২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে মোট ৬৫টি সশস্ত্র ডাকাতি ও জলদস্যু হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের বিশেষায়িত বিভাগ ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরোর (আইএমবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠেছে এসেছে।
আইএমবি জানায়, চলতি বছর গিনি উপসাগর ও সিঙ্গাপুর প্রণালীতে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বছরের প্রথমার্ধে গিনি উপসাগরে ১২টি সশস্ত্র ডাকাতি ও দুইটি জলদস্যু হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর পাঁচটি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ও নয়টি দ্বিতীয় প্রান্তিকে ঘটেছে। অন্যদিকে বছরের প্রথমার্ধে সিঙ্গাপুর প্রণালীতে গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি হামলা চালানো হয়েছে। যার অন্তত আটটিতে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া পেরুর কাইয়্যাও বাণিজ্যিক বন্দরও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী ডাকাতি ও জলদস্যু হামলার ৩৩ শতাংশ পেরুর এই অঞ্চল ও দক্ষিণ আমেরিকায় সংঘটিত হয়েছে।
বছরের প্রথমার্ধে যেসব হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে তার ৫৭টিতে আক্রমণকারীরা জাহাজে উঠে এসে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া আক্রমণকারীরা চারটি জাহাজে হামলার চেষ্টা চালায়, দুটি জাহাজ হাইজ্যাক করে ও দুটি জাহাজ লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
এসব হামলায় জাহাজের ক্রুদের ওপর সহিংসতার চালানো হয়। আক্রমণকারীরা ৩৬ জন ক্রুকে জিম্মি করেন ও তিনজনকে হুমকি দেন। এছাড়া ১৪ জন ক্রু অপহৃত, দুজন ক্রু আহত ও একজন ক্রু আক্রমণকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হন।
গিনি উপসাগরে ক্রুদের জিম্মিদশা ও অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন আইএমবির পরিচালক মাইকেল হাওলেট। ডাকাতি ও জলদস্যু হামলা ঠেকাতে এই অঞ্চলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নৌবাহিনীর টহল বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।