Home Blog Page 20

শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর

বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৫ আগস্ট) দোয়া ও মোনাজাত, আলোচনা সভা ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়। এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর মো. মাহবুবুর রহমান, সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ।

১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিপথগামী একদল সেনা কর্মকর্তার নির্মম বুলেটে মাত্র ২৬ বছর বয়সে পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সপরিবারে নিহত হন সম্ভাবনাময় এই তরুণ।

সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের বিশেষায়িত জাহাজ হস্তান্তর করেছে কলম্বো ডকইয়ার্ড

সাগরের তলদেশে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যবহারের জন্য নতুন একটি জাহাজ পেতে যাচ্ছে ফ্রান্সের অরেঞ্জ মেরিন। এটি নির্মাণ করেছে শ্রীলংকার কলম্বো ডকইয়ার্ড। সম্প্রতি জাহাজটি শ্রীলংকার ইয়ার্ড থেকে ফ্রান্সের পথে রওনা হয়েছে। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আগস্টের মাঝামাঝি সময়েই ফ্রান্সে পৌঁছনোর কথা রয়েছে এটির।

অনন্য এই জাহাজটির নাম সোফি জারমেইন। এর নকশার কাজটি করেছে নরওয়েভিত্তিক বিশেষায়িত জাহাজের নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ভার্ড। টেলিযোগাযোগ খাতে ফাইবার অপটিক ও অফশোর উইন্ড খাতে ইন্টার-অ্যারে পাওয়ার উভয় ধরনের সাবমেরিন ক্যাবল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার জন্য বিশেষ সরঞ্জাম সংযুক্ত করা হয়েছে সোফি জারমেইনে।

জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৩২৮ ফুট। প্রস্থ প্রায় ৬২ ফুট। ১ হাজার ৮০০ ডেডওয়েট টনের জাহাজটি ঘণ্টায় ১৪ দশমিক ৫ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত গতিতে ছুটতে সক্ষম। ফাইবার অপটিক ও পাওয়ার ক্যাবল পরিবহনের জন্য এতে রয়েছে তিনটি ক্যাবল ট্যাংক। সংশ্লিষ্ট ক্যাটাগরির অন্যতম বৃহৎ ও অত্যাধুনিক জাহাজ সোফি জারমেইনে হাইব্রিড প্রপালশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।

বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৪৮ শতাংশ

দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রধান গেটওয়ে চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: বন্দর বার্তা

আগের অর্থবছরে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৩৩,২৫০ মিলিয়ন ডলার হলেও, আমদানি নিয়ন্ত্রণের কারণে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কমে ১৭,১৫৫ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। শতাংশের হিসেবে যা প্রায় ৪৮ শতাংশ।

গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে আমদানি ১৫.৭৬ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৬৯.৪৯ বিলিয়ন ডলারে, অন্যদিকে রপ্তানি ৬.২৮ শতাংশ বেড়ে হয় ৫২.৩৪ বিলিয়ন ডলার।

গেল অর্থবছরের শেষ মাসে আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা কমে যায়। এজন্য ডলার সংকট ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমদানিতে বিধিনিষেধ ভূমিকা রেখেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, জুন মাসে আমদানির জন্য ৪.৭৫ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়, যা ছিল সর্বনিম্ন। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় এলসি খোলা কমে ৪৪ শতাংশ।

মে মাসে ৫.৮৪ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। আর এপ্রিলে তার পরিমাণ ছিল ৪.৮৫ বিলিয়ন ডলার।

২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৯৪.২৭ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে যা ৬৯.৩৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। অর্থাৎ, বছরওয়ারি হিসাবে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার বা ২৭ শতাংশ কমেছে এলসি।

ব্যাংকাররা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে ব্যবসায়ীদের জন্য পণ্য আমদানির এলসি খোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু পণ্য আমদানিতে ১০০ শতাংশ মার্জিন রেখে তাদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

আগামী বছর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে গ্রেট লেকসের ঐতিহ্যবাহী ফেরি ব্যাজার

সাত দশক একটানা সেবা দিয়ে যাওয়ার উপলক্ষ উদযাপনের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। তবে সেই আনন্দে বাধ সাধল যান্ত্রিক ত্রুটি, যার কারণে গ্রেট লেকসের ঐতিহাসিক ফেরি এসএস ব্যাজারকে চলতি বছরের বাকি সময়টায় বসে থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেরিটিকে সার্ভিসে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে এর পরিচালনাকারী কোম্পানি। তবে মালিক প্রতিষ্ঠানের ধারণা ২০২৪ সালের আগে এটি হয়তো যাত্রীসেবায় ফিরতে নাও পারে।

গ্রেট লেকসের সর্বশেষ কয়লাচালিত ফেরি এসএস ব্যাজার। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন ও মিশিগানের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে এটি। পাশাপাশি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে স্থানীয় পর্যটকদের কাছেও এর কদর রয়েছে বেশ।

এসএস ব্যাজার নির্মিত হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। ২০২০ সালের শেষের দিকে ইন্টারলেক মেরিন সার্ভিসেস এটিকে কিনে নেয়। আর বর্তমানে এটি পরিচালনা করছে লেক মিশিগান কারফেরি কোম্পানি। মিশিগানের লুডিংটন থেকে উইসকনসিনের ম্যানিটোয়াকের মধ্যে চলাচল করে ফেরিটি। প্রথমে লেক মিশিগান দিয়ে রেলরোড কার পরিবহনের জন্য তৈরি করা হলেও পরবর্তীতে একে গাড়ি ও যাত্রীবাহী ফেরিতে রূপান্তর করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৬০০ যাত্রী এবং ১৮০টি গাড়ি, রিক্রিয়েশনাল ভেহিকল (আরভি) ও বাণিজ্যিক ট্রাক পরিবহনে সক্ষম এসএস ব্যাজার।

গত ২১ জুলাই ফেরিটির বাম পাশের র‍্যাম্প সিস্টেমের কাউন্টারওয়েট স্ট্রাকচারে ত্রæটির কারণে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও এতে কোনো যাত্রী হতাহত অথবা ফেরি, গাড়ি ও র‍্যাম্পের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

জুলাইয়ে ৪৫৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, আবার নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্যের চাহিদা কমেছে। তারপরও বিদায়ী ২০২২–২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় ছিল। এ বছর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেও পণ্য রপ্তানি সেই ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।

সদ্যসমাপ্ত জুলাই মাসে মোট ৪৫৯ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই মাসের ৩৯৮ কোটি ডলারের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আড়াই শতাংশ বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বুধবার পণ্য রপ্তানির এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, গত জুলাইয়ে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। অন্যদিকে হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে মোট পণ্য রপ্তানির ৮৬ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। এ মাসে ৩৯৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি।

বিদায়ী ২০২২–২৩ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি পৌনে ২ শতাংশ কমেছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেও সেই নেতিবাচক ধারা থেকে বেরোতে পারেনি খাতটি। জুলাইয়ে ৯ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ লাখ ডলারের চামড়া, ৩ কোটি ডলারের চামড়াজাত পণ্য এবং ৬ কোটি ডলারের চামড়ার জুতা রপ্তানি হয়েছে। চামড়াজাত পণ্যে ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও জুতা ও চামড়া রপ্তানি কমেছে।

সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য মোট ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ইপিবির তথ্যানুযায়ী, বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারের।

২০১৯ সালের তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় বড় ক্ষতিপূরণ প্রদানে সম্মত এইচএমডিসি

২০১৯ সালের একটি তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনার জেরে মোট ৪ লাখ কানাডীয় ডলার (৩ লাখ মার্কিন ডলার) ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়েছে কানাডীয় অয়েল প্লাটফর্ম অপারেটর হিবার্নিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (এইচএমডিসি)। সম্প্রতি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ কানাডা-নিউফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্যাব্রাডর অফশোর পেট্রোলিয়াম বোর্ডের (সি-এনএলওপিবি) সঙ্গে এ বিষয়ে একটি নিষ্পত্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তারা। ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ওই ঘটনায় তেল ছড়িয়ে পড়াজনিত দূষণ মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ার দায় স্বীকার করে নিয়েছে এইচএমডিসি।

২০১৯ সালের জুলাইয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে সেন্ট জনস নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলে অবস্থিত এইচডিএমসি পরিচালিত হিবার্নিয়া অফশোর প্লাটফর্মে পরিচালনাগত ত্রুটির কারণে তেল নিঃসরণের ঘটনাটি ঘটে। প্রায় ১২ হাজার লিটার অপরিশোধিত তেল আটলান্টিকের পানিতে ছড়িয়ে পড়েছিল সে সময়। দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শেষে ২০২২ সালের আগস্টে এইচএমডিসিকে দোষী সাব্যস্ত করে সি-এনএলওপিবি।

প্রায় ১২ হাজার লিটার অপরিশোধিত তেল আটলান্টিকের পানিতে ছড়িয়ে পড়েছিল হিবার্নিয়া অফশোর প্লাটফর্ম থেকে

মোট ৪ লাখ কানাডীয় ডলারের মধ্যে ৯০ হাজার কানাডীয় ডলার জারিমানা হিসেবে পরিশোধ করবে এইচএমডিসি। বাকি ৩ লাখ ১০ হাজার কানাডীয় ডলার একটি পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতিবিষয়ক তহবিলে জমা করা হবে। এইচএমডিসি বলেছে, তারা ওই দুর্ঘটনার কারণে অনুতপ্ত এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এর পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এফবিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম

মাহবুবুল আলম

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ২৪তম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম। তিনি ২০২৩-২৫ মেয়াদে এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্ব দেবেন।

বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে এক অনুষ্ঠানে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী। এ সময় নির্বাচন বোর্ডের অন্য দুই সদস্য শামছুল আলম এবং এম এন মঞ্জুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির প্রতিনিধি আমিন হেলালীর নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী। এছাড়া চেম্বার গ্রুপ থেকে তিনজন ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের তিনজনসহ মোট ছয়জন সহসভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে চেম্বার গ্রুপ থেকে সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার ও যশোধা জীবন দেবনাথ। আর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে সহসভাপতি হয়েছেন শমি কায়সার, রাশেদুল হোসাইন চৌধুরী রনি এবং মুনির হোসাইন।

ইউক্রেনের ইজমাইল বন্দরে হামলা রাশিয়ার, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত

ইউক্রেনের ইজমাইল বন্দরে গতকাল রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে বন্দরের কিছু অবকাঠামো, শস্য মজুদাগার ও একটি নেভাল শিপ রিপেয়ারিং ইয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আরআইএ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইউক্রেনের বন্দরনগরী মিকোলেইভভিত্তিক একটি আন্ডারগ্রাউন্ড গ্রুপের সমন্বয়কারী সের্গেই লেবেদেভের বরাত দিয়ে আরআইএ জানিয়েছে, ইজমাইলে অন্তত আটটি গোলাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। এতে বন্দরের একটি তেলের টার্মিনাল, নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের একটি ইয়ার্ড, বন্দরের একটি ভবন, একটি শস্য মজুদাগার ও একটি এলিভেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্দরের ভবনটিতে বিদেশী ভাড়াটে যোদ্ধাদের আবাস ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া এলিভেটরটিতে বিদেশী সামরিক সরঞ্জাম রাখা ছিল বলে জানানো হয়েছে।

ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর রোমানিয়া হয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানিতে ইউক্রেনের প্রধান গেটওয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে দানিউব নদীর তীরে অবস্থিত ইজমাইল বন্দর। সেখানে লেবেদেভের আন্ডারগ্রাউন্ড গ্রুপটির চর রয়েছে বলে আরআইএ জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স লেবেদেভের বরাতের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইজমাইল বন্দরের একটি বহুতল ভবনে লাগা আগুনের লেলিহান শিখা নেভানোর চেষ্টা করছে অগ্নিনির্বাপনকর্মীরা। এছাড়া আরও কিছু ভবন গোলাবর্ষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শস্য মজুদাগারের অন্তত দুটি সাইলো ভেঙে শস্য বাইরে ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্যও দেখা গেছে ভিডিওতে।

চট্টগ্রাম বন্দর আন্তঃবিভাগীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নিরাপত্তা বিভাগ

অতিথিদের সাথে বিজয়ী দলের খেলোয়াড়বৃন্দ

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি আয়োজিত আন্তঃবিভাগীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ৩১ জুলাই শহীদ প্রকৌশলী শামসুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলায় পরিবহন বিভাগকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে নিরাপত্তা বিভাগ।

গত ১০ জুলাই শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও উৎসব মুখর পরিবেশে ২৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্টের ফেয়ার প্লে ট্রফি অর্জন করেছে প্রশাসন, সচিব, পরিকল্পনা ও ভান্ডার বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত দল। সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে গোল্ডেন বুট অর্জন করেছেন নিরাপত্তা বিভাগের খেলোয়াড় মাহবুবুর রহমান সবুজ এবং সেরা গোলরক্ষক হিসেবে গোল্ডেন গ্লাভস অর্জন করেছেন পরিবহন বিভাগের গোলরক্ষক তানভির রেজা। খেলায় অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য ৯ জন সিনিয়র খেলোয়াড়কে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

পর্ষদ সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (ই), পিএসসি, বিএন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফাইনাল খেলা উপভোগ এবং পুরস্কার বিতরণ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর ক্রীড়া সমিতির সভাপতি ও পরিচালক (প্রশসান) মো. মমিনুর রশিদ (উপ-সচিব), পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্ণেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান, ক্রীড়া সমিতির সহ-সভাপতি ও সচিব মো. ওমর ফারুক এবং সাধারণ সম্পাদক ও চীফ পারসোনেল অফিসার মো. নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

বাল্ক পরিবহনে সবচেয়ে আপদের নাম কার্গো লিকুইফ্যাকশন

সমুদ্রপথে বাল্ক কার্গো পরিবহনে এককভাবে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঝুঁকির কারণ হলো কার্গো লিকুইফ্যাকশন। ড্রাই কার্গো জাহাজের মালিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারকার্গোর সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

লিকুইফ্যাকশন হলো কোনো কঠিন অথবা গ্যাসীয় পদার্থের তরলের মতো আচরণ করা। আর কোনো ড্রাই কার্গো যখন বিশেষ পরিস্থিতিতে তরল পদার্থের মতো প্রবাহিত বা স্থানান্তরিত হয়, তখন তাকে কার্গো লিকুইফ্যাকশন বলা হয়।

২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত ড্রাই বাল্ক ক্যারিয়ারের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ইন্টারকার্গো। এই সময়ে মোট ২৬টি সমুদ্রগামী বাল্কারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণহানি হয়েছে ১০৪ জনের। আর সম্পদহানি হয়েছে কোটি কোটি ডলারের। অবশ্য এই দুঃখজনক পরিসংখ্যানের মাঝেও কিছুটা সুখবর দিয়েছে ইন্টারকার্গো। তারা জানিয়েছে, গত ১০ বছরে বাল্কারডুবির ঘটনায় হতাহতের বার্ষিক হার কমেছে ও সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। বিশেষ করে এই সময়ে বাল্কারের বহর যেভাবে বেড়েছে, সেটি বিবেচনায় নিলে পরিস্থিতি উন্নতির দিকেই রয়েছে বলতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ বছরে যে ১০৪ জন ক্রু প্রাণ হারিয়েছেন, তার মধ্যে ৭০ জনের মৃত্যুর জন্যই কার্গো লিকুইফ্যাকশনের কারণে জাহাজডুবি দায়ী। বিশেষ করে কিছু ড্রাই বাল্কের ক্ষেত্রে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, ক্রুদের প্রাণ বাঁচানোর মতো সুযোগও আর থাকে না।

কিছু নির্দিষ্ট আকরিক ও খনিজ পদার্থের গঠনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে সেগুলোর লিকুইফ্যাকশন হতে পারে। যখন এসব কার্গোর আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যায়, বিশেষ করে যখন পরিবহনযোগ্য আর্দ্রতার মাত্রা বা টিএমএলের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, তখন জাহাজের রোলিংয়ের সময় সেগুলো একপাশ থেকে অন্যপাশে চলে যেতে পারে। তবে জাহাজ যখন আবার অন্যপাশে কাত হয়ে যায়, তখন সেই আর্দ্র আকরিক আগের অবস্থানে ফিরে নাও পারে। এমন ক্ষেত্রেই বিপজ্জনক পরিস্থিতির তৈরি হয়। কয়েক দফার রোলিংয়ে কার্গো এভাবে একপাশে চলে গেলে জাহাজ উল্টে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। কিছু সময় জাহাজ এত দ্রুত উল্টে যায় যে, ক্রুরা সেটি ছেড়ে যাওয়ার সময়টাও পান না।

ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম সলিড বাল্ক কার্গোস (আইএমএসবিসি) কোডে এই ধরনের কার্গোকে ‘গ্রুপ এ’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই গ্রুপের একটি কার্গো হলো নিকেলের আকরিক। এর লিকুইফ্যাকশন প্রবণতা অনেক বেশি। এছাড়া লোডিং পোর্টে এগুলোকে রাখাও হয় উন্মুক্ত জায়গায় আর্দ্র পরিবেশে। গত এক দশকে লিকুইফ্যাকশনের কারণে যত প্রাণহানি ঘটেছে, তার ৮০ শতাংশের জন্য দায়ী আর্দ্র নিকেল আকরিক। আর বাকি ২০ শতাংশ প্রাণহানি ঘটেছে আরেকটি ঝুঁকিপূর্ণ কার্গো বক্সাইট (অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক) পরিবহনের সময়।