Home Blog Page 220

যুক্তরাজ্যে বন্দরের পণ্য পরিবহনে মোডাল শিফটে জোরারোপ

২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের সড়কপথে ব্রিটিশ বন্দরগুলোর জন্য ৩০ কোটি টনের বেশি পণ্য পরিবহন করা হয়েছে। পোর্ট সেন্ট্রিক লজিস্টিকস অ্যান্ড পার্টনারের (পিসিএলপি) সর্বশেষ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বন্দরের পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে পোর্ট ট্রাফিক ও মোডাল স্পিøট নিয়ে এ গবেষণাটি পরিচালনা করেছে পিসিএলপি। ব্রিটিশ পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাজ্যে বন্দরের পণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে সড়কপথ। তবে এই সড়কপথের ওপর থেকে চাপ ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য বিপিএ মোডাল শিফটের ওপর জোর দিচ্ছে। সড়কপথের পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ জলপথে আরও বেশি পণ্য পরিবহনের সম্ভাব্যতার ওপর জোর দিচ্ছে তারা।

নতুন অ্যান্টি-জ্যাম ডিভাইস উন্মোচন করেছে নোভাটেল

নতুন একটি জিপিএস অ্যান্টি-জ্যাম (জিএজেটি) ডিভাইস উন্মোচন করেছে টেক ফার্ম হেক্সাগনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান নোভাটেল। বিশ্বজুড়ে মেরিটাইম এনভায়রনমেন্টে ইন্টারফারেন্স ও জ্যামিংয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে এমন একটি ডিভাইস বাজারে আনার ঘোষণা দিল তারা।

লো সাইজ, ওয়েট অ্যান্ড পাওয়ার (এসডব্লিুউএপি) জিএজেটি-৪১০এমএস ডিভাইসটির নকশা করা হয়েছে সিভিল ও মিলিটারি কার্যক্রমকে ইন্টারফারেন্স ও জ্যামিং থেকে সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে। ডিভাইসটি জিপিএস এল১ ও এল২ উভয় ব্যান্ডেই সুরক্ষা দিতে সক্ষম। এছাড়া গ্যালিলিও ই১, কিউজেডএসএস এল১ ও এল২ এবং এসবিএএস এল১ ব্যান্ডেও ইন্টারফারেন্স প্রতিরোধ করতে পারে ডিভাইসটি। যদি কোনো জাহাজ জ্যামিংয়ের শিকার হয়, তবে ডিভাইসটির ডিরেকশন ফাইন্ডিং সক্ষমতা সেই জ্যামিং সিগন্যালের উৎস শনাক্ত ও অবস্থান জানিয়ে দেবে।

সাগরে কনটেইনার হারানো প্রতিরোধে আইএমওতে আলোচনা

গত বছরের শেষ ও চলতি বছরের শুরুর দিকে মাত্র তিন মাস সময়ের মধ্যে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কনটেইনার সাগরে হারিয়ে গেছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ সংখ্যাটি অনেক বেশি। কী কারণে এমনটি হচ্ছে, তা বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কনটেইনার হারানো প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মেরিটাইম সেফটি কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

গত ৫-১৪ মে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাল্টিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম কাউন্সিলের (বিমকো) প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছেন।

সাগরে পড়ে যাওয়া ভাসমান কনটেইনার জাহাজ চলাচলে নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি করে। এছাড়া জলজ পরিবেশের জন্যও তা হুমকিস্বরূপ। গত কয়েক বছর ধরেই সাগরে কনটেইনার হারানোর ঘটনা ঊর্ধ্বমুখী। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর গড়ে ১ হাজার ৪০০ কনটেইনার সাগরে হারিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বের প্রথম মেরিটাইম স্কুল অব মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ চালু

রিমোট মেডিকেল অপারেশনস ও হেলথকেয়ার সেবাদানকারী ভিকান্ড সলিউশনসের সঙ্গে মিলে মেরিটাইম স্কুল অব মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ চালু করেছে মেরিটাইম ট্রেনিং ফার্ম সিমওয়েভ। দাবি করা হচ্ছে, বিশ্ব এ ধরনের প্রতিষ্ঠান এটাই প্রথম।

কোভিড-১৯ মহামারির এই সময়ে আরও বেশি অনবোর্ড সেফটির চাহিদা রয়েছে মেরিটাইম খাতে। এই চাহিদা মেটাতে প্রতিষ্ঠানটিতে একটি ইনফেকশাস ডিজিস কন্ট্রোল অফিসার ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।

সিমওয়েভের প্রধান নির্বাহী মার্সেল কাইন্ড বলেছেন, ‘আমাদের এই পার্টনারশিপের ফলে বিশ্বের সব শিপিং অপারেটর সহজেই মেডিকেল ও জনস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে। আমাদের কারিকুলামের উদ্দেশ্য প্রশিক্ষণার্থীদের মেডিকেল ও জনস্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং তাদের সঠিক জ্ঞান ও দক্ষতায় দীক্ষিত করে তোলা।’

আগামী বছর এশিয়ায় এলএনজির চাহিদা কমবে

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এশীয় অর্থনীতিতে যে ধস নেমেছিল, তা থেকে উত্তরণের গতি অনেকটাই শ্লথ রয়েছে। অন্যদিকে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) প্রতিদ্বন্দ্বী পারমাণবিক ও কয়লা জ্বালানি সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ভারতে অফশোর ডোমেস্টিক সাপ্লাইও বাড়বে। এসবের প্রভাবে আগামী বছর এশিয়ায় এলএনজির চাহিদায় প্রবৃদ্ধির গতি কমে যেতে পারে বলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান উডম্যাকেঞ্জি ধারণা করছে।

প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস বলছে, ২০২২ সালে এশিয়ায় এলএনজির চাহিদা বৃদ্ধি পাবে ১২ এমএমটিপিএ (মিলিয়ন মেট্রিক টন পার অ্যানাম)। এর আগে এ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১৯ এমএমটিপিএ। এদিকে আগামী বছর এলএনজির বৈশি^ক সরবরাহ ১৮ এমএমটিপিএ বাড়বে বলে ধারণা করছে উডম্যাকেঞ্জি।

কার্বন নিঃসরণ কমাতে অবদান রাখবে এলএনজি

বৈশ্বিক শিপিং খাতকে নিঃসরণমুক্ত করতে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টাই চালাচ্ছে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষগুলো। এ বিষয়ে একের পর এক বিধিনিষেধও আসছে তাদের পক্ষ থেকে। তারপরও বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ জাহাজ মালিক এখন পর্যন্ত কার্বন নিঃসরণ কমানোর কোনো কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেনি। এ পরিস্থিতিতেও আশা হারাচ্ছেন না খাতসংশ্লিষ্ট নেতারা। তারা মনে করছেন, আসন্ন দশকগুলোয় নিয়ন্ত্রণমূলক লক্ষ্যমাত্রার অনেকটাই পূরণ হবে। আর এতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)।

সম্প্রতি একটি ওয়েবিনারের চার শতাধিক অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে জরিপ প্রতিবেদন ও খাতসংশ্লিষ্ট নেতাদের একটি প্যানেলের অভিমতের ভিত্তিতে এমন আশাবাদের কথা জানিয়েছে এবিএস। তাদের লো কার্বন শিপিং সিরিজের তৃতীয় সংস্করণে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

নিঃসরণ কমাতে রেজলিউশন গ্রহণ ফিনিশ সরকারের

সমুদ্র ও অভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহন খাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় পদক্ষেপ ও অগ্রাধিকারের বিষয়ে একটি রেজলিউশন গ্রহণ করেছে ফিনল্যান্ডের সরকার। জীবাশ্ম জ¦ালানিমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে, তারই ওপর ভিত্তি করে এ রেজলিউশন প্রস্তুত করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পরিম-লের পাশাপাশি দেশীয় পরিবহন খাত ও আকাশসেবা খাতেও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে পৃথক রেজলিউশন নিয়েছে সরকার।

সরকারের এই রেজলিউশনে মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন খাতে বিকল্প জ¦ালানি ও অত্যাধুনিক প্রপালশন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যমান ও নির্মাণাধীন জাহাজগুলোয় যেন জ¦ালানি-কর্মদক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেই বিষয়টিরও উল্লেখ রয়েছে এই রেজলিউশনে।

অফশোর উইন্ড প্রকল্পে বন্দরকে ভূমিকা রাখার আহ্বান উইন্ডইউরোপের

বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের যে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ), তা পূরণের জন্য ইউরোপের বন্দরগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। উইন্ডইউরোপের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গভীর সমুদ্র বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পে সহায়তা করার জন্য ইউরোপীয় বন্দরগুলোকে অবশ্যই নতুন অবকাঠামো নির্মাণ ও বিদ্যমান অবকাঠামোর সম্প্রসারণের পথে হাঁটতে হবে।

উইন্ডইউরোপ ইউরোপীয় কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছে একটি পোর্ট স্ট্র্যাটেজি তৈরির, যার মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো ও নবায়নযোগ্য শক্তির টেকসই উৎপাদনে বন্দরগুলোর ভূমিকা কেমন হবে সে বিষয়ে একটি দিকনির্দেশনা থাকবে। ইউরোপে গভীর সমুদ্র বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে এখন পর্যন্ত যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলোয় সহায়তার জন্য বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে উইন্ডইউরোপ।

চাহিদা বাড়ায় ইউরোপে কনটেইনারের দাম বেড়েছে

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট স্থবিরতা কাটিয়ে গতি পেতে শুরু করেছে ইউরোপীয় রপ্তানি বাজার। সেখানকার রপ্তানিকারকরা এখন হন্যে হয়ে শিপিং কনটেইনারের খোঁজ করছেন। ফলে কনটেইনারের সংকট দেখা দিয়েছে, যা আগামী সপ্তাহগুলোয় আরও প্রকট হতে পারে। শিপিং কনটেইনার লিজিং ও ট্রেডিংয়ের অনলাইন প্লাটফর্ম কনটেইনার এক্সচেঞ্জের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।

কনটেইনার এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, অতিরিক্ত চাহিদার কারণে ইউরোপে কনটেইনারের দাম দ্রুতগতিতে বাড়ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই চার মাস সময়ে ইউরোপে প্রতিটি ২০ ফুট ব্যবহৃত কনটেইনারের দাম বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। ১ হাজার ৩৪৮ ডলারের কনটেইনারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৯ ডলার। এই চার মাসের মধ্যে কনটেইনারের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এপ্রিলে।

১১ বছরের রেকর্ড ভাঙার পথে ট্যাংকার ডিমোলিশন

চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ অয়েল ট্যাংকার ভাঙার জন্য ইয়ার্ডগুলোয় পাঠানো হয়েছে, তা এরই মধ্যে ২০১৯ ও ২০২০ সালের পুরো বছরের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। বছরের বাকি সময়টায় জাহাজ ভাঙার এই হার চলতে থাকলে ১১ বছরের রেকর্ড ভেঙে যাবে। বাল্টিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম কাউন্সিলের (বিমকো) সর্বশেষ একটি প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাসই দেয়া হয়েছে।

বিমকোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ১০টি ক্রুড অয়েল ও ৩৮টি অয়েল প্রডাক্ট ট্যাংকার ভাঙার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মার্চ ও এপ্রিলে ট্যাংকার ডিমোলিশনের ঘটনা বেশি ছিল।

এদিকে গত ৭ মে বাংলাদেশে ট্যাংকার ডিমোলিশন স্টিলের গড় মূল্য ছিল এলডিটি (লাইট ডিসপ্লেসমেন্ট টনেজ) প্রতি ৫২০ ডলার, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।