Home Blog Page 23

পূর্বাভাসের চেয়ে বাংলাদেশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে : এডিবি

পূর্বাভাসের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ, যেখানে সংস্থাটির পূর্বাভাস ছিল ৫.৩ শতাংশ। বুধবার এডিবি তাদের প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে এ তথ্য জানায়।

এডিবি জানায়, আমদানি ও রপ্তানির প্রেক্ষাপটে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তার তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে।

গত এপ্রিলে এডিবির পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৩ শতাংশ। কিন্তু সংস্থাটির আউটলুকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিতে বলিষ্ঠ অবস্থার আভাস রয়েছে। সংস্থাটি জানায়, গত অর্থবছরে বাংলাদেশে আমদানি প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া নিয়ে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা ততটা কমেনি।

সরকারি নীতিসহায়ক হওয়ায় সব ধরনের পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও দাবদাহের কারণে ফসলের যে ক্ষতি হয়েছিল তা আংশিক ভর্তুকি, প্রণোদনা ও অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে পূরণ করা হয়েছে। সংরক্ষণপ্রক্রিয়া, সহায়তামূলক কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা খাতে উন্নয়নের ফলে সার্বিকভাবে সেবা খাত এগিয়ে গেছে। জনসাধারণের পণ্য ক্রয় প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি সরকারি বিনিয়োগও বেড়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, গত এপ্রিলে এডিবি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ৬.৫ শতাংশের যে প্রাক্কলন দিয়েছিল, তা এখনো অপরিবর্তিত আছে। এডিবি এ বছর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য ৪.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলের ৪.২ শতাংশের তুলনায় এ বছরের পূর্বাভাসে উন্নয়নশীল এশিয়ায় মূল্যস্ফীতি ৩.৬ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।

আইএমওর পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন পানামার ডমিঙ্গেজ ভেলাস্কো

ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘের সমুদ্রবিষয়ক সংস্থাটির মেরিটাইম এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন ডিভিশনের বর্তমান প্রধান ও পানামার প্রতিনিধি আর্সেনিও অ্যান্টোনিও ডমিঙ্গেজ ভেলাস্কো। গতকাল (১৮ জুলাই) আইএমওর কাউন্সিল সভায় ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন তিনি।

গত বছরের ডিসেম্বরে আইএমওর নেতৃত্বে আসার জন্য প্রচারণা শুরু করেন ডমিঙ্গেজ। তার নির্বাচনী স্লোগান ছিল ‘ঐক্যবদ্ধ ও উত্তম ভবিষ্যতের জন্য নেতৃত্ব গ্রহণ’। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তার কাছে মানুষ ও ধরিত্রী সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবে।

ডমিঙ্গেজ ২০১৭ সাল থেকে আইএমওর মেরিন এনভায়রনমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি সংস্থাটির সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কমিটিরও একজন সদস্য। আইএমওর সঙ্গে তার সম্পর্ক ২০০৪ সাল থেকে। সে বছর তিনি সংস্থাটিতে পানামার অল্টারনেট রিপ্রেজেন্টেটিভ নিযুক্ত হন। ২০১৪ সালে আইএমওর পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধি নিযুক্ত হন ডমিঙ্গেজ।

পেশাগত জীবনে ডমিঙ্গেজ একজন নৌ-প্রকৌশলী। আন্তর্জাতিক সমুদ্র শিল্পে তার ২৫ বছরের বেশি পেশাগত অভিজ্ঞতা রয়েছে। লাতিন আমেরিকার প্রথম কোনো ব্যক্তি হিসেবে আইএমওর মহাসচিব হতে যাচ্ছেন ডমিঙ্গেজ। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়ার আগে কয়েক দফার গোপন ভোটেও তিনি এগিয়ে ছিলেন।

ডমিঙ্গেজ আইএমওর বর্তমান মহাসচিব কিটাক লামের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরীয় নাগরিক লামের মেয়াদ শেষ হবে। তিনি দুই মেয়াদে সংস্থাটির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।

আইএমওর পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত মোট সাতজন প্রার্থী লড়েছেন। ডমিঙ্গেজ ছাড়া বাকি ছয় প্রার্থী ছিলেন বাংলাদেশের মঈন উদ্দিন আহমেদ, তুরস্কের সুয়াত হায়রি আকা, চীনের ঝ্যাং শিয়াওজি, কেনিয়ার ন্যান্সি কারিগিথু, ক্যারিবীয় দ্বীপ ডমিনিকার ডা. ক্লিওপেট্রা ডৌম্বিয়া-হেনরি ও ফিনল্যান্ডের মিন্না কিভিমাকি।

গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় আইএমওর ৩৩তম পরিষদ অধিবেশনে জমা দেওয়া হবে। সেই অধিবেশনে পরিষদ সদস্যরা ডমিঙ্গেজের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিতে অনুমোদন দিলে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন তিনি।

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলোদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত বর্তমানে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক বাণিজ্য আরও জোরদারের তাগিদ দেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দারুণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে দুই দেশের বাণিজ্যকে আরও জোরদার করার সুযোগ রয়েছে। ভারতে রপ্তানি করার মতো বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনাময় পণ্য রয়েছে, যেগুলো ভারত বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে। বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের অনেক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রয়োজনে সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে ভারতের জন্য স্পেশাল ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করতে পারে সরকার। সেখান থেকে পণ্য উৎপাদন করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সরবরাহ করা যেতে পারে।

দেশে নির্মিত প্রথম প্রমোদতরীর সি ট্রায়াল শুরু করেছে চীন

সি ট্রায়াল শুরু করেছে চীনের প্রথম দেশীয়ভাবে নির্মিত প্রমোদতরী অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটি। এর মাধ্যমে জাহাজ নির্মাণের জটিল এই খাতটিতে নিজেদের সক্ষমতা অর্জনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চীন।

অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটিকে চীনারা নিজেদের ভাষায় নাম দিয়েছে আদা মোদু, যেটি আবার সাংহাইয়ের স্থানীয় নাম। ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ গ্রস টনের প্রমোদতরীটি নির্মাণ করেছে চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং করপোরেশনের (সিএসএসসি) অধীন সাংহাই ওয়াইগাওকিয়াও শিপইয়ার্ড। সম্প্রতি জাহাজটি নিজস্ব শক্তিতে প্রথমবারের মতো সি ট্রায়াল শুরু করেছে। নয় দিনের এই ট্রায়ালে জাহাজটির গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমগুলো ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। আগামী মাসে প্রমোদতরীটির দ্বিতীয় দফার সি ট্রায়াল হওয়ার কথা রয়েছে।

অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। এর কাঠামোকে প্রথমবারের মতো পানিতে ভাসানো হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। জাহাজটি নির্মাণে কারিগরি পরামর্শ সেবা দিয়েছে ইতালীয় জাহাজনির্মাতা ফিনক্যান্তিয়েরি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুর দিকেই প্রমোদতরীটি সার্ভিসে যুক্ত হবে।

প্রথম প্রমোদতরী নির্মাণের সাফল্য নিশ্চিতভাবেই চীনের ক্রুজ শিপ নির্মাণ শিল্পে গতি আনবে। দেশটি এরই মধ্যে দ্বিতীয় প্রমোদতরী নির্মাণের কাজ শুরু করে দিয়েছে।  গত বছরের আগস্টে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া জাহাজটির আকার অ্যাডোরা ম্যাজিক সিটির চেয়েও বড় হবে। ২০২৫ সালে প্রমোদতরীটি হস্তাস্তরের কথা রয়েছে।

কৃষ্ণ সাগরীয় নিরাপদ করিডোর চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত রাশিয়ার

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কৃষ্ণ সাগরকে বিদেশী পতাকাবাহী শস্যবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য ‘সাময়িক বিপজ্জনক’ জোন ঘোষণা করতে চলেছে রাশিয়া। আজ সোমবার (১৭ জুলাই) ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। এই ঘোষণার অর্থ হলো, ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলো দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি নতুন করে হুমকির মুখে পড়ে গেল।

জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত বছরের জুলাইয়ে স্বাক্ষরিত ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকালীন দামামার মধ্যে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে খাদ্যশস্য পরিবহনের নিরাপদ করিডোর তৈরি হয়েছিল। তবে রাশিয়া এরই মধ্যে কয়েকবার এই চুক্তি থেকে সরে আসার হুমকি দিয়েছিল। বরাবরই তারা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নিজেদের রপ্তানি সুবিধা ঠিকঠাক না মেলার অভিযোগ জানিয়ে আসছে। এবারও চুক্তির আপাত সমাপ্তি টানার পেছনে একই যুক্তি দেখিয়েছে পুতিন প্রশাসন।

মস্কো বলেছে, তাদের খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ করে দেওয়ার যে শর্ত চুক্তিতে রয়েছে, সেটি প্রতিপালন করা না হলে চুক্তি থেকে সরে আসার চিন্তাভাবনা করবে তারা। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মস্কো আর কোনো প্রতিশ্রুতি বা নিশ্চয়তার বাণী শুনতে চায় না। কেবল দৃশ্যমান ফলাফল পেলে তবেই নতুন করে চুক্তিতে ফিরে আসার কথা ভাববে রাশিয়া।

কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনের খাদশস্য রপ্তানি বন্ধ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে চীনের আমদানিকারকরা। ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের অধীনে গত এক বছরে ইউক্রেন থেকে মোট যে পরিমাণ খাদ্যশস্য রপ্তানি হয়েছে, তার ২৫ শতাংশই কিনেছে চীন। আলোচ্য সময়ে চীনা আমদানিকারকরা ইউক্রেন থেকে ৬০ লাখ টন ভুট্টা ও গম আমদানি করেছে, যা দেশটির প্রধান খাদ্যপণ্য দুটির মোট আমদানির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।

এছাড়া রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর অবরুদ্ধ করে রাখলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপরও বড় প্রভাব পড়বে। এই অবরোধের ফলে খাদ্যশস্যের মূল্য বেড়ে যেতে পারে, যা মূল্যস্ফীতি , অর্থনৈতিক চাপ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোর খাদ্যনিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর এমনটাই দেখা গিয়েছিল।

গত ১৮ মে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি চালু রাখার মানবিক করিডোর চুক্তির মেয়াদ দুই মাসের জন্য বাড়াতে সম্মত হয় রাশিয়া। এই মেয়াদ বৃদ্ধিতে রাশিয়াকে রাজি করাতে অবদান রাখেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলো অবরোধ করে রাখে রুশ সেনারা। এতে সমুদ্রপথে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলশ্রুতিতে বৈশ্বিকভাবে খাদ্য সংকট ও মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়। এ সংকট দূর করতে গত বছরের ২২ জুলাই জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ চুক্তি স্বাক্ষর হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে।

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক গম সরবরাহে রাশিয়া ও ইউক্রেন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল এই দুই দেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর বহুমুখী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই। কিন্তু রাশিয়ার অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার জেরে আর্থিক লেনদেন, লজিস্টিকস ও বিমা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তাতে দেশটি থেকে খাদ্য ও সার সরবরাহও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

নতুন নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল নাজমুল হাসান

রিয়ার এডমিরাল এম নাজমুল হাসান

সরকার নতুন নৌবাহিনী প্রধান হিসেবে রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ওএসপি, এনপিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসিকে নিয়োগ দিয়েছে। রবিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ২৪ জুলাই ২০২৩ থেকে ভাইস এডমিরাল পদে পদোন্নতি পূর্বক বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন তিনি। ২০২৬ সালের ২৩ জুলাই পর্যন্ত তিন বছরের জন্য নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি পূর্বতন নৌপ্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবালের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

নবনিযুক্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম নাজমুল হাসান নৌবাহিনীতে গত ১ জুলাই ১৯৮৬ সালে কমিশন লাভ করেন। সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য চাকরিজীবনে তিনি বিভিন্ন স্টাফ, ইনস্ট্রাকশনাল এবং কমান্ড দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি নৌসদরে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স), সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (পার্সোনেল), পরিচালক নৌ অপারেশন্স ও নৌ গোয়েন্দা এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে অসামরিক-সামরিক সংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধজাহাজ বানৌজা ওমর ফারুকসহ চারটি যুদ্ধজাহাজের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির কমান্ড্যান্ট এবং নেভাল এভিয়েশন ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স সোয়াডস কমান্ড করেন। গৌরবময় সামরিক জীবনে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে কমান্ডার বিএন ফ্লিট এবং কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌঅঞ্চল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাণিজ্য জোট সিপিটিপিপিতে যোগ দিল যুক্তরাজ্য

জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১টি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপে (সিপিটিপিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর মাধ্যমে মুখ থুবড়ে পড়া ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপের (টিপিপি) বিবর্তিত রূপের জোটটির সদস্য সংখ্যা ১২টিতে উন্নীত হলো।

এদিকে চীন, তাইওয়ানসহ যেসব দেশ সিপিটিপিপিতে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে, তারা চুক্তির ‘উচ্চ মানদণ্ড’ অনুসরণ করে চলার যোগ্যতা রাখে কিনা, সেই বিষটি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চীন-তাইওয়ান ছাড়াও ইউক্রেন, কোস্টারিকা, উরুগুয়ে ও একুয়েডর সিপিটিপিপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করে রেখেছে।

২০১৮ সালে ১১টি দেশকে নিয়ে যাত্রা হয় সিপিটিপিপির। এর পর প্রথম কোনো নতুন দেশ হিসেবে এতে যুক্ত হলো যুক্তরাজ্য। ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে যুক্তরাজ্যের জন্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে সমস্যা উদ্ভূত হয়েছিল, সিপিটিপিপিতে যোগদানের মাধ্যমে তা অনেকটাই দূর হবে।

আজ রোববার (১৬ জুলাই) নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সিপিটিপিপির কমিশন সভায় চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যুক্তরাজ্য। এ সময় ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী কেমি ব্যাডেনোচ জানান, তার দেশ সিপিটিপিপির প্রথম নতুন সদস্য হতে পেরে আনন্দিত। এ চুক্তিকে ‘আধুনিক ও উচ্চাভিলাষী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সদস্যপদ প্রমাণ করে যে, ব্যবসার জন্য যুক্তরাজ্যের দরজা উন্মুক্ত।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন টিপিপি থেকে সরে যাওয়ার পর জাপানের নেতৃত্বে নতুনভাবে সিপিটিপিপি উদ্যোগ নিয়ে অগ্রসর হয় ১১টি দেশ। ২০১৮ সালের ৮ মার্চ এটি কার্যকর হয়। জাপান ছাড়া জোটটির বাকি সদস্যগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, কানাডা, চিলি, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম।

জোটটির সম্মিলিত জিডিপির আকার প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলার, যা বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। জিডিপির দিক থেকে সিপিটিপিপি বিশ্বের বৃহত্তম মুক্তবাণিজ্য চুক্তিগুলোর অন্যতম।

আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার; ব্যবসায়ীদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চান দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই ভবিষ্যতেও শেখ হাসিনার সরকার দরকার। শনিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীদের করণীয়’ শীর্ষক সম্মেলনে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা ও শিল্পোদ্যোক্তারা এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সব মিলিয়ে ৩১ জন ব্যবসায়ী বক্তব্য দেন। তাঁদের বেশির ভাগ সরাসরি বলেছেন, আগামী মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে চান তাঁরা। কেউ কেউ পরোক্ষভাবে তা বলেছেন। কয়েকজন স্লোগানে স্লোগানে একই দাবি জানান। দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন ব্যবসায়ী গানে গানে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে দেখার অনুভূতি প্রকাশ করেন। সম্মেলনে কয়েকজন ব্যবসায়ী ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যার কথাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই, মেট্রোপলিটন চেম্বার, ঢাকা চেম্বার, তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, চট্টগ্রাম চেম্বারসহ দেশের বিভিন্ন চেম্বার ও সংগঠনের নেতারা এবং শিল্পোদ্যোক্তা ও শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকাররা বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তাঁর স্বাগত বক্তব্যের শেষ দিকে বলেন, শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত সব ব্যবসায়ীকে দাঁড়িয়ে পতাকা নেড়ে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান। এরপর মিলনায়তনের সব ব্যবসায়ী দাঁড়িয়ে পতাকা নেড়ে সমর্থন দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে উপহার তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। আপনারা ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে দীর্ঘক্ষণ বসে আছেন, এই আন্তরিকতা আমাদের চলার পথের পাথেয়।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর আমলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বক্তব্যে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেও কোনো বক্তব্য দেননি।

আট মাসের সর্বনিম্নে ভারতের রপ্তানি

চলতি বছরের জুনে ভারতের পণ্য রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। আলোচ্য সময়ে দেশটির রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৯৭ কোটি ডলার, যা আট মাসে সর্বনিম্ন। একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩১০ কোটি।

গত সাত মাস ধরে ভারতের পণ্য রপ্তানির সূচক নিম্নমুখী। তবে গত মাসের পতনের পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি। জুনে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩ কোটি ডলার। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো বাণিজ্য ঘাটতি ২ হাজার কোটির ওপরে থাকল।

২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতের পণ্য রপ্তানি বেড়েছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল রেকর্ড ৪৫ হাজার কোটি ডলার। অন্যদিকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) রপ্তানির পরিমাণ ১৫ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২০ কোটি ডলার। একই সময়ে আমদানি ১২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ১৬ হাজার ৩ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।

কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি নবায়নে রুশ প্রেসিডেন্টকে জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি

রাশিয়া ও ইউক্রেনের উৎপাদিত খাদ্যশস্য নির্বিঘ্নে রপ্তানির জন্য ‘কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি’ নবায়নের আশা করছে জাতিসংঘ। গত বছর ২২ ফেব্রুয়ারি পরাশক্তি রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে দেশ ২টি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তি নবায়নের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠি লিখেছেন।

জাতিসংঘের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগামী সোমবার এই চুক্তি শেষ হতে যাচ্ছে। সেই তারিখের পরও যেন কৃষ্ণসাগর দিয়ে নিরাপদে শস্য রপ্তানি করা যেতে পারে তাই চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে চিঠি লিখেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

গত মঙ্গলবার মহাসচিব গুতেরেস প্রেসিডেন্ট পুতিনকে শস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করে লেখা চিঠিতে রাশিয়ার কৃষি ব্যাংক রোসেলখোজব্যাংককে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম সুইফটের সঙ্গে যুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে।

গত ২৭ জুন থেকে রাশিয়া নতুন কোনো জাহাজের নিবন্ধনে রাজি না হওয়ায় পুরনো চুক্তি অনুসারে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে সর্বশেষ জাহাজটিতে খাদ্যশস্য তোলা হচ্ছে।

মস্কো চুক্তি নবায়ন না করলে আগামী সোমবারের কী হবে তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন।

গত বছরের জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেন ‘কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি’ সই করে। রাশিয়া এখন সেই চুক্তি থেকে সরে আসার হুমকি দিচ্ছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রপ্তানিকারক দেশ।

কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তির আওতায় ইউক্রেন ৩২ মিলিয়ন মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য রপ্তানি করছে। রাশিয়ার অভিযোগ—যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য গরিব দেশগুলোয় পৌঁছাচ্ছে না। জাতিসংঘের দাবি, তারা যেসব দেশে খাদ্যশস্য পাঠাচ্ছে সেখানে খাদ্যশস্যের দাম বিশ্ববাজারের তুলনায় ২০ শতাংশ কম।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্তেফানে দুজারিক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এ নিয়ে আলোচনা চলছে। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা আদান-প্রদান হচ্ছে। তবে আমরা চিঠির জবাবের জন্য অপেক্ষা করছি।’

এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন মহাসচিব গুতেরাসের চিঠি দেখেননি। তবে রাশিয়া জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শস্য চুক্তি নবায়নে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির কথা বলেছেন। তিনি মস্কোর বিরুদ্ধে এই চুক্তিকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ এসেছেন।