে, তাহলে আমাদের জন্য সেটি একটি ভালো বিষয় হবে। কারণ, ইউরোপের বাজারে তো আমরা ঢুকতে পারি না। দুটি কারণে আমরা ইউরোপের বাজারে ঢুকতে পারছি না। প্রথমটি হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা।