Home Blog Page 215

রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৩ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

২০২০-২১ অর্থবছরে স্বশাসিত ৯টি সংস্থার কাছ থেকে সরকারের অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী আটটি সংস্থা পুরো টাকা এবং অন্যটি আংশিক দিয়েছে। সব মিলিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়েছে ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্বশাসিত ওই ৯টি সংস্থার কাছে গত জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতি ছিল ৯১ হাজার ২০২ কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগ প্রথম দফায় চলতি অর্থবছরের জন্য ছয়টি সংস্থাকে তাদের তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ থেকে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলেছিল। সংস্থাগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এরপর গত ডিসেম্বরে অর্থ বিভাগ আরও তিনটি সংস্থাকে নতুন করে ১১ হাজার কোটি টাকা জমা দিতে বলে। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), পেট্রোবাংলা ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।

মে মাস পর্যন্ত ৯টি সংস্থার মধ্যে ৮টি তাদের জন্য নির্ধারিত টাকা জমা দিয়েছে। একক সংস্থা হিসেবে বিপিসি সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার কোটি টাকা জমা দিয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিপিসির কাছে ঊদ্বৃত্ত ছিল ৩২ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জমাদানকারী সংস্থা হচ্ছে পেট্রোবাংলা। তারা ১৯ হাজার ২৯০ কোটি টাকার স্থিতি থেকে জমা দিয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ হাজার কোটি টাকা জমা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের স্থিতির পরিমাণ ১১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।

বিপিডিবি ২২ হাজার ৫০৩ কোটি টাকার স্থিতি থেকে জমা দিয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ইপিবি ৩০০ কোটি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ২০০ কোটি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০ কোটি এবং বিএসটিআই ১০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে।

সংস্কারের জন্য বন্দরের ৭টি জেটিতে স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভেড়ানো সাময়িক বন্ধ

জেটি সংস্কারের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থে জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভেড়ানো সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে বন্দর থেকে জানানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। জেটিতে জাহাজ ভেড়ানো নিরবচ্ছিন্ন রাখতে গর্ত সংস্কারের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে জেটিতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘জিসিবিতে (১ থেকে ৭ নম্বর জেটিতে) ৫০টি গর্ত তৈরি হয়েছে। গর্তগুলো বড় হয়ে যাওয়ায় জেটির রডও বেরিয়ে গেছে এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তখন এসব জেটিতে আর জাহাজ ভেড়ানো যাবে না। তাই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে শুধু স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভেড়ানো বন্ধ করে অন্যান্য সকল পণ্যবাহী জাহাজ এখানে ভেড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বন্দরের বহির্নোঙরে, কর্ণফুলী জেটিতে, ড্রাইডক জেটিতে এবং কনটেইনারের মাধ্যমে স্ক্র্যাপ আনতে পারবে। তাই স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসা বন্ধ থাকবে না, শুধু ভেড়ানোর জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে বন্দরের স্বার্থে। গত ৭০ বছরে জেটি সংস্কার হয়নি। কয়েক বছর ধরে স্ক্র্যাপবাহী জাহাজগুলো থেকে পণ্য নামানোর সময় জেটির ক্ষতি হয়েছে। এজন্য জেটিতে স্টিলের কাঠামো তৈরির কথাও বলেছিলাম। এখন ২ ও ৩ নম্বর জেটিতে স্টিলের কাঠামো করা হবে এবং সেখানেই শুধু স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভিড়তে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেটি সংস্কারে ২৮ দিন সময় লাগতে পারে। পুরোদমে সংস্কারকাজ চলছে। ২৮ দিন পর আবারও স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ নির্ধারিত জেটিতে ভিড়তে পারবে।’

লকডাউনে বেসরকারি আইসিডি থেকে পণ্য খালাসের প্রস্তাব চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের

চট্টগ্রাম বন্দরকে কনটেইনার জটমুক্ত রাখতে লকডাউনে সব আমদানি করা পণ্য বেসরকারি আইসিডি থেকে খালাসের প্রস্তাব দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। লকডাউনে কার্যক্রম সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৯ জুন এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বন্দর, কাস্টমস, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান লকডাউনকালে সব রকম আমদানি করা পণ্য বেসরকারি কনটেইনার ডিপো থেকে ডেলিভারি দেওয়ার পক্ষে অভিমত দেন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

এ সময় বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসজনিত সংকটময় পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক শিল্পে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারখানা। ক্রেতারা অর্ডার বাতিল কিংবা স্থগিত করছেন। এ সময় অতিরিক্ত চার্জ দিয়ে বেসরকারি আইসিডি থেকে পণ্য খালাস কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘গত বছর করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতিতে কনটেইনার ডেলিভারির গতি শ্লথ হওয়ায় বন্দরে ভয়াবহ কনটেইনারজট সৃষ্টি হয়, যা থেকে উত্তরণে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও দফায় দফায় বৈঠক করতে হয়েছে। ওই সময় সব কনটেইনার সরাসরি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে নিয়ে সেখান থেকে খালাসের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করা হয়েছিল। তাই ১ জুলাই থেকে ঘোষিত লকডাউনে যাতে অতীতের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তারই আগাম সতর্কতা হিসেবে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে রাজস্ব আদায়ে ৫০ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের রাজস্ব আদায়ে ৫০ হাজার ৮০৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার মাইলফলক অর্জন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। কেবল রাজস্ব আদায়ে নয়, নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে বিগত ১৩ বছরের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনেও। করোনা মহামারির মধ্যে নতুন মাইলফলক অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে জড়িতরা। এ মাইলফলক রাজস্ব আদায়ে আরও গতি আনবে বলে মনে করছেন তারা। রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর অবস্থান, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাসে তদারকি বৃদ্ধি, পণ্য খালাসে জটিলতা নিরসনের দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রদান, এআইআর শাখা, অ্যান্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট এবং নিলাম কার্যক্রমকে গতিশীল করা, রাজস্ব নিয়ে ঝুলে থাকা মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ, করোনা মহামারির মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত অফিসসহ নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল ৫৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছিল ৪১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬৪ হাজার ৩০৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৭ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের টার্গেট ছিল ৬৩ হাজার ৬১৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এদিন পর্যন্ত আদায় হয়েছে ৫০ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের (২০১৯-২০) ২৭ জুন পর্যন্ত আদায় হয়েছিল ৪০ হাজার ৮৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেই কাস্টম হাউস একদিনের জন্যও বন্ধ ছিল না। রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন। আমদানি-রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, ‘২০০৭-০৮ অর্থবছরে কেবল ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। ২০১০-১১ অর্থবছরে ছিল ২১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ২২ থেকে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।’

এসডিজি অর্জনে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া শীর্ষ তিন দেশের একটি বাংলাদেশ

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে যেসব দেশ দ্রুত এগিয়েছে তাদের শীর্ষ তিনে রয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এসডিজি অর্জনে এগিয়ে থাকা অন্য দুটি দেশ হলো আফগানিস্তান ও আইভরিকোস্ট।

করোনা মহামারির কারণে এসডিজি অর্জন ব্যাহত হচ্ছে। ২০১৫ সালে এসডিজি প্রণয়নের পর এই প্রথম সূচকের স্কোর আগের বছরের চেয়ে কমে গেছে। এর মূল কারণ পৃথিবীজুড়ে দরিদ্রতা বেড়ে যাওয়া ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়া। জাতিসংঘ ২০১৫ সালে এসডিজি প্রণয়ন করে, যা বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ বছর। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করাই এর মূল লক্ষ্য। এতে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলোর মধ্যে দরিদ্রতা দূর করা, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সুস্বাস্থ্য, উন্নত শিক্ষা ও লিঙ্গবৈষম্য প্রতিরোধ করা অন্যতম।

লকডাউনে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখতে ২৯ জুন এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বন্দর চেয়ারম্যানসহ কাস্টমস, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন

এসডিজির এবারের সূচকে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর এই স্কোর ছিল ৬৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে যখন এসডিজি গৃহীত হয় তখন বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৯ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। বিশ্বের ১৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তান থেকে এগিয়ে।

এবারের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে আ ছে ফিনল্যান্ড। দেশটির স্কোর ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এর পরের চার দেশ হলো সুইডেন, ডেনমার্ক, জার্মানি ও বেলজিয়াম। আর সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশ হলো মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, এর আগে আছে সুদান ও সাদ। তালিকায় যে তিনটি দেশের অবনমন হয়েছে, সেগুলো হলো ভেনিজুয়েলা, টুভালু ও ব্রাজিল। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে ভুটান। দেশটির অবস্থান ৭০তম। এরপর আছে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। তাদের অবস্থান যথাক্রমে ৭৯, ৮৭ ও ৯৬তম।

২০২০ সালে জার্মানির জাহাজনির্মাণ খাতে আয় কিছুটা কমেছে

২০২০ সালে জার্মানির শিপবিল্ডিং ও অফশোর ইকুইপমেন্ট শিল্প খাতে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি ইউরো। আগের বছরের তুলনায় এ আয় কিছুটা কম। অবশ্য বরাবরের মতো এ খাতের আয়ে বৈদেশিক ব্যবসার অবদান ছিল বেশ ভালো, ৭৬ শতাংশ। জার্মান ইকুইপমেন্ট ও শিপবিল্ডিং অ্যাসোসিয়েশন ভিডিএমএ প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দীর্ঘদিন ধরেই জার্মানির জাহাজনির্মাণ খাত রপ্তানিকেন্দ্রিক পরিকল্পনা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এ খাতে প্রায় ৪০০ কোম্পানি রয়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৬৩ হাজার কর্মীর। করোনা মহামারির কারণে গত বছর এ খাতে রাজস্ব ৪ দশমিক ৯ শতাংশ কমলেও পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হওয়ার পথে রয়েছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। এমনকি গত বছর মন্দার মধ্যেও ভিডিএমএর ৩১ শতাংশ সদস্যের আয় বেড়েছে।

মহামারির প্রভাব কাটিয়ে বন্দরের ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগী বিপিএ

ব্রেক্সিট ও কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধে আরোপিত টানা লকডাউনের কারণে গত ১৮ মাসে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করেছে যুক্তরাজ্যের বন্দরগুলো ও মেরিটাইম সেক্টর। এদিকে ডিকার্বনাইজেশন, অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশনের মতো ট্রেন্ডগুলোর কারণে বিজনেস ল্যান্ডস্কেপ ও ভোক্তা আচরণে প্রত্যাশাতীত গতিতে রূপান্তর ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে বন্দরগুলো ও মেরিটাইম ব্যবসায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো যেন তাদের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে এবং নতুন বিপণন কৌশল আয়ত্ত করতে পারে, সে লক্ষ্যে নতুন একটি টুলকিট প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

বিপিএর অধীনে রয়েছে বেশ কয়েকটি পোর্ট ও হারবার, যেগুলো সম্মিলিতভাবে যুক্তরাজ্যে মেরিটাইম কার্যক্রমের ৮৬ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। নতুন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বন্দরগুলো যেন প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে পারে, সে বিষয়ে সহায়তার লক্ষ্যেই নতুন টুলকিট প্রকাশ করেছে বিপিএ।

যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপিতে বেসরকারি শিপইয়ার্ডগুলোর অবদান ৪২৪০ কোটি ডলার

যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) দেশটির বেসরকারি শিপইয়ার্ডগুলো ৪ হাজার ২৪০ কোটি ডলার অবদান রাখছে। মার্কিন পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন মেরিটাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এমএআরএডি) নতুন একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘দ্য ইকোনমিক ইম্পরট্যান্স অব দ্য ইউএস প্রাইভেট শিপবিল্ডিং অ্যান্ড রিপেয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ২০১৯ অর্থবছরের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫৪টি বেসরকারি শিপইয়ার্ড প্রত্যক্ষভাবে ১০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং শ্রমআয় হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে ৯৯০ কোটি ডলার যোগ করেছে। আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে এ খাতে মোট কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের। শ্রমআয় হিসেবে যোগ হয়েছে ২ হাজার ৮১০ কোটি ডলার। আর সব মিলিয়ে জিডিপিতে যোগ হয়েছে ৪ হাজার ২৪০ কোটি ডলার।

সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে কনটেইনার শিপ ভাড়া করেছে হোম ডিপো

কয়েক মাস ধরে নিজেদের স্টোরগুলোয় পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে রিটেইলারদের। আর এর কারণ হলো পণ্য পরিবহনে সক্ষমতার ঘাটতি। এ অবস্থায় উত্তর আমেরিকার অন্যতম বড় বিগ-বক্স স্টোর হোম ডিপো অনন্য এক পদক্ষেপ নিয়েছে। নিজেদের সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে আস্ত একটি কনটেইনার শিপ ভাড়া করেছে তারা। কোম্পানিটির ৪০ বছরের ইতিহাসে স্টোরগুলোয় পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এই প্রথম এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

মার্কিন হোম ইম্প্রুভমেন্ট রিটেইলার হোম ডিপো উত্তর আমেরিকার অন্যতম শীর্ষ আমদানিকারক। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় প্রায় ২ হাজার ৩০০ স্টোর রয়েছে তাদের। ২০২০ সালে তারা রাজস্ব আয় করেছে ১৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারের বেশি।

এক্সিলারেশন প্রোগ্রামের জন্য ১৫ প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করেছে পোর্টএক্সএল

ষষ্ঠ পোর্টএক্সএল এক্সিলারেশন প্রোগ্রামের জন্য ১১টি দেশের ১৫টি উদ্ভাবনী স্টার্টআপকে বাছাই করেছে খাত বিশেষজ্ঞ, বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের একটি প্যানেল। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী তিন মাস এই ১৫টি কোম্পানির প্রতিনিধিরা রটারডামে অবস্থান করবে। পোর্টএক্সএল টিম এবং এর বিশেষজ্ঞ মেন্টর ও পার্টনারেরা তাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি উপস্থাপন ও ব্যবসা গুছিয়ে নেওয়ার কাজে সহায়তা করবেন। ২ ডিসেম্বর কর্মসূচিটি শেষ হবে, যখন স্টার্টআপ ও করপোরেট পার্টনারদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হবে।

২০১৯ সালে এই আয়োজনে পাঁচ শতাধিক অতিথি অংশ নিয়েছিলেন এবং ১৬ অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান মোট ২৯টি চুক্তি বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিল। পোর্টএক্সএলের মূল লক্ষ্য পরিবেশবান্ধব জ্বালানির জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনের গতি ত্বরান্বিত করা।