Home Blog Page 229

ব্রেক্সিটে জট বাড়বে ইউকের বন্দরগুলোয়

যুক্তরাজ্যের বন্দরগুলো এখন কনটেইনারের স্তূপে পরিণত হয়েছে। ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা এবং চলমান জটে পরিস্থিতি এতটাই বিপর্যস্ত যে, ইউরোপের বড় অন্য কোনো বন্দর কখনো তা প্রত্যক্ষ করেনি। কনটেইনার ট্রেডিং প্লাটফর্ম কনটেইনার এক্সচেঞ্জ তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

চলতি বছরের শুরু থেকেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দেশটির নেতৃস্থানীয় কনটেইনার টার্মিনালগুলো বিশে^র অধিকাংশ বন্দরের মতোই গত বছরের মহামারি-তাড়িত উচ্চ আমদানির মতো পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায়। এতে হলারস ও ভেসেলগুলো বিলম্বে পড়ে। পাশাপাশি বন্দরগুলোয় জমতে থাকে কনটেইনারের স্তূপ।

কনটেইনার এক্সচেঞ্জের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১ জানুয়ারি ইইউ থেকে বেরিয়ে দেশটি নিজস্ব শুল্ক ব্যবস্থা ও রীতিতে বাণিজ্য সম্পাদন শুরুর পর থেকে কনটেইনারজট আরও বেড়েছে।

এপ্রিলে উৎপাদনসীমা ছাঁটল ওপেক

তেলের বাজারে ভারসাম্য ফেরানোর গতি আরও ত্বরান্বিত করতে উৎপাদক দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা ওপেক এবং ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। তবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের জন্য রাশিয়া ও কাজাখস্তানকে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছে। ওপেক ও নন-ওপেক দেশগুলোর ১৪তম মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় বলা হয়, অতিরিক্ত সরবরাহ হ্রাসে স্বেচ্ছায় সৌদি আরব যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই মাসের জন্য এটা কার্যকর হয়েছে। দেশটি অবশ্য এপ্রিলেও দিনপ্রতি ১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন স্বেচ্ছায় কমানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাশিয়া ও কাজাখস্তান উৎপাদন বাড়াতে পারবে দিনপ্রতি যথাক্রমে ১ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল ও ২০ হাজার ব্যারেল।

এখনো অনিশ্চিত তেলের বাজারের ভবিষ্যৎ

বৈশ্বিক তেলের চাহিদা এখনো কমতির দিকে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। সংস্থাটি তাদের সর্বশেষ বার্ষিক মধ্যমেয়াদি বাজার প্রতিবেদন ‘অয়েল ইন ২০২১’-এ এ পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে সরকারগুলো যদি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির প্রশ্নে কঠোর নীতিগত অবস্থায় গ্রহণ করে, তাহলে ধারণার চেয়েও আগে তেলের চাহিদা সর্বোচ্চে (পিক) পৌঁছবে।

অবশ্য প্রতিবেদনের মুখ্য তথ্য হচ্ছে, বর্তমান নীতিগত বাস্তবতা যদি অব্যাহত থাকে তবে তেলের চাহিদা বাড়তে বাড়তে ২০২৬ সাল নাগাদ দিনপ্রতি ১০৪ মিলিয়ন ব্যারেলে (এমবিপিডি) দাঁড়াবে, ২০১৯ সালের চেয়ে যা ৪ শতাংশ বেশি।

আইইএ জানিয়েছে, ২০২৬ নাগাদ বৈশ্বিক তেল উৎপাদন সক্ষমতা ৫ এমবিপিডি বাড়তে পারে। ওই সাল পর্যন্ত তেলের চাহিদায় প্রবৃদ্ধি পূরণে সরবরাহ বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়বে ১০ এমবিপিডি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোই এর অর্ধেকটা সরবরাহ করবে, বিশেষ করে সৌদি আরব।

বিশ্বের প্রথম জাহাজ টানেল নির্মাণ করছে নরওয়ে

সেই ভাইকিংসদের সময় থেকেই সমুদ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য নরওয়ে। দেশটির জাহাজমালিক ও গবেষকরা সময়ে সময়ে মেরিটাইম প্রযুক্তির ভিত্তিটাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সামনে এনেছে এমনসব উদ্ভাবন, যা আগে কখনো দেখেনি বিশ্ব।

এবারের গল্পটি একটি টানেলের। তবে যেনতেন টানেল নয়, এটা নির্মাণ করা হচ্ছে কেবলই জাহাজের জন্য। কয়েক বছরের পরিকল্পনা শেষে দেশটির কোস্টাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিশ্চিত করেছে, স্টাড শিপ টানেল নির্মাণকাজ শুরুর অনুমতি তারা পেয়ে গেছে।

প্রকল্পটি নির্মাণে সময় লাগবে তিন থেকে চার বছর। নির্মাণ শেষে জাহাজগুলো নরওয়ের উপকূলসীমা নেভিগেশনে বিভিন্ন অঞ্চলকে পাশ কাটিয়ে চলাচল করতে পারবে। প্রকল্প ব্যয় নির্বাহে বেশ কয়েকটি স্টার্ট-আপ তহবিল থেকে সাড়ে ৩২ কোটি ডলার সংগ্রহ করে বিনিয়োগ করছে নরওয়েজিয়ান কোস্টাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

আর্কটিকে ব্ল্যাক কার্বন এখনই নিষিদ্ধের দাবি

আর্কটিক সমুদ্রপথে ভারী জ্বালানি তেলে (ব্ল্যাক কার্বন) চলাচলকারী জাহাজগুলো এখনই নিষিদ্ধ করতে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থার (আইএমও) প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে দ্য ক্লিন আর্কটিক অ্যালায়েন্স। ২১টি অলাভজনক সংস্থার আন্তর্জাতিক এ জোটটি জানিয়েছে, আর্কটিকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহার করা হলে ব্ল্যাক কার্বন দূষণ ৪৪ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে।

ক্লিন আর্কটিক বলছে, এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় আইএমও’র পলিউশন প্রিভেনশন অ্যান্ড রেসপন্স সাব-কমিটির বৈঠকে আর্কটিক দিয়ে চলাচলকারী জাহাজগুলোয় ভারী জ্বালানি তেল ব্যবহার নিষিদ্ধ করে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার সুযোগ রয়েছে। কার্বন নির্গমন রোধে জ্বালানি পরিবর্তন করলে আর্কটিকে দূষণ কমবে এবং আইএমও’র ডিকার্বোনাইজেশন লক্ষ্যের দিকেও এগিয়ে যাওয়া যাবে।

আন্তর্জাতিক এ জোটের তথ্যানুয়ায়ী, আগামী জুনে আইএমও প্রস্তাবিত ভারী জ্বালানি নিষিদ্ধের বিষয়টি অনুমোদিত হতে পারে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে।

কার্বন কর হিসেবে টনপ্রতি ১০০ ডলারের প্রস্তাব

পরিবেশবিষয়ক নীতিমালা নিয়ে তিন মাস পর আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থায় (আইএমও) আবারও শুরু হচ্ছে বিতর্ক। ডিকার্বোনাইজেশনের লক্ষ্য অর্জনের সর্বোত্তম উপায় হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন পক্ষ তাদের প্রস্তাবও উপস্থাপন করে চলেছে।

আইএমও’র তত্ত্বাবধানে ৫০০ কোটি ডলারের একটি গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল গঠনের জন্য শিপিং শিল্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে তাদের পক্ষে টানছে। এ পরিস্থিতিতে আবারও এগিয়ে এসেছে মার্শাল আইল্যান্ডস। আইএমও’র সমালোচনা করে দেশটি বলেছে, নিঃসরণ হ্রাসের প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকলে অবশ্যই প্রতি টন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাসুল হিসেবে ১০০ ডলার কর পরিশোধ বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। তাদের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে সলোমন আইল্যান্ডস।

মেরিটাইমে সবচেয়ে বড় পতাকাবাহী দেশ মার্শাল আইল্যান্ডস। কার্বন নিঃসরণ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিজনিত ঝুঁকির মধ্যে অন্যতম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এ দেশটি।

ভ্যাকসিনেশন লটারিতে বিপর্যস্ত ড্রাই বাল্ক শিল্প

চলমান শ্রমিক বদল সংকটের পাশাপাশি কোভিড টিকা প্রদানে জাহাজিরা অগ্রাধিকার না পাওয়ায় ড্রাই বাল্ক খাত চরম বিপর্যয়ে পড়েছে। বিশ্বের ড্রাই বাল্ক জাহাজমালিকদের নেতৃত্ব প্রদানকারী সংস্থা ইন্টারকার্গো এ পরিস্থিতিতে নাবিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদান কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্বের কিছু বন্দরে জাহাজে আরোহণকারী প্রত্যেকের টিকা নেওয়া থাকা বাধ্যতামূলক। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ একটি টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে চাপাচাপি করা হয়। ইন্টারকার্গো এ পরিস্থিতিকে গোটা শিল্পের জন্য গভীর এক সমস্যা হিসেবে দেখছে। সংগঠনটি বলছে, জাহাজিদের সবচেয়ে বড় অংশটি আসে উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে, যেখানকার অনেকগুলোয় এখনো টিকাকরণ কার্যক্রম শুরুই হয়নি। শিপিংয়ের অন্যান্য খাতের চেয়ে অনেক বন্দরে ড্রাই বাল্ক শিল্প ভুগছে সবচেয়ে বেশি এবং সংশ্লিষ্ট বন্দরদেশগুলোর জাতীয় টিকাকরণ নীতিমালার কৃপার ওপর থাকতে হচ্ছে।

বন্দর অবকাঠামো পরিকল্পনায় ভারতের ৮২ বিলিয়ন ডলার

ভারতের বন্দরগুলোয় ৮ হাজার ২০০ কোটি (৮২ বিলিয়ন) ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। সাগরমালা নামের এ প্রকল্প ২০৩৫ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন থাকবে। প্রকল্পের মোট সংখ্যা হবে ৫৮৪টি।

মেরিটাইম ইন্ডিয়া সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমুদ্র বাণিজ্যের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে বিশাল আকারের সরকারি ও বেসরকারি এ প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দেন। বিদেশি বিনিয়োগ ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘চারশ ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পে আরও ৩ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে। বন্দর খাতে আমরা বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করব; আহ্বান জানাব আমাদের বন্দরে, আমাদের জনগণের ওপর বিনিয়োগ করতে।’

বিনিয়োগ পরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে বন্দরগুলোর বিদ্যুৎ চাহিদার অর্ধেক নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে সরবরাহ করতে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে বলে জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

ক্রুজসেবা চালু করতে মামলার হুমকি ফ্লোরিডার

মার্কিন ক্রুজসেবা পুনরায় চালুর ওপর বিধিনিষেধ এখনো বলবৎ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। তবে নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষায় মোটেও রাজি নন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস। অসংখ্য ফ্লোরিডাবাসী ক্রুজসেবায় যুক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে জানিয়ে গভর্নর হুমকি দিয়েছেন, রাজ্য বর্তমানে আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখছে এবং ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে সম্ভবত মামলাও করতে যাচ্ছে।

অলাভজনক বাণিজ্য সংগঠন ফ্লোরিডা পোর্টস কাউন্সিল জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে যাত্রী কমে যাওয়ায় রাজ্যের ১ লাখ ৬৯ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছে। অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ক্ষতি হয়েছে ২৩ বিলিয়ন ডলার। সংগঠনটির তথ্য অনুযায়ী, ফ্লোরিডার ১৫টি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৯ লাখ মানুষের কাজ জোগায় এবং অর্র্থনীতিতে ১১৭ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখে। এ বন্দরগুলোর অধিকাংশই ক্রুজসেবার সঙ্গে যুক্ত।

ছবিতে সংবাদ – এপ্রিল

৩ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের স্টেকহোল্ডার সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। এ সময় বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। এ সময় পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

২৮ মার্চ বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডার একটি প্রতিনিধি দল ২২ মার্চ বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।