Home Blog Page 216

বাল্টিকে পরিবেশবান্ধব বাংকার হাব প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের

বাল্টিক অঞ্চলে একটি গ্রিন বাংকার হাব প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম। এই হাবে জাহাজগুলো পরিবেশবান্ধব জ্বালানি রিফুয়েল করতে পারবে। এই কনসোর্টিয়ামে রয়েছে ওরস্টেড, মোলসলিনজেন, হ্যালডর টপসো, বাংকার হোল্ডিং গ্রুপ, ওয়ার্টসিলা, রামবোল, ব্যুরো ভেরিতাস ও পোর্ট অব রনে।

এর আগে ডেনিশ সরকার বাল্টিক সাগরের মাঝবরাবর অবস্থিত বর্নহোম আইল্যান্ডে এ অঞ্চলের জন্য একটি হাব গঠনের সুপারিশ করেছিল। টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলার যে মহাপরিকল্পনা দেশটির রয়েছে, তারই অংশ হিসেবে এ সুপারিশ করা হয়। ডেনিশ সরকারের সেই সুপারিশের ধারাবাহিকতাতেই কনসোর্টিয়ামটি এই হাব তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। তারা বর্নহোমে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি রিফুয়েলিংয়ের জন্য একটি বাংকারিং স্টেশন স্থাপনের কী কী সুযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে।

সাগরে প্লাস্টিক দূষণ ঠেকাতে বিমকোর উদ্যোগ

সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জাহাজগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য পানিতে ফেলা হয়। সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তৃতায় সংস্থাটির সমুদ্র-বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি পিটার টমসন জানান, ‘প্রায় ১৫ কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য, মাইক্রোপ্লাস্টিক ও পরিত্যক্ত মাছ ধরার সরঞ্জাম সাগরে ফেলা হয়েছে। আমরা প্লাস্টিকের ওপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি যে, এই দূষণ এখন সামুদ্রিক পরিবেশের জন্য ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে।’

প্লাস্টিক দূষণের এই ভয়াবহ ফলাফল সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে নতুন কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে বাল্টিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম কাউন্সিল (বিমকো)। এটি যে সামুদ্রিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ, সে বিষয়ের ওপর জোর দিতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে তারা। উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার বাতিল করে বায়োডিগ্রেবল বোতল ব্যবহারে সহায়তা দেওয়া। এছাড়া মাইক্রোপ্লাস্টিক বিষয়ে করণীয় নির্ধারণের জন্য গোলটেবিল বৈঠকের মতো কয়েকটি আলোচনা সভারও আয়োজন করবে তারা।

বিকল্প জ্বালানি হিসেবে অ্যামোনিয়ার ব্যবহার নিয়ে গবেষণা চালাবে ২৩ প্রতিষ্ঠান

ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে সবাই। আর অল্টারনেটিভ মেরিন ফুয়েল হিসেবে অ্যামোনিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব ইস্যু রয়েছে, সেগুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যৌথ গবেষণা চালাবে খাতসংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপ। এ লক্ষ্যে একটি ফ্রেমওয়ার্কও তৈরি করেছে তারা।

এই গ্রুপে রয়েছে জ্বালানি, মাইনিং, পাওয়ার ইউটিলিটি, কেমিক্যাল, টার্মিনাল, শিপিং, জাহাজনির্মাণ, ম্যানুফ্যাকচারিং, বাংকারিং ও ক্লাসিফিকেশন খাতের মোট ২৩টি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি তারা একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে, যার অধীনে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে অ্যামোনিয়া ব্যবহারের বিভিন্ন কমন ইস্যু যেমন জাহাজের সুরক্ষা, অ্যামোনিয়া বাংকারিংয়ের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা, অ্যামোনিয়া উৎপাদনে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের নিট পরিমাণ ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করবে তারা।

নাইজেরিয়ার ডিপ ব্লু-প্রজেক্টকে শিপিং ইন্ডাস্ট্রির সাধুবাদ

গালফ অব গিনিতে পাইরেসির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নাইজেরিয়া সরকারও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এ ধরনের দুষ্কর্ম থেকে নিজেদের সমুদ্রসীমাকে সুরক্ষিত রাখতে ডিপ ব্লু-প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। এই প্রকল্পে রয়েছে সামরিক ও আইন প্রয়োগের অবকাঠামোগত উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ। শিপিং খাতের সংগঠন রাউন্ডটেবল অব শিপওনার অ্যাসোসিয়েশন ও ওসিআইএমএফ নাইজেরিয়া সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এবং সহায়তার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

নাইজেরিয়ান মেরিটাইম সেফটি এজেন্সি (নিমাসা) এই মাল্টি-এজেন্সি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। প্রকল্পটির অধীনে থাকবে দুটি স্পেশাল মিশন ভেসেল, দুটি স্পেশাল মিশন লং-রেঞ্জ এয়ারক্রাফট, ১৭টি ফাস্ট-রেসপন্স ভেসেল; যেগুলো ৫০ নট পর্যন্ত গতি তুলতে পারে তিনটি হেলিকপ্টার ও চারটি এয়ারবর্ন ড্রোন। লাগোসে অবস্থিত একটি সেন্ট্রাল কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

ক্যানাল ইস্তাম্বুলের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

বসফরাস প্রণালির ওপর থেকে চাপ কমাতে এর সমান্তরালে নতুন একটি খাল খনন প্রকল্প হাতে নিয়েছে তুর্কি সরকার। ক্যানাল ইস্তাম্বুল নামের এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান সম্প্রতি প্রস্তাবিত এই খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে উচ্চাভিলাষী এই প্রকল্পের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

ক্যানাল ইস্তাম্বুল কৃষ্ণ সাগরের সঙ্গে মর্মর সাগরের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন সক্ষমতা আরও বাড়াবে। এরদোয়ান ২০১১ সালে এই প্রকল্পের ঘোষণা দেন। কিন্তু বিভিন্ন পেশাজীবী সংস্থা ও এনজিওর পক্ষ থেকে তীব্র বাধা আসায় এর কার্যক্রম পিছিয়ে যায়। তাদের দাবি, এই খাল খনন করা হলে ইস্তাম্বুল শহরে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তবে এরদোয়ান সবসময়ই দাবি করে আসছেন, ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই জলপথ পরিবেশগত কোনো ক্ষতি সাধন তো করবেই না, বরং এটি ইস্তাম্বুলের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করবে।

নিঃসরণ কমাতে নতুন পদক্ষেপ আইএমওর

আন্তর্জাতিক শিপিং খাতে কার্বন তীব্রতা হ্রাসের মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নতুন কিছু বাধ্যবাধকতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)। গত ১০-১৭ জুন অনুষ্ঠিত আইএমওর মেরিটাইম এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন কমিটি  (এমইপিসি) বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রিভেনশন অব পলিউশন ফ্রম শিপসের (এমএআরপিওএল) অ্যানেক্স সিক্সে সংশোধন আনা হয়।

এই সংশোধনীর অধীনে জাহাজগুলো তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে বাধ্য থাকবে। সংশোধনীটির সঙ্গে টেকনিক্যাল ও অপারেশনাল কিছু বিষয় জড়িত। আইএমওর নতুন পদক্ষেপের ফলে সব জাহাজকে তাদের এনার্জি এফিশিয়েন্সি এক্সিস্টিং শিপ ইনডেক্স (ইইএক্সআই) হিসাব করতে হবে। এছাড়া আরও কিছু বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে এই সংশোধনীর মাধ্যমে।

২০২০ সালে ইইউ মেরিটাইম ট্রাফিক কমেছে ১০%

বিশ্ব বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বিশ^জুড়ে প্রতি পাঁচটি জাহাজের এটি চলাচল করে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের পতাকা বহন করে। আর সমুদ্রপথে বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অবদান রয়েছে এ জোটের। কিন্তু ২০২০ সালটা সমুদ্র বাণিজ্যে ইইউর জন্য খুব একটা ভালো যায়নি। করোনা মহামারির কারণে গত বছর ইইউ মেরিটাইম ট্রাফিক কমেছে ১০ দশমিক ২ শতাংশ।

ইউরোপিয়ান মেরিটাইম সেফটি এজেন্সি (ইএমএসএ) একটি পরিসংখ্যানগত পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্রুজ শিপ ট্রাফিক। ২০১৯ সালের তুলনায় তা প্রায় ৮৬ শতাংশ কমে গেছে। সে তুলনায় বাল্ক ক্যারিয়ার, কেমিক্যাল ট্যাংকার, কনটেইনার শিপ ও অয়েল ট্যাংকার চলাচলের ওপর আঘাত কিছুটা কমই লেগেছে। গত বছর এ ধরনের জাহাজের ট্রাফিক কমেছে মাত্র ৫ শতাংশ।

দ্বিতীয় আইএমডিইসিতে গুরুত্ব পাবে পশ্চিম আফ্রিকার সমুদ্রনিরাপত্তা

সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলে মেরিটাইম সিকিউরিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর এ অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজে জলদস্যু হামলার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে পশ্চিম আফ্রিকার বন্দরগুলো মেরিটাইম সিকিউরিটি জোরদার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর তাদের এই উদ্যোগের কারণে ৫ হাজার কোটি ডলারের একটি সম্ভাবনাময় বাজার তৈরি হয়েছে। ৬-৮ জুলাই ঘানায় অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্সে (আইএমডিইসি) এ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

সেনেগাল থেকে অ্যাঙ্গোলা পর্যন্ত বিস্তৃত গালফ অব গিনিতে উপকূল রেখা রয়েছে প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার। আফ্রিকার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে জ্বালানি তেল ও গ্যাসসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ একটি শিপিং জোন এটি। দৈনিক অন্তত দেড় হাজার মাছ ধরার জাহাজ, ট্যাংকার ও কার্গো শিপ চলাচল করে এই রুট দিয়ে। গত বছর সেখানে জাহাজে হামলার ৮৪টি ও মুক্তিপণের জন্য ক্রু অপহরণের ১৩৫টি ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে বিশ^জুড়ে সাগরে অপহরণের যত ঘটনা ঘটছে, তার প্রায় ৯৫ শতাংশই ঘটছে এই অঞ্চলে।

পারস্পরিক সমন্বয় বাড়াতে ১৯ বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা

ডিজরাপশন, ডিজিটালাইজেশন ও ডিকার্বনাইজেশন- এই তিন ইস্যুতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে একটি সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ১৯টি বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২২ ও ২৩ জুন অ্যান্টওয়ার্প পোর্ট অথরিটি আয়োজিত ষষ্ঠ পোর্ট অথরিটিজ রাউন্ডটেবল (পিএআর)-এ এই সমঝোতায় স্বাক্ষর করে তারা।

মেরিটাইম খাতে অংশীজনদের বর্তমানে ডিজরাপশন, ডিজিটালাইজেশন ও ডিকার্বনাইজেশন ইস্যুতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বন্দর কতৃপক্ষগুলো কীভাবে উদ্ভাবনী প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, পিএআরে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া রাউন্ডটেবলে পিএআর সদস্যদের প্রতি ক্রু পরিবর্তন, সাইবার সুরক্ষা, ডিকার্বনাইজেশনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদারের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

সংবাদ সংক্ষেপ – জুলাই

বার্জ বাল্ক ও ইয়ারা মেরিনের মধ্যে নতুন চুক্তি

ড্রাই বাল্ক ওনার বার্জ বাল্ক ও ইয়ারা মেরিন টেকনোলজিসের মধ্যে পার্টনারশিপ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এবার সেই সম্পর্ক আরও মজবুত করতে নতুন একটি চুক্তি করেছে তারা, যার অধীনে বার্জ বাল্কের জাহাজে আরও বেশি সংখ্যক ইন-লাইন স্ক্রাবার ইনস্টল করবে ইয়ারা মেরিন।

এরই মধ্যে বার্জ বাল্কের প্রায় ৩০টি ক্যারিয়ারে ইয়ারা মেরিনের ইন-লাইন স্ক্রাবার ব্যবহৃত হচ্ছে। নতুন চুক্তিটির মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগে কোম্পানি দুটির অভিন্ন অবস্থান ফুটে উঠেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিআরএস, ডেল্টামেরিন ও ব্যুরো ভেরিতাসের মধ্যে অংশীদারিত্ব চুক্তি

বিশ^জুড়ে জাহাজ মালিকদের কার্যকর শিপ পারফরম্যান্স ও জ¦ালানি রূপান্তরের সলিউশন প্রদানের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিপব্রোকার বিআরএস, ডেল্টামেরিন ও ব্যুরো ভেরিতাস।

তাদের এই পার্টনারশিপের মূল লক্ষ্য হলো জাহাজ মালিকরা যেন তাদের জাহাজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন, যাচাই ও উন্নত করতে সক্ষম হয়, সেজন্য একটি পাথওয়ে ও টুলস সরবরাহ করা। অংশীদারিত্বের অধীনে ডেল্টামেরিন অপ্টিমাইজেশন সলিউশনসের ক্যালকুলেশন ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ করবে। বিআরএস দেখবে আর্থিক পারফরম্যান্স ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি।

নতুন তিন জাহাজ নিয়ে ২০২১-২২ মৌসুম শুরু করবে কস্তা ক্রুজেস

২০২১-২০২২ মৌসুমে আকর্ষণীয় সব ভ্রমণ অফার নিয়ে নতুন উদ্যমে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে ইতালীয় কোম্পানি কস্তা ক্রুজেস। ভূমধ্যসাগর, ক্যারিবীয় অঞ্চল, আমিরাত ও দক্ষিণ আমেরিকায় ক্রুজ শিপিংয়ে নতুন সব ফিচার যোগ করেছে তারা।

যাত্রীদের প্রমোদভ্রমণ আরও আনন্দপূর্ণ করতে কস্তা ক্রুজেস ২০২২ সালের বসন্ত থেকে নতুন তিনটি ইনোভেটিভ শিপ নিজেদের বহরে যোগ করবে। কস্তা ফিরেঞ্জা, কস্তা তোসানা ও কস্তা স্মেরালদা নামের নতুন জাহাজগুলো ভূমধ্যসাগরে ক্রুজ সেবা দেবে।

উপকূলীয় মৎস্য আহরণের আইনে সংশোধন আনছে রাশিয়া

ফিশারি ও জলজ জীবসম্পদের সুরক্ষায় করা একটি ফেডারেল আইনের উপকূলীয় মৎস্য আহরণ রেগুলেশনে সংশোধন আনছে রাশিয়ার ফেডারেল কাউন্সিল। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে রাশিয়ায় উপকূলীয় সমুদ্রসীমায় কেবল জীবন্ত/তাজা সামুদ্রিক জৈবসম্পদ পরিবহন, সংরক্ষণ ও আনলোড করার অনুমতি দেওয়া আছে। কিন্তু কিছু ফিশারি বেসিন রয়েছে, যেখানে যেতে আসতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এ কারণে আহরিত জৈবসম্পদের প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাতের সুযোগ চাইছিলেন মৎস্যজীবীরা। নতুন সংশোধনীতে সেই সুযোগই রাখা হয়েছে। 

মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্টেশনে পার্টনারশিপে যাচ্ছে ফেসকো-জেফকো

রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মধ্যে মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্টেশন চালু করতে যৌথভাবে কাজ করবে ফেসকো ট্রান্সপোর্টেশন গ্রুপ ও জেফকো গ্রুপ। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফেরামে এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

কোম্পানি দুটি জেনারেল, কনটেইনারাইজড, ওভারসাইজড ও প্যাকেজড কার্গো বিভিন্ন এলাকায় পরিবহনের জন্য এই মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্টেশন সুবিধা চালু করবে। এক্ষেত্রে তাদের বিশেষ নজর থাকবে দূরপ্রাচ্যের দিকে। আন্তর্জাতিক বড় ক্লায়েন্টদেরও সেবা দেবে তারা।

পিইআরএস সনদ পেল নর্থ সি পোর্ট

নর্থ সি পোর্ট সম্প্রতি ইউরোপিয়ান সি পোর্টস অর্গানাইজেশনের (এএসপিও) কাছ থেকে পিইআরএস সনদ অর্জন করেছে। এর অর্থ হলো, টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের জন্য ইউরোপের যেসব বন্দর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে, সেই তালিকায় নর্থ সি পোর্টের নামটিও যোগ হচ্ছে।

বিশ্বের প্রথম ক্রস-বর্ডার ও ফ্লেমিশ পোর্ট হিসেবে পিইআরএস সনদ পেল নর্থ সি পোর্ট। গত কয়েক বছর ধরে টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে যে কাজ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ, তারই স্বীকৃতি হিসেবে এ সনদ পেল তারা।

নতুন ১২টি কনটেইনার শিপের কার্যাদেশ দিয়েছে এইচএমএম

২০৩০ সাল নাগাদ কনটেইনার শিপিং দ্বিগুণে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে দক্ষিণ কোরীয় সরকার। এর ধারাবাহিকতায় দেশটির শিপিং কোম্পানি এইচএমএম ১৩ হাজার টিইইউ ধারণক্ষমতার নতুন ১২টি কনটেইনার শিপের কার্যাদেশ দিয়েছে। দাইয়ু শিপবিল্ডিং অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিএসএমই) ও হুন্দাই হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ (এইচএইচআই) এই জাহাজগুলো তৈরি করবে।

জাহাজগুলো নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে হুন্দাই ৭৮ কোটি ৮০ লাখ ও দাইয়ু ৭৮ কোটি ২০ লাখ ডলারের কার্যাদেশ পেয়েছে।

মিশন ইনোভেশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আইসিএস

পরিচ্ছন্ন জ¦ালানির বৈশ্বিক উদ্যোগ মিশন ইনোভেশন সম্প্রতি ‘মিশন ফর শিপিং’-এর ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে ২০৩০ সাল নাগাদ বৈশি^ক ডিপ-সি ফ্লিটের ৫ শতাংশ জাহাজকে নিঃসরণমুক্ত জ্বালানি দ্বারা চালিত করার লক্ষ্যমাত্রার কথা বলা হয়েছে। শিপ অপারেটরদের বৈশি^ক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিং (আইসিএস) এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।

মিশন ফর শিপিংয়ে সরকারি-বেসরকারি খাতে কার্বনমুক্ত প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নে গতি আনার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। আইএমওর নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিষয়টি খুবই জরুরি বলে আইসিএস মত দিয়েছে।

সেন্ট্রাল আর্কটিকে মৎস্য আহরণ নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক চুক্তি কার্যকর

সেন্ট্রাল আর্কটিক ওশানের হাই সিজ অঞ্চলে অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে যে আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল, তা কার্যকর হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে আগামী ১৬ বছর এ অঞ্চলে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো কর্তৃক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য আহরণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

উত্তর মহাসাগরের হাই সিজ অঞ্চলে বরফের আস্তরণ বর্তমানে সংকোচনের পর্যায়ে রয়েছে, যা বাণিজ্যিক মৎস্য আহরণের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কিন্তু এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে জানতে হলে এটি নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। সেই লক্ষ্যেই চুক্তিটি কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন ক্লাস নোটেশন চালু করেছে কোরিয়ান রেজিস্টার

কনটেইনার সিকিউরিং ডিভাইসের জন্য নতুন ক্লাস নোটেশন চালু করেছে কোরিয়ান রেজিস্টার। উত্তাল সাগরে কনটেইনার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। এ কারণে কনটেইনার শিপ পরিচালনায় একাধিক নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে কোরিয়ান রেজিস্টার কনটেইনার সিকিউরিং ডিভাইসের জন্য প্রডাক্ট টেস্ট রুলস জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে তারা হাই হোল্ডিং টুইস্টলক (এইচএইচটি)  ও হাই হোল্ডিং সিকিউরিং (এইচএইচএস) নামে দুটি ক্লাস নোনটেশন চালু করেছে।

অফশোর উইন্ডের পাওয়ারহাউস হতে পারে অস্ট্রেলিয়া

নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে দেশে দেশে অফশোর উইন্ড ফার্মের কদর বাড়ছে। তবে অস্ট্রেলিয়া এতদিন এই প্রযুক্তির দিকে খুব একটা নজর দেয়নি। অথচ এই দেশটিরই অফশোর উইন্ডের পাওয়ারহাউস হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই জানানো হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ উপকূল জুড়ে বাতাসের গতিপ্রবাহ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। সেই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দশটির বেশি প্রস্তাবিত অফশোর উইন্ড ফার্ম প্রকল্প বর্তমানে বিবেচনাধীন রয়েছে। এগুলোর মিলিত সক্ষমতা অস্ট্রেলিয়ার সব কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে বেশি হবে।

ভারতে নাবিকদের করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রমে গতি

করোনার দ্বিতীয় প্রবাহ সামাল দিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত সরকার। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় নাবিকদের করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রমে গতি আনছে তারা।

বিশ্বজুড়ে মেরিটাইম খাতে ক্রু সরবরাহে ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ অবস্থায় নাবিকদের পরবর্তী শিডিউলড ডিপ্লয়মেন্টের আগেই তাদের টিকা প্রদান সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভারতের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরে বেশ জোরেশোরে এই কার্যক্রম চলছে। এগুলো হলো- মুম্বাই, কোচি, চেন্নাই, বিশাখাপত্তনম, কলকাতা ও থুথুকুড়ি।