Home Blog

শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ার‌ম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর কাছ থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর মধ্যে শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়ে আসছে প্রতিবছর। চলতি অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কারের সংস্থা প্রধান ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল । আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বন্দর চেয়ারম্যানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এম খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এমপি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অধীনস্থ সকল দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ।  

রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল তাঁর গৌরবময় কর্মজীবনের বিভিন্ন স্তরে কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্বাহী শাখায় ১ জানুয়ারি ১৯৮৮ সালে কমিশন লাভ করেন। কমিশন পাওয়ার পর তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। একজন অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার স্পেশালিস্ট অফিসার হিসেবে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অপরিসীম অবদান রেখেছেন। তিনি কানাডা থেকে ওয়ার গেম সিমুলেশন কোর্স, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ঢাকা থেকে নেভাল স্টাফ কোর্সে এবং ভারতের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ থেকে নেভাল স্টাফ কোর্সে অংশগ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন পেশাদার কর্মকর্তা হিসেবে তিনি বিভিন্ন স্তরে স্টাফ এবং নির্দেশনামূলক দায়িত্ব পালন করেছেন। নৌসদর দপ্তর এবং এরিয়া সদর দপ্তরের স্টাফ অফিসার, পরিচালক, জুনিয়র স্টাফ কোর্স, ওয়ারফেয়ার ইন্সট্রাক্টর ইন স্কুল অফ মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিকস, ডাইরেক্টিং স্টাফ এবং সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর (নৌ), ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুদানে জাতিসংঘ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সেবায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি নৌবাহিনী থেকে ওএসপি ও এনইউপি পদক লাভ করেন।

রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এলিট ফোর্স র‍্যাবে সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর অসামান্য কর্মক্ষমতার জন্য তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত হন। রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ডিজিএফআইয়ের কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ব্যুরো (আইএবি) এবং নৌসদর দপ্তরের পরিচালক সাবমেরিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে যোগ দিয়ে বন্দরের চ্যানেল ড্রেজিংসহ উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। সর্বশেষ রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল গত ২ মে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়ে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

বিডার অনুমতি ছাড়া বাকিতে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানির সুযোগ

এখন থেকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদন ছাড়াই সরাসরি তিন বছরের জন্য বিদেশি ঋণ নিয়ে প্রয়োজনীয় মূলধনি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানি করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন এ নিয়মে শিল্প খাতের আমদানিপ্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিডার বৈদেশিক ঋণ কমিটির এক সভার সিদ্ধান্তের আলোকেই শিল্পবান্ধব এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এত দিন শিল্প উদ্যোক্তারা শুধু নতুন যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণ–সুবিধা পেতেন। নতুন নিয়মে জাহাজ, সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের মূলধনি পণ্য তিন বছর মেয়াদে কিস্তিতে আমদানি করা যাবে। বিদেশি সরবরাহকারী বা ব্যাংক থেকে এ ঋণ–সুবিধা নেওয়া যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ সুবিধার ফলে শিল্প উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন। দীর্ঘমেয়াদি বাকিতে তাঁরা মূলধনি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানি করতে পারবেন, যা তাঁদের ব্যবসা সহজীকরণে সহায়ক হবে।

প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি

প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, অতি উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে একশ্রেণির প্রতারক চক্র ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে যাচ্ছে এবং ভুয়া মৌখিক পরীক্ষার সিডিউল দিয়ে সাধারণ জনগণকে প্রতারিত করছে, যা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ। সম্প্রতি এমন বেশ কিছু প্রচার-প্রচারণা ও ভুয়া বিজ্ঞপ্তি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ হতে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে একাধিকবার স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও এমন ঘটনা বেড়েই চলেছে।

ইতোপূর্বেও একই বিষয়ে সতর্ক করে চলতি বছরের ১২ মে ও ২৪ জুন পত্রিকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়েছিল।

বিজ্ঞপিতেত অবগতির জন্য জানানো হয়, বন্দরের ওয়েবসাইট, জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ব্যতীত অন্যকোথাও বন্দরের কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়না। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির যোগ্যতানুযায়ী প্রার্থীদের দরখাস্ত দাখিলের পর যাচাই বাছাই শেষে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীগণের পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে বিধিমোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে। বন্দরের কোন চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বা ভুয়া নিয়োগপত্র ইস্যু করে বা পরীক্ষার ভুয়া শিডিউল দিয়ে কেউ অর্থ আদায়ের অপচেষ্টা করলে তাকে বা তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট সোপর্দ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এরূপ প্রতারকের মাধ্যমে কেউ অর্থ আদান-প্রদান বা অন্যকোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে চবক তার দায়ভার গ্রহণ করবে না।

চট্টগ্রাম বন্দর ও খুলনা শিপইয়ার্ডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের (খুশিলি) কারখানায় তৈরি হাইটেক রাবার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে ব্যবহারের জন্য সরবরাহের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের বোর্ডরুমে এ স্মারক সই হয়।

বন্দরের পক্ষে সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওছার রশিদ এবং খুলনা শিপইয়ার্ডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর শহিদুল্লাহ আল ফারুক সই করেন।

বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলনা শিপইয়ার্ড তাদের রাবার কারখানায় উৎপাদিত হাইটেক রাবার আইটেমগুলোর মধ্যে যেগুলো বন্দরের বিভিন্ন বিভাগের অধীনে বিবিধ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত আইন ও বিধির আলোকে সেসব পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর আহমেদ আমিন আব্দুল্লাহসহ বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

টানা তিন মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার বিকেল সোয়া চারটায় ভারত থেকে ৩০ টন পেঁয়াজবোঝাই একটি ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

হিলি স্থলবন্দরের মেসার্স রকি ট্রেডার্স নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করে। এসব পেঁয়াজ ভারতের উত্তর প্রদেশের ইন্দর এলাকা থেকে আমদানি হয়েছে। এই বন্দর দিয়ে সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ আগস্ট ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল বলে হিলি শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়।

পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রকি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আতিক হাসান বলেন, ভারত থেকে প্রতি টন পেঁয়াজ আমদানিতে ২৫০ মার্কিন ডলারে এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। ভারতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২ রুপিতে কেনা হয়েছে। ওপারে গাড়িভাড়াসহ কেজিপ্রতি ১৮ রুপি খরচ পড়েছে। হিলি স্থলবন্দরের শুল্কায়ন ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে বাংলাদেশে পাইকারি ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হবে। ভারত থেকে আমদানি করা এসব পেঁয়াজ আজ রাতেই রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

গত এক সপ্তাহ থেকে হিলি স্থলবন্দর ও আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি দেশীয় শুকনা পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সদ্য ওঠা পাতা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে সীমিত আকারে

পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে আগামীকাল রোববার থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। প্রতিদিন ৫০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ আনার অনুমতি দেওয়া হবে।

শনিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল আবার আবেদন দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন। পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

রাজধানীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। নতুন আগাম পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসতে শুরু করেনি। অন্যদিকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মেলেনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গত ৯ নভেম্বর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাজারে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে আর অনুমতি দেওয়া হবে না।

নভেম্বরে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ

কনটেইনারবাহী জাহাজ সোঙ্গা চিতা

২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৯১ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। যা আগের মাসের তুলনায় ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। মাসওয়ারি এই বৃদ্ধি দেশের রপ্তানি খাতে স্থিতিশীল গতি বজায় থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ২০ হাজার ২৮ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৯ হাজার ৯০৬ মিলিয়ন ডলার।

যদিও নভেম্বর ২০২৫-এর রপ্তানি আয় নভেম্বর ২০২৪-এর তুলনায় ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমেছে, মাসওয়ারি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের স্থিতিশীলতা ও অভিযোজন ক্ষমতার প্রমাণ দেয়।

নভেম্বর মাসে এককভাবে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক খাত, যার আয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৪১ মিলিয়ন ডলার।

নিটওয়্যার ও ওভেন পোশাকের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, ওষুধ, জাহাজ, চিংড়ি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। বৈচিত্র্যময় এসব খাত বাংলাদেশের সামগ্রিক রপ্তানি সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করেছে।

প্রধান রপ্তানি গন্তব্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে, যেখানে প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ৩ দশমিক ০৪ শতাংশ।

উদীয়মান ও কৌশলগত কয়েকটি বাজারেও রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে-চীন (২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ), পোল্যান্ড (১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ), সৌদি আরব (১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ) এবং স্পেন (১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ)। যা বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের বিস্তৃত উপস্থিতির প্রতিফলন।

চিংড়ির রপ্তানি বাড়াতে চান নীতিসহায়তা ব্যবসায়ীরা

নব্বইয়ের দশকে দেশের চিংড়ি খাত রপ্তানি পণ্যের মধ্যে অন্যতম হলেও এখন অনেক পিছিয়ে পড়েছে। রপ্তানিতে এ খাতের পুনরুত্থানে কৃষি খাতের মতো সহায়তা চান চিংড়ি রপ্তানিকারকেরা। এ জন্য তাঁরা বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ ছাড়, রপ্তানিতে নগদ সহায়তা, ঋণ পুনঃতফসিলকরণ সুবিধা এবং ৫০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বুধবার সন্ধ্যায় চিংড়ি খাতের নীতিসহায়তা নিয়ে আয়োজিত এক নীতি সংলাপে এসব দাবি জানান খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। সংলাপটি আয়োজন করে বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক সমিতি ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. শাহজাহান চৌধুরী।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক বজলুল হক খন্দকার। তিনি বলেন, ‘২০০০ সালে বাংলাদেশ এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর রপ্তানির পরিমাণ একই রকম ছিল। কিন্তু গত ২৪ বছরে ভারত ১৪ গুণ, ভিয়েতনাম ৫ গুণ এবং ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি ৩ গুণ বাড়িয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা একই রয়ে গেছে। ২০২৪ সালে এ খাতে আমাদের রপ্তানি ছিল মাত্র ৩৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।’

চিংড়ির উৎপাদনশীলতা নিয়ে বজলুল হক খন্দকার বলেন, ‘আমাদের দেশে বাগদা চিংড়ির হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন মাত্র দশমিক ৩৩ টন। আর গলদা চিংড়ির ক্ষেত্রে তা দশমিক ৫২ টন। অথচ ভারতে প্রতি হেক্টরে আমাদের চেয়ে ১৪ গুণ বেশি বা ৭ টনের বেশি চিংড়ি উৎপাদিত হয়। ভিয়েতনামে উৎপাদিত হয় সাড়ে ৩ টন।’ বজলুল হক খন্দকার বলেন, কম উৎপাদনশীলতা, উচ্চ সুদহার এবং ঋণ না পাওয়ায় এই খাতের উৎপাদন সক্ষমতার ২০ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে। ৬০ শতাংশ খামারি উৎপাদন ছেড়ে দিয়েছেন।

মূল প্রবন্ধে এ খাতের জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকার তহবিল এবং প্রক্রিয়াকরণ খাতের জন্য আলাদাভাবে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে ঋণ পুনঃতফসিলকরণ সুবিধারও কথা বলা হয়।

কৃষিতে ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়া হলেও চিংড়িতে দেওয়া হয় না। তাই কৃষি খাতের মতো চিংড়ি চাষেও বিদ্যুৎ বিলে ছাড়ের দাবি জানান হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট তরিকুল ইসলাম জহির। তিনি বলেন, ‘চিংড়ি রপ্তানি ৩ গুণ বাড়াতে আমাদের নীতি সহায়তা দরকার।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ম্যানগ্রোভ বন কেটে চিংড়িঘের করার ও জেলি ব্যবহারের কারণে রপ্তানি কমার অভিযোগ রয়েছে। এখন আবার অতিরিক্ত মাছ আহরণের কারণে সাগরে মাছের মজুত কমেছে। ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বৈষম্যের শিকার। তাদের শিল্প খাতের মতো বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। এক বছর ধরে এটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি শিগগিরই বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ ছাড় পাব।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গভর্নর বলেন, অর্থায়ন এ খাতের একমাত্র সমস্যা নয়। উৎপাদনশীলতা অনেক কম। তাই টাকা দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না। এ খাতকে এগিয়ে নিতে হলে যারা প্রকৃত উদ্যোক্তা, তাদের এগিয়ে আসতে হবে। উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ২০ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে। তাই যেখানে সমস্যা, সেখানে নজর দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মো. শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘এ খাতে অনেক বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। ২২-২৩ টাকা খরচ হয় প্রতি ইউনিটে। তাই আমাদের সহায়তা প্রয়োজন।’

চালুর অপেক্ষায় মোংলার পোর্ট রিসিপশন ফ্যাসিলিটি

চালুর অপেক্ষায় রয়েছে মোংলা পোর্ট উন্নয়ন প্রকল্প পোর্ট রিসিপশন ফ্যাসিলিটি (পিআরএফ)। এ প্রকল্প চালু হলে জাহাজ থেকে তেল সংগ্রহ এবং অপসারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নদী ও সামুদ্রিক জীবনচক্র রক্ষা করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এটি রাজশাহী, রংপুর এবং বরিশাল বিভাগের সাথে সড়ক, নদী এবং রেলপথের মাধ্যমে উন্নত সংযোগ প্রদান করছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক জীবনরেখা হিসেবে মোংলা বন্দর খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার, সার, গাড়ি, যন্ত্রপাতি, চাল, গম, কয়লা, জ্বালানি তেল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ এবং এলপিজি আমদানি করছে। অন্যদিকে হিমায়িত মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, পাট ও পাটজাত পণ্য, মাটি, টাইলস, রেশম বস্ত্র এবং সাধারণ পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

একটি বিশ্বমানের, আধুনিক ও নিরাপদ বন্দর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য, বন্দরের আধুনিকীকরণ এবং পরিচালনা ক্ষমতা বৃদ্ধি, চ্যানেলের নাব্যতা নিশ্চিতকরণ, পণ্য সম্ভার ও কন্টেইনার সংরক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণ, আধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (এমপিএ) সিনিয়র উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান বাসসকে বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোংলা বন্দর সকল প্রধান পরিচালন ও আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। ৮.৮৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং-এর বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বন্দরটি ১০.৪১২ মিলিয়ন মেট্রিক টন হ্যান্ডলিং করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ১.৫৩২ মিলিয়ন টন বা ১৭.২৫ শতাংশ বেশি। একই অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০,০০০ টিইইউ। এ সময় বন্দরটি ২১,৪৫৬ টিইইউ হ্যান্ডলিং করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ১,৪৫৬ টিইইউ বা ৭.২৮ শতাংশ অতিক্রম করেছে।

তিনি জানান, মোংলা বন্দর তার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রাও অতিক্রম করেছে। বার্ষিক রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৩৩৩.৮৭ কোটি টাকার বিপরীতে ৩৪৩.৩০ কোটি টাকা আয় করেছে। যা ৯.৪৬ কোটি টাকা বা ২.৮৩ শতাংশ বেশি। এ বন্দরের নিট মুনাফাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০.৪৬ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বন্দরটি ৬২.১০ কোটি টাকা অর্জন করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৪১.৬৪ কোটি টাকা ছাড়িয়ে ২০৩.৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, আধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহের ফলে প্রতি ঘন্টায় ২৪টিরও বেশি কন্টেইনার পরিচালনা সম্ভব হয়েছে। জেটির সামনে নিয়মিত ড্রেজিংয়ের ফলে নাব্যতা নিশ্চিত হয়েছে। যার ফলে পাঁচটি জেটিতে একই সাথে পাঁচটি জাহাজ পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে মোংলা বন্দরে ৩৫৬টি পণ্যবাহী জাহাজ নোঙর করেছে। এ থেকে ১৩,৮৫৪ টিইইউ কন্টেইনার পরিচালনা করেছে, ৪,১৩৯টি আমদানিকৃত যানবাহন প্রক্রিয়াজাত করেছে এবং ৪.৪ মিলিয়ন টন আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিচালনা করেছে।

বন্দর কর্মকর্তা মাকরুজ্জামান বলেন, মোংলা বন্দরের পিআরএফ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্প বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলিতে ট্রানজিট পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করার জন্য বিরাট সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ বন্দর ব্যবহার করলে স্থল, জল এবং রেলপথে রাজশাহী, রংপুর এবং বরিশাল বিভাগের পণ্য পরিবহন সহজতর এবং দ্রুততর হবে।

তিনি বলেন, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বার্ষিক ১৫০ মিলিয়ন টন কার্গো এবং ৩৫০-৪০০ লক্ষ টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। এর ফলে বন্দরের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট, স্টিভডরিং এবং শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। একই সঙ্গে আধুনিক বন্দরের মাধ্যমে ৪ লক্ষ টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতি বছর ১৫০ মিলিয়ন টন কার্গো এবং ৪০০ লক্ষ টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহীন রহমান বাসসকে বলেন, মোংলা বন্দর চ্যানেলে সংরক্ষণ ড্রেজিং করা হবে। কর্মক্ষমতা-ভিত্তিক সংরক্ষণ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের নাব্যতা রক্ষার জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রতি বছর মোংলা বন্দর দিয়ে জেটি পর্যন্ত ৯.৫-১০ মিটারের ড্রাফটসহ ১০০টিরও বেশি অতিরিক্ত জাহাজ এবং জেটি থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত ১৩০টি অতিরিক্ত জাহাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, মোংলা বন্দরকে আরও আধুনিক ও বিশ্বমানের করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

ভুটান গেল ট্রানজিট পণ্যের ট্রাক

টানা চার দিন অপেক্ষায় থাকার পর অবশেষে ভুটান গেল ট্রানজিট পণ্যের ট্রাক। থাইল্যান্ড থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসা ভুটানের পণ্য পরিবহনের প্রথম ‘ট্রায়াল রান’ বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এসে পৌঁছানোর চার দিন পর ভুটানের উদ্দেশ্যে বুড়িমারী স্থলবন্দর ছেড়ে যায়।

সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ট্রাকটি বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরে পৌঁছায়।

দীর্ঘ এক বছর ধরে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আনা-নেওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপ করায় বন্দরের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের ওপর প্রভাব পড়ে। ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য শুরুর ফলে বন্দরে আবার বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

ভুটান তাদের ট্রানজিট পণ্য পরিবহনের প্রথম ‘ট্রায়াল রান’ শুরু করলেও প্রথমেই বড় ধরনের জটিলতায় পড়েছিল। তবে এতে বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ স্বাক্ষরিত চুক্তি ও প্রটোকলের আওতায় এই পরীক্ষামূলক চালান সফলভাবে ভুটানে পৌঁছানোয় বুড়িমারী স্থলবন্দরে ব্যবসার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিকদের লোড-আনলোড, সিএন্ডএফ এজেন্টদের কার্যক্রম, গুদাম ভাড়া-সব মিলিয়ে বন্দরে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার (শুল্ক) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, গত শুক্রবার থেকে তিন দেশের সাপ্তাহিক ছুটি এবং ভুটানের আমদানিকারকদের অনুমোদনের কাগজে বুড়িমারী স্থলবন্দর লেখা থাকলেও ভারতের স্থলবন্দরের নাম উল্লেখ না থাকায় জটিলতা তৈরি হয়।

বাংলাদেশের সড়ক ও বন্দর ব্যবহার করে ভুটানের আমদানি কার্যক্রম চলমান থাকলে বুড়িমারী স্থলবন্দর ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও তিনি জানান।

চট্টগ্রাম বন্দরে একদিনে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৭১৭টি গেটপাস ইস্যু : অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুফল

ডিজিটাল রূপান্তর ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনার ফলে চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিদিনই নতুন সাফল্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। অপারেশনাল কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা, ডকুমেন্ট প্রসেসিং ও কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে দ্রুততা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডিজিটাল অপারেশন এখন বন্দরের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

TOS(Terminal Operating System) অ্যাপ ব্যবহার করে শতভাগ অনলাইনে গেট পাস ইস্যু করার রেকর্ড স্থাপনের পর সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পূর্বের রেকর্ড অতিক্রম করছে। ২৮ নভেম্বর একদিনে ৬ হাজার ৭১৭টি গেট পাস ইস্যু করা হয়েছে, যার মধ্যে কনসাইনি গেইট পাস ৪ হাজার ৮০৩টি ও অফ-ডক গেইট পাস ১ হাজার ৯১৪টি।

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ফলে কার্যক্রম আরও আধুনিক, নিয়ন্ত্রিত ও দ্রুতগতির হয়েছে। প্রস্তুতিতে একদিকে যেমন চালকরা আগের হ্যান্ডলিং ও ট্রেড মুভমেন্ট উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যার সুফল ভোগ করছেন সকল স্তরের ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম বন্দরের এই ধারাবাহিক সাফল্য প্রমাণ করে, স্মার্ট পোর্ট বাস্তবায়ন এখন বাস্তবচিত্রে রূপ নিয়েছে। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার বজায় থাকলে ভবিষ্যতে আরও বড় অর্জন হবে এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আরও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে পৌঁছাবে ।