তুলা আমদানির ওপর থেকে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই সঙ্গে সিনথেটিক স্ট্যাপল ফাইবার, পলিপ্রোপাইলিন, পলিয়েস্টার, নাইলন ও অ্যাক্রেলিকসহ ১৪ ধরনের তন্তু আমদানিতে এআইটি আগের মতো শূন্য করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এনবিআরের এক প্রজ্ঞাপনে তুলাসহ ১৫ ধরনের তন্তুর ওপর থেকে এআইটি প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়েছে। চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে এসব পণ্য আমদানিতে ২ শতাংশ এআইটি আরোপ করা হয়।
তুলাসহ অন্যান্য তন্তুর আমদানির ওপর ২ শতাংশ এআইটি আরোপের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তা প্রত্যাহারের দাবিতে সোচ্চার হন বস্ত্রকলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) নেতারা। তাঁরা বলেন, অগ্রিম আয়কর আরোপ সরকারের রাজস্ব সংগ্রহে সুবিধাজনক মনে হলেও সিদ্ধান্তটি আত্মঘাতী। এতে বস্ত্র খাত বড় ধরনের সংকটে পড়বে। চলতি মূলধন সংকুচিত হতে হতে একপর্যায়ে অনেক বস্ত্রকল বন্ধ হয়ে যাবে।
বিটিএমএর তথ্যানুযায়ী, সংগঠনটির আওতায় ১ হাজার ৮৫৮টি সুতাকল, উইভিং ও ডাইং–প্রিন্টং–ফিনিশিং বস্ত্রকল রয়েছে। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার। দেশের শীর্ষ রপ্তানি আয়ের খাত তৈরি পোশাকশিল্পের সুতা ও কাপড়ের ৭০ শতাংশের জোগানদাতা হচ্ছে দেশীয় বস্ত্র খাত। ফলে বস্ত্র খাতের যেকোনো সমস্যা তৈরি পোশাকশিল্পেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তুলাসহ অন্যান্য তন্তু আমদানিতে এআইটি প্রত্যাহারের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিটিএমইএর নেতারা। তাঁরা এআইটি আরোপের নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরেন। সেই বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে এআইটি প্রত্যাহারের আশ্বাস দেওয়া হয়।