Home Blog Page 206

জাহাজ মালিক শিল্পোদ্যোক্তাদের অর্ধেক পণ্য পরিবহন করতে হবে ভাড়া করা জাহাজে

কম সময়ে এবং কম খরচে আমদানি করা কাঁচামাল বন্দর থেকে নদীপথে কারখানায় নেওয়ার জন্য লাইটার জাহাজ কিনেছেন শিল্পোদ্যোক্তারা। প্রায় এক দশক আগে নিজস্ব লাইটার জাহাজে পণ্য পরিবহনে সুফল পাওয়ার পর একের পর এক শিল্প গ্রুপ এই খাতে বিনিয়োগ করেছে। তবে এখন নিজেদের আমদানি পণ্যের শতভাগ নিজেদের জাহাজে পরিবহন করতে পারবেন না শিল্পোদ্যোক্তারা। নিজেদের আমদানি পণ্যের ৫০ শতাংশ পরিবহন করতে হবে ভাড়া করা জাহাজে।

নৌপরিবহন অধিদপ্তর ২৫ আগস্ট জরুরি নৌ-বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তাতে পরোক্ষভাবে এমন নির্দেশনা রয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় বড় জাহাজ থেকে আমদানি পণ্য নৌপথে পরিবহনের জন্য ২০১৩ সালের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। আদেশ অমান্যকারী নৌযান মালিক, মাস্টার ও নাবিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়।

ওই নীতিমালার ৫ দশমিক ৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সিমেন্ট কারখানার আমদানি করা কাঁচামালের ৫০ শতাংশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নিয়ন্ত্রণাধীন জাহাজের মাধ্যমে পরিবহন করতে হবে। অর্থাৎ নিজেদের জাহাজ বসিয়ে রেখে হলেও ভাড়া করা জাহাজে ৫০ শতাংশ পণ্য পরিবহনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার মো. মনজুরুল কবীর বলেন, নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য নতুন এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ বা নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কনটেইনারবিহীন জাহাজে যত পণ্য আমদানি হয়, তার ৮০ শতাংশই নদীপথে পরিবহন হয়। যার বড় অংশই শিল্পোদ্যোক্তা ও আমদানিকারকেরা নিজস্ব জাহাজে পরিবহন করে। তাতে খরচ কম পড়ে।

২০২৪ সালের মধ্যেই বে-টার্মিনালের অপারেশন শুর: নৌপ্রতিমন্ত্রী

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বে-টার্মিনাল হবে, তার মানে এটা হবেই। ২০২৪ সালের মধ্যেই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কাজের অগ্রগতির জন্য আমরা এটিকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছি। তার মধ্যে একটি পার্ট চট্টগ্রাম বন্দর করবে।’ ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরের নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ ও বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। 

১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরের নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ও বে-টার্মিনালের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় নৌপরিবহন সচিব, পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বন্দর চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পিপিপি মডেলে প্রকল্পটি করার জন্য অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী আমাদের সাথে কথা বলেছে। আমরা এটি এখনো চূড়ান্ত করিনি। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে যাদের সাথে আমাদের সমঝোতা হবে, তাদেরই আমরা দুটি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ দেব, মাল্টিপারপাস টার্মিনাল চট্টগ্রাম বন্দর নির্মাণ করবে। কোভিডের কারণে বিনিয়োগকারীদের সাথে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তাদের সাথে আবার যোগাযোগ শুরু হয়েছে। আমরা ২০২৪ সালের মধ্যেই বে টার্মিনালের অপারেশন শুরু করতে চাই।’

এ সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলেও জানান।

পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ বলেন, ‘বে-টার্মিনাল প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করতে আমরা সমন্বিতভাবে এগোচ্ছি। যেসব বিদেশি বিনিয়োগকারী আসছেন, আমরা সবার কথাই শুনছি। যে বিনিয়োগকারীর প্রস্তাব দেশের জন্য, বে-টার্মিনালের জন্য লাভজনক হবে, আমরা তাদেরই নেব।’

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘আমরা বে-টার্মিনাল বাস্তবায়নের জন্য টাইমফ্রেম অনুযায়ী সমন্বিতভাবে কাজ শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সব ধরনের সিদ্ধান্ত সময়মতো পেয়েছি। এখন বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের। আশা করছি, আমাদের সাথে অন্য দুটি টার্মিনালের কাজ যারা পাবে, তারাও একসাথে শুরু করতে পারবে।’

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের আগে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার আরিফুর রহমান ও নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল আলম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সুলতান আবদুল হামিদ, যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) ড. মো. রফিকুল ইসলাম খান, যুগ্ম সচিব (পরিকল্পনা) রফিক আহমেদ সিদ্দিক, যুগ্ম সচিব ও বন্দরের পর্ষদ সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, যুগ্ম সচিব ও সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম নিয়ামুল হাসান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান ও সচিব ওমর ফারুক।

শিপিং খাতে নতুন যুগের সূচনায় ভূমিকা রাখবে বাজার উপাত্ত

আয়ে উত্থান-পতনের বিষয়টি বাদ দিলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বৈশ্বিক শিপিং খাত মোটামুটি স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে বলা যায়। তবে এ খাতে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কার্গো পরিবহনের সক্ষমতা অর্জন। বর্তমান যুগের জাহাজগুলোর আকার আগের চেয়ে বেড়েছে। এছাড়া নকশা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কারণে জাহাজের ধারণক্ষমতাতেও এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। কিন্তু উপরিল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এর চেয়েও বাড়তি সক্ষমতা প্রয়োজন। আর তা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে মার্কেট ডেটা বা বাজার উপাত্ত। সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে এই তথ্যই শিপিং খাতে পরবর্তী ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে পারে।

বর্তমানে শিপিং খাত-সংশ্লিষ্ট সবাই অপারেশনকেন্দ্রিক ‘বিগ ডেটা’ সলিউশন নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু খাত-সংশ্লিস্ট বেশির ভাগ আলোচনাতেই বাজার উপাত্তের বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়। অর্থাৎ বাজারের চাহিদা ও সক্ষমতায় সামঞ্জস্যতার বিষয়টিতে খুব কমই আলোকপাত করা হয়।

শিপিং কোম্পানিগুলো সবসময়ই তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিজেদের মালিকানা-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় ও গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিতে জোর দিয়ে এসেছে। কিন্তু খাত-সংশ্লিষ্ট সবার কাজে লাগে, এমন তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করতে খুব কমই দেখা গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আবহাওয়া-সংক্রান্ত তথ্য সব অংশীদারের জন্যই জরুরি। সবাই এতে উপকৃত হয়। এছাড়া শিল্প খাতের জন্য কাঁচামাল উৎপাদন কতটা বাড়তে পারে কিংবা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কী পরিমাণ কার্গো পরিবহনের অপেক্ষায় রয়েছে, সে তথ্যও মুনাফা সক্ষমতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হয়ে দাঁড়াতে পারে। এসব বিষয়ে কার্যকর তথ্য ব্যবস্থাপনা শিপিং খাতে নতুন যুগের সূচনা করবে।

সংবাদ সংকেত – সেপ্টেম্বর

কনটেইনার সংকট মোকাবেলায় নতুন একটি উদ্যোগ নিয়েছে সাংহাই বন্দর কর্তৃপক্ষ। খালি কনটেইনারের জন্য একটি ট্রান্সপোর্টেশন সেন্টার চালু করেছে তারা, যেখান থেকে উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় খালি কনটেইনার পাঠানো হবে।

মেরিটাইম ট্রাফিক সেফটি ল’র অধীনে নিরাপদ নেভিগেশনের শর্ত লঙ্ঘনের জরিমানা বাড়িয়েছে চীন। নতুন হারে জরিমানা ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) রাশিয়ার বন্দরগুলোয় কার্গো পরিবহন ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় বন্দরগুলোয় মোট ৪৮ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার টন কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে।

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সতর্কতার কারণে দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর চীনের নিংবো বন্দরে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। একজন ডকওয়ার্কারের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ১১ আগস্ট বন্দরটির আংশিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

কনটেইনার সংকট কাটিয়ে উঠতে নতুন ৭৫ হাজার টিইইউ কনটেইনারের কার্যাদেশ দিয়েছে হ্যাপাগ-লয়েড। কনটেইনারগুলো চীনে তৈরি হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ সেগুলো হ্যাপাগ-লয়েডের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

উদ্ভাবনী এলএনজি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে জোট বেঁধেছে ম্যান এনার্জি সলিউশন ও উডসাইড এনার্জি। সম্প্রতি এ বিষয়ে কোম্পানি দুটির মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

পরিবেশবান্ধব বাল্ক ক্যারিয়ার তৈরির বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করবে মিৎসুই ওএসকে লাইনস (এমওএল) ও টাটা স্টিল। এ বিষয়ে সম্প্রতি এমওএল, তাদের শতভাগ সাবসিডিয়ারি এমওএল ড্রাইবাল্ক ও টাটা স্টিলের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।

সমুদ্রগামী জাহাজের সব নাবিককে করোনার টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পোর্ট অব রটারডাম কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষামূলক এ কর্মসূচির অধীনে আগামী দুই মাস নাবিকদের টিকা দেওয়া হবে।

ডিইএমইর কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও উদ্ভাবনী কাটার সেকশন ড্রেজার স্পার্টাকাস হস্তান্তর করেছে ডাচ জাহাজ নির্মাতা রয়েল আইএইচসি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেলফ-প্রপেলড ও প্রথম এলএনজিচালিত কাটার সেকশন ড্রেজার।

রাশিয়ার গালফ অব ওব-এর সি ক্যানেলে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাতটি ড্রেজিং দিয়ে খননকাজের বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।

সার্ভারের ত্রুটির কারণে নাইজেরিয়ার বন্দরগুলোয় শুল্কায়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মোটা অংকের ডেমারেজ চার্জ পরিশোধ করতে হচ্ছে আমদানিকারক ও ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারদের।

সাপ্লাই চেইনের প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে কাজ করার জন্য জন ডি পোরকারিকে হোয়াইট হাউস সাপ্লাই চেইন ডিজরাপশন টাস্কফোর্সের পোর্ট এনভয় হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সাতটি বন্দরের উন্নয়নে ১৩৭ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে তাইওয়ান

নিজেদের সাতটি বাণিজ্যিক বন্দরের উন্নয়নকাজে ১৩৭ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে তাইওয়ান। মূলত শিল্প খাতের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। এ বিষয়ে পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি পরিকল্পনা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশবান্ধব ও স্মার্ট বন্দর প্রতিষ্ঠার জন্য মোট ২৯টি প্রকল্পের রূপরেখা প্রণয়ন করেছে মন্ত্রণালয়। সব প্রকল্পেরই সার্বিক লক্ষ্য ২০২৬ সাল নাগাদ সাতটি বন্দরের মোট কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ১৩ শতাংশের বেশি বাড়িয়ে ১৮০ কোটি টনে উন্নীত করা। এছাড়া নতুন নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণও প্রকল্পগুলোর অন্যতম লক্ষ্য। এসব বিনিয়োগের মাধ্যমে ১৩ হাজারের বেশি নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ছবিতে সংবাদ – সেপ্টেম্বর

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। পরে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়।

জাতীয় শোক দিবসে চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ আয়োজিত খতমে কোরআন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ সকল স্তরের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের বিদায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামকে ১ আগস্ট সংবর্ধনা দেন বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের একটি প্রতিনিধি দল ২২ আগস্ট প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলের প্রধান মেজর জেনারেল আনোয়ার মোমেন এর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বন্দর চেয়ারম্যান।

৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বন্দর মসজিদে দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান, পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তারা ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন

উন্নয়ন প্রকল্পে সক্ষমতা বেড়েছে সুয়েজ ক্যানেল কনটেইনার টার্মিনালের

সুয়েজ খালের কনটেইনার টার্মিনালের যন্ত্রপাতি ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কয়েক দফায় মোটা অংকের বিনিয়োগ করেছে সুয়েজ ক্যানেল অথরিটি। মিশর সরকার ও সুয়েজ ক্যানেল ইকোনমিক জোন এ কাজে তাদের সহায়তা করেছে। এই বিনিয়োগ করোনা মহামারির সংকটকালীন পরিস্থিতিতেও টার্মিনালের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে।

সুয়েজ ক্যানেল কনটেইনার টার্মিনাল (এসসিসিটি) হলো দক্ষিণ ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাব টার্মিনাল। সেখানে বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে ৬ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে জটিল কাজ ছিল টার্মিনালের নিজস্ব ইয়ার্ডের ছয়টি এসটিএস ক্রেনের উচ্চতা বাড়ানো। এই কাজ সম্পন্নের ফলে এখন টার্মিনালের মোট ১৮টির মধ্যে ১২টি ক্রেন আল্ট্রা লার্জ কনটেইনার ভেসেল হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা অর্জন করল। ফলে এ ধরনের জাহাজগুলোর সময় ব্যবস্থাপনা এখন আরও লাভজনক হবে।

মিসিসিপিতে বন্দর কার্যক্রমে সহায়ক হবে রিভার ডেটা

জলজ প্রাণিসম্পদের ক্ষতি এড়ানো, ক্রমপরিবর্তনশীল পানির স্তর কিংবা চ্যানেলের গভীরতার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয় মিসিসিপি অঞ্চলের বন্দর পরিচালনাকারী ও নেভিগেটরদের। সমস্যাটা বেশ পুরনো। সেই বাষ্পীয় ইঞ্জিনের যুগ থেকে তা চলে এলেও এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো সমাধান মেলেনি।

এবার সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে লুইজিয়ানাভিত্তিক অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়াটার ইনস্টিটিউট অব দ্য গালফ। তারা আধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়ে একটি ডেটা-শেয়ারিং প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে চাইছে, যেখানে লোয়ার মিসিসিপি রিভারের সর্বশেষ তথ্য দেওয়া থাকবে। এই অঞ্চলের বন্দর পরিচালনাকারীরা সেই তথ্য সংগ্রহ করে নেভিগেশন ব্যবস্থা আরও সহজ করে তুলতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই কাজে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটিকে সহায়তা করছে লুইজিয়ানার স্থানীয় প্রশাসন, পোর্ট অব নিউ অরলিনস ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ফ্রান্সে প্রথম অফশোর উইন্ড সাবস্টেশন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন

ফ্রান্সের সেইন্ট-নাজেয়ার অফশোর উইন্ড ফার্ম সাইটে প্রথম সাবস্টেশন স্থাপন সম্পন্ন করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক ইনস্টলেশন কোম্পানি ডিইএমই অফশোর। ২ হাজার ১০০ টনের এই সাবস্টেশন স্থাপনের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে অলসির পাইওনিয়ারিং স্পিরিট জাহাজ। অফশোর উইন্ড ইন্ডাস্ট্রিতে এটি অলসির প্রথম কাজ। ২০১৯ সালে সাবস্টেশনটি স্থাপনের চুক্তি হয়। এর সক্ষমতা ৪৮০ মেগাওয়াট।

বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিল আটলান্টিক অফশোর এনার্জি, জিই গ্রিড সাবস্টেশন ও ডিইএমই গ্রুপের ফরাসি সাবসিডিয়ারি এসডিআইয়ের নেতৃত্বাধীন একটি কনসোর্টিয়াম। তারা ফ্রান্সে আরও একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের নকশা, উৎপাদন ও স্থাপনের দায়িত্ব পেয়েছে।

সেইন্ট-নাজেয়ার অফশোর উইন্ড প্রজেক্টটি আগামী বছর উৎপাদনে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এটি হবে ফ্রান্সের জলসীমায় স্থাপিত প্রথম কোনো বাণিজ্যিক অফশোর উইন্ড ফার্ম।

সাইবার হামলার ঝুঁকিতে মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রি

বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রি। এ কারণে সাইবার অপরাধ ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হামলার বড় ঝুঁকিতে রয়েছে এ খাত। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কলোনিয়াল অয়েল পাইপলাইনে হামলা সে আশঙ্কার কথাই জানান দিচ্ছে। অ্যালিয়াঞ্জ গ্লোবাল করপোরেট অ্যান্ড স্পেশাল্টির সর্বশেষ ‘সেফটি অ্যান্ড শিপিং রিভিউ ২০২১’ প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

৯ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ কলোনিয়াল পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রায় ৩০টি তেল পরিশোধনাগার ও ৩০০টির মতো জ্বালানি সরবরাহকারী টার্মিনাল সংযুক্ত রয়েছে। সাম্প্রতিক সাইবার হামলার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলজুড়ে পেট্রলের তীব্র সংকট দেখা দেয়। সিস্টেম অনলাইনে ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে হ্যাকাররা পাইপলাইন পরিচালনাকারী কোম্পানির কাছ থেকে ৪৪ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয়। এই সাইবার হামলার সাফল্য অন্যান্য হ্যাকারকেও এই ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়তে উৎসাহিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।