Home Blog Page 224

বাল্টিক অঞ্চলে ড্রোন নজরদারি বাড়িয়েছে ইএমএসএ

বাল্টিক অঞ্চলে জাহাজ থেকে নিঃসরণের মাত্রা নজরদারির লক্ষ্যে ড্রোন মনিটরিং প্রোগ্রাম সম্প্রসারণ করেছে ইউরোপিয়ান মেরিটাইম সেফটি এজেন্সি (ইএমএসএ)। এছাড়া কৃষ্ণ সাগরে কোস্ট গার্ড বাহিনীগুলোকে সহায়তা করাও এ সম্প্রসারিত কর্মসূচির অন্যতম উদ্দেশ্য।

এ কর্মসূচির আওতায় বিশেষ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে, যেগুলো নিঃসরণের মাত্রা পরিমাপ করতে পারে। এগুলো জাহাজের চলাচল ট্র্যাক করা ও ২৪ ঘণ্টা নজরদারির কাজেও ব্যবহার করা যাবে।

লিথুয়ানিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে এই নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ইএমএসএ। আগামী জুনের শেষ অব্দি কর্মসূচিটি চলবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্রগুলো বিনামূল্যে ইএমএসএর এই কর্মসূচির সুবিধা ভোগ করতে পারবে। ইইউ ঘিরে থাকা সব সাগরেই এই ড্রোনগুলো নজরদারি চালাতে সক্ষম।

জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ চাহিদার পূর্বাভাস কমিয়েছে রাইস্ট্যাড

সারা বিশ্ব পরিবহনসহ অন্যান্য খাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ধীরে ধীরে কমানোর প্রচেষ্টা চলছে, যার ফলশ্রুতিতে বাড়ছে বিদ্যুৎসহ অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের ব্যবহার। এ কারণে সামনের বছরগুলোয় জ্বালানি তেলের চাহিদা বেশ খানিকটা কমে যাবে। নরওয়েভিত্তিক জ্বালানি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রাইস্ট্যাড এনার্জি এমনটাই ধারণা করছে। প্রতিষ্ঠানটি জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ চাহিদার পূর্বাভাস দিনপ্রতি ১০ কোটি ১৬ লাখ ব্যারেলে (২০২৬ সালে) নামিয়ে এনেছে।

এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে করা এক প্রাক্কলনে এ চাহিদা দিনপ্রতি ১০ কোটি ২২ লাখ ব্যারেলের (২০২৮ সালে) পূর্বাভাস করেছিল রাইস্ট্যাড। এছাড়া করোনা মহামারি শুরুর আগে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ চাহিদা ২০৩০ সালে দিনপ্রতি ১০ কোটি ৬০ লাখ ব্যারেল থাকতে পারে।

কেনিয়ার লুমু পোর্ট নিয়ে উভয় সংকটে সরকার

কয়েক বছরের বিলম্বের পর চলতি বছরের ১৫ জুন আলোচিত লুমু পোর্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেনিয়া সরকার। তবে এই বন্দর ঘিরে সরকার কিছুটা উভয় সংকটে রয়েছে। বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লুমু পোর্ট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে কিনা, সেটি এখন সরকারের জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সেক্ষেত্রে কেনিয়ার প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত মোম্বাসা পোর্ট থেকে যথেষ্ট পরিমাণে রাজস্ব আহরণ না হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

৩৬ কোটি ৭০ লাখ ডলারে লুমু পোর্টের প্রথম তিনটি বার্থ নির্মাণ করা হয়েছে। এখন সেই বন্দরটি কেনিয়া সরকারের জন্য শে^তহস্তী হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বাণিজ্যিক জাহাজগুলো লুমু পোর্ট ব্যবহার করবে কিনা, সেই বিষয়ে সন্দিহান তারা।

ভারত সফরকারী ক্রুরা দেশে ফিরে বিপাকে

যেসব নাবিক সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ভ্রমণ করেছেন, তারা নিজ দেশে ফিরে বেশ বিপাকে পড়েছেন। এর কারণ কোভিড-১৯ মহামারি। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রকট রূপ ধারণ করায় সেখানে ভ্রমণের সাম্প্রতিক ইতিহাস রয়েছে এমন নাবিকদের ক্রু পরিবর্তনের কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করেছে সিঙ্গাপুর। একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দর কর্তৃপক্ষ।

শিপিং এজেন্সি জিএসি জানিয়েছে, ১৪ দিনের মধ্যে ভারত ভ্রমণ করেছেন, এমন বিদেশী নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইন্দোনেশিয়া। দক্ষিণ কোরিয়াও ভারতকে উচ্চঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছে।

এদিকে রয়েল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ভারতীয় নাবিকদের নিয়োগ দেয়া আপাতত বন্ধ রেখেছে। ক্রু সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, রয়েল ক্যারিবিয়ানের অ্যানথেম অব দ্য সি ক্রুজ শিপে ৩ মে থেকে অন্তত ৩০০ ভারতীয় ক্রুর যোগ দেয়ার কথা ছিল।

আনুষ্ঠানিকভাবে ইবিএল চালু করেছে এমএসসি

বিশ্বজুড়ে মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রিতে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের কার্যক্রমের ডিজিটালাইজেশনে একধাপ এগিয়ে গেল মেডিটারেনিয়ান শিপিং কোম্পানি (এমএসসি)। সম্প্রতি কোম্পানিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ইলেকট্রনিক বিল অব ল্যাডিং (ইবিএল) চালুর ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম শিপিং কোম্পানি হিসেবে এ সেবা চালু করল এমএসসি।

এর আগে ২০১৯ সাল থেকে নির্দিষ্ট কিছু দেশে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ইবিএল সেবার পরীক্ষা চালিয়ে সফল হয় এমএসসি। সেই সাফল্যের ওপর ভর করে এখন সারা বিশে^র গ্রাহকদের এই ডিজিটাল সলিউশন দিচ্ছে তারা।

শিপিং খাতকে সার্বিকভাবে ডিজিটালাইজড করার ক্ষেত্রে এমএসসির এই ইবিএল সলিউশন চালুকে বড় একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ডিজিটাল কনটেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেও ইবিএল কার্যকর করা গেলে এ খাতে প্রতি বছর সাশ্রয় হবে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইডাল টার্বাইনের নির্মাণ সম্পন্ন

আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর পথে আরও একধাপ এগুলো বিশে^র সবচেয়ে শক্তিশালী টাইডাল টার্বাইন অরবিটাল ওটু। সম্প্রতি এর দীর্ঘ ২০ মাসের নির্মাণযজ্ঞ শেষ হয়েছে। স্কটিশ কোস্টের যে জায়গায় এর কমিশনিং করা হবে, টার্বাইনটিকে এখন সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কমিশনিংয়ের পর এর সঙ্গে স্থানীয় অনশোর ইলেকট্রিসিটি নেটওয়ার্কের সংযোগ স্থাপন করা হবে।

টার্বাইনটির কাঠামোর দৈর্ঘ্য ২৪০ ফুটের বেশি। এর ওজন ৬৮০ টন। ২০১৯ সালের দ্বিতীয়ার্ধে টার্বাইনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। স্কটল্যান্ডের ডান্ডির ফোর্থ পোর্টসে এর নির্মাণকাজ চলে।

ওটু প্রকল্পে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হরাইজন ২০২০ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম ও ইউরোপিয়ান রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের তহবিল সহায়তা রয়েছে। এছাড়া ওশানএরা-নেট কোফান্ড, স্কটিশ সরকার ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক তহবিলের সহায়তাও রয়েছে এ প্রকল্পে।

গ্রীষ্মেই ক্রুজ শিপিং চালু হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে

করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বের মতো স্থবির হয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন খাতও। তবে দেশটির প্রমোদতরী অপারেটরদের জন্য আশার কথা শুনিয়েছে ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিস কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। এবারের গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়েই ক্রুজ ইন্ডাস্ট্রি প্যাসেঞ্জার অপারেশন পুনরায় শুরুর অনুমোদন দেয়ার কথা ভাবছে তারা।

মহামারির কারণে বছরখানেক ধরে ক্রুজ শিপিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেটি পুনরায় চালুর পথে বড় বাধা ছিল সিডিসির নিষেধাজ্ঞা। তবে গত ৮ এপ্রিল ফ্লোরিডা ও পরে আলাস্কা এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা করলে সিডিসি বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সংস্থাটি জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া দ্রুততর সময়ে শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে তারা।

এশিয়ায় শিপিং নিঃসরণ কমাতে জোট বাঁধছে আইএমও ও জার্মানি

এশিয়ায় সমুদ্র পরিবহন খাতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর সম্ভাবনা ও উপায় সন্ধানে একটি প্রকল্পে একযোগে কাজ করবে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) ও জার্মানি। এ বিষয়ে সম্প্রতি আইএমও ও ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর দ্য এনভায়রনমেন্ট, ন্যাচার কনজারভেশন অ্যান্ড নিউক্লিয়ার সেফটি অব জার্মানির (বিএমইউ) মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নৌপরিবহন খাত থেকে নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরির লক্ষ্যে উভয়পক্ষ এখন প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করবে। বিএমইউর ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ইনিশিয়েটিভের (আইকেআই) মাধ্যমে এই প্রকল্পে সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

এশিয়ায় সমুদ্র পরিবহনে কার্বন নিঃসরণ কমানোর এই প্রকল্প ব্লু সলিউশন প্রজেক্ট নামে পরিচিতি পেয়েছে। ১ এপ্রিল আইএমও ও বিএমইউর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে প্রথম পদক্ষেপ।

আইএমওর বায়োফাউলিং গাইডলাইনে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ইন-ওয়াটার শিপ ক্লিনিং

জাহাজের বায়োফাউলিং নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ২০১১ সালে একটি গাইডলাইন জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)। সংস্থাটি এখন সেই দিকনির্দেশনা পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখছে, এতে কী কী পরিবর্তন বা সংশোধন আনা দরকার। সম্প্রতি বিমকো ও আইসিএস মিলে ইন-ওয়াটার শিপ ক্লিনিং-সংক্রান্ত একটি মানদ- প্রস্তুত করেছে। তারা এখন এই মানদ- আইএমওর সেই গাইডলাইনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।

বায়োফাউলিং ব্যবস্থাপনাবিষয়ক গাইডলাইনটির পুনঃপর্যালোচনা করতে গিয়ে আইএমও নিজেও ইন-ওয়াটার ক্লিনিং সংশ্লিষ্ট ধারা আরও শক্তিশালী করার তাগাদা অনুভব করেছে। সংস্থাটি বলছে, বিমকো ও আইসিএস যে মানদ- প্রস্তুত করেছে, সেটি গাইডলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।

উল্লেখ্য, বিমকো ও আইসিএস এই প্রথম মেরিটাইম খাতে ইন-ওয়াটার ক্লিনিং সংক্রান্ত কোনো মানদ- প্রস্তুত করল।

দেড় বছরে অফশোর উইন্ড প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়বে ৫৭%

আগামী দেড় বছরে গভীর সমুদ্র বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পে চূড়ান্ত বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত ২০১৯-২০ মেয়াদের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বাড়বে। ওয়েস্টউড গ্লোবাল এনার্জি গ্রুপের সাম্প্রতিক একটি পর্যালোচনায় এমন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

ওয়েস্টউডের হিসাব বলছে, দেড় বছরে এসব প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ২০ দশমিক ৪ গিগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা যোগ হবে। এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো উদীয়মান অফশোর উইন্ড মার্কেটগুলো।

ভিয়েতনামে বড় আকারের অফশোর উইন্ড প্রজেক্টের কাজ এরই মধ্যে চলমান। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ৩ দশমিক ৪ গিগাওয়াট থাং লং ও ৩ দশমিক ৫ গিগাওয়াট লা গ্যান অফশোর উইন্ড ফার্ম। দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াটের একটি প্রকল্পের ঘোষণা সম্প্রতি দেয়া হয়েছে, যার কাজ শেষ হবে ২০৩০ নাগাদ। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ইউরো।