Home Blog Page 24

২০৪৫ নাগাদ বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদা ২৩ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস ওপেকের

২০৪৫ সাল নাগাদ সব ধরনের জ্বালানি পণ্যের বৈশ্বিক চাহিদা ২৩ শতাংশ বাড়তে পারে। জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের মহাসচিব হাইথাম আল গাইস সম্প্রতি নাইজেরিয়ান অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কনফারেন্সে এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন।

ওপেকের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত জ্বালানি তেল খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বলে আসছেন। তা সম্ভব না হলে পণ্যটির দাম ফের আকাশচুম্বী হয়ে উঠবে বলে সতর্ক করেছেন তারা।

হাইথাম আল গাইস বলেন, ২০৪৫ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে প্রাথমিক জ্বালানির চাহিদা ২৩ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর অর্থ হলো, এ সময়ের মধ্যে আমাদের সব ধরনের জ্বালানির প্রয়োজন। ২০৪৫ সাল নাগাদ বৈশ্বিক জ্বালানি তেল শিল্পে ১ হাজার ২১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন। তবে এ পরিমাণ বিনিয়োগ আসার মতো কোনো লক্ষণ এখনো দৃশ্যমান হয়ে ওঠেনি।

ওপেকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের চাহিদা দৈনিক ২৩ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল বা ২ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়তে পারে। আগামী বছর চাহিদা বৃদ্ধির গতি কিছুটা কমে আসতে পারে ধারণা জোটটির।

বছরের প্রথমার্ধে ডাকাতি ও জলদস্যু হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে

২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে মোট ৬৫টি সশস্ত্র ডাকাতি ও জলদস্যু হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের বিশেষায়িত বিভাগ ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরোর (আইএমবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠেছে এসেছে।

আইএমবি জানায়, চলতি বছর গিনি উপসাগর ও সিঙ্গাপুর প্রণালীতে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বছরের প্রথমার্ধে গিনি উপসাগরে ১২টি সশস্ত্র ডাকাতি ও দুইটি জলদস্যু হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর পাঁচটি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ও নয়টি দ্বিতীয় প্রান্তিকে ঘটেছে। অন্যদিকে বছরের প্রথমার্ধে সিঙ্গাপুর প্রণালীতে গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি হামলা চালানো হয়েছে। যার অন্তত আটটিতে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া পেরুর কাইয়্যাও বাণিজ্যিক বন্দরও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী ডাকাতি ও জলদস্যু হামলার ৩৩ শতাংশ পেরুর এই অঞ্চল ও দক্ষিণ আমেরিকায় সংঘটিত হয়েছে।

বছরের প্রথমার্ধে যেসব হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে তার ৫৭টিতে আক্রমণকারীরা জাহাজে উঠে এসে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া আক্রমণকারীরা চারটি জাহাজে হামলার চেষ্টা চালায়, দুটি জাহাজ হাইজ্যাক করে ও দুটি জাহাজ লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

এসব হামলায় জাহাজের ক্রুদের ওপর সহিংসতার চালানো হয়। আক্রমণকারীরা ৩৬ জন ক্রুকে জিম্মি করেন ও তিনজনকে হুমকি দেন। এছাড়া ১৪ জন ক্রু অপহৃত, দুজন ক্রু আহত ও একজন ক্রু আক্রমণকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হন।

গিনি উপসাগরে ক্রুদের জিম্মিদশা ও অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন আইএমবির পরিচালক মাইকেল হাওলেট। ডাকাতি ও জলদস্যু হামলা ঠেকাতে এই অঞ্চলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নৌবাহিনীর টহল বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।

১৬ লাখ টন জ্বালানি তেল ও দুই কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার

সিঙ্গাপুর থেকে প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় কেনা হবে এসব জ্বালানি। এ তেল ও এলএনজি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (১২ জুলাই) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

তিনি বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক ২০২৩ সালের জুলাই টু ডিসেম্বর সময়ে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় সিঙ্গাপুরের ইউনিপ্যাক সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড (প্যাকেজ-এ ও ই) এবং ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড (প্যাকেজ বি, সি ও ডি) থেকে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ১২ হাজার ২৭৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

তিনি জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পেট্রোবাংলা কর্তৃক এম/এস এক্সেলারেট এনার্জি এলপি-এর কাছ থেকে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৫৭২ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

একই সাথে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক প্রতিষ্ঠান এম/এস ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের নিকট থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি (এক কার্গো) ৫৪৪ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার ১৬০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছর রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৭২ বিলিয়ন বা ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার, আর সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার কোটি ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, এই অর্থবছরে ৬ হাজার ৪৫৬ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করা হয়েছে।

চলতি বছরের জন্য পণ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ আর সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। সব মিলিয়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের এই লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান। তিনি বলেন, অনেকেই মনে করেন, রপ্তানির এই লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী। তবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।

তবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যে গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না থাকলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না।

সমুদ্র খাতসৃষ্ট প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইএমওর গ্লোলিটার পার্টনারশিপ প্রজেক্ট

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থার (এফএও) সহযোগিতায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমুদ্রসংশ্লিষ্ট উৎস থেকে সৃষ্ট প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে গ্লোলিটার পার্টনারশিপ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশন (আইএমও)। সামুদ্রিক খাতের প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত প্রথম বৈশ্বিক প্রকল্পটির অর্থায়ন করছে নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও সৌদি সরকার।

সমুদ্রে ফেলে দেওয়া, হারিয়ে যাওয়া ও পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা মাছ ধরার সরঞ্জাম থেকেই মূলত সমুদ্র খাতসংশ্লিষ্ট প্লাস্টিক দূষণের সৃষ্টি হয়। তবে কোন কোন উৎস থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি হয় সেটা নির্ণয় করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। প্লাস্টিক বর্জ্যরে উৎস চিহ্নিতকরণ, প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রকল্পভুক্ত ১০টি প্রধান অংশীদার ও ২০টি অংশীদার দেশগুলোর জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান এই সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করছে গ্লোলিটার। এরই মধ্যে সাতটি দেশের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে এবং অন্যান্য দেশগুলোর কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার পর্যায়ে রয়েছে।

প্রকল্পের অধীনে যেসব দেশের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে, মাদাগাস্কার তার অন্যতম। প্লাস্টিক দূষণ রোধে দেশটির জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্লাস্টিক সরঞ্জামের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও পরিবেশবান্ধব সরঞ্জামের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হয়েছে। মাদাগাস্কার প্রতিনিধি দলের প্রধান অ্যাডোনিস তাফাঙ্গি বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে সমুদ্র খাতসংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্ত প্রয়োজন।

শিপিং ও ফিশারিজ খাত থেকে সৃষ্ট প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ কষ্টসাধ্য হলেও সব দেশের অংশীদারিত্বে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন আইএমওর প্রকল্প ও অংশীদারিত্ব বিভাগের প্রধান জোস ম্যাথিকাল।

খাদ্য রপ্তানি অব্যাহত রাখতে বিএসজিআইয়ের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার অনুরোধ ব্যবসায়ীদের

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ (বিএসজিআই) এর মেয়াদ আগামী ১৭ জুলাই শেষ হওয়ার আগে নবায়ন করা না হলে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ যে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মুখোমুখি হবে, তা নিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৬টি চেম্বার মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনের বন্দর দিয়ে খাদ্য রপ্তানি অব্যাহত রাখা জরুরি। এ কারণে কৃষ্ণসাগর বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ লাইফলাইন হিসেবে বিএসজিআই চুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার যাতে প্রস্তাব দেয়, সেজন্য এসব চেম্বার অনুরোধ করেছে।

যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, এমসিসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফিকির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়। আইসিসি বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিএসজিআই তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে তিনটি মহাদেশের ৪৫টি দেশে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি করার সুবিধা দিয়েছে। এর মাধ্যমে স্বল্পোন্নত অর্থনীতিতে রপ্তানি করা গমের অনুপাত আগের তুলনায় অনেকাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী কৃষ্ণসাগরের মাধ্যমে এই বাণিজ্যের প্রত্যক্ষ ফলস্বরূপ রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে খাদ্য ও সার রপ্তানির মাধ্যমে ২০২২ সালের মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ২২ শতাংশ কমেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের আওতায় প্রায় ৭ লাখ টন গম কিনেছে, যা আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনে মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান খাদ্য ও সার রপ্তানির অব্যাহত সুবিধা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চুক্তি নবায়ন বিশ্বজুড়ে লাখ রাখ মানুষের জন্য খাদ্যের প্রাপ্যতা এবং ক্রয়ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন হওয়া থেকে রক্ষা করবে। চুক্তি নবায়ন না হলে সত্যিকার অর্থে বিশ্বের সর্বোপরি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক পরিস্থিতি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

রুপিতে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য শুরু

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে রুপির ব্যবহার শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে বাণিজ্যে রুপির ব্যবহার শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, এটা দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার অঙ্গীকারের নিদর্শন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ডলারের ওপর চাপ কমাতেই, দীর্ঘ চিন্তা ভাবনা করে আমারা এই পথে গিয়েছি।

রুপিতে লেনদেনের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়ে যাবে বলেও আশাবাদ করেন গভর্নর।

রুপিতে লেনদেনের জন্য এরই মধ্যে দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশের সোনালী ও ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ভারতীয় স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংক।

ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় ইরানি ট্যাংকার আটক

দক্ষিণ চীন সাগরের সর্বদক্ষিণের প্রান্তে অবস্থিত নর্থ নাতুনা সাগরে অবৈধভাবে শিপ-টু-শিপ অয়েল ট্রান্সফারের সময় একটি ইরানি ট্যাংকারকে আটক করেছে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ। মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ এ সময় তাদের সহায়তা করেছে।

গত দুই বছরের মধ্যে এই প্রথম নিজেদের জলসীমায় অবৈধভাবে তেল স্থানান্তরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল ইন্দোনেশিয়া। আর তারা এটি এমন এক সময়ে করল, যখন ইন্দোনেশিয়া ও ইরান তাদের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

ইন্দোনেশিয়ার মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সির প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল আন কুর্নিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দেশটির কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী এবং মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (এপিএমএম) যৌথ অভিযান চালিয়ে পূর্বানুমতি ছাড়াই শিপ-টু-শিপ অয়েল ট্রান্সফারের সময় দুটি ট্যাংকারকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এ সময় ট্যাংকার দুটির কোনোটিতেই পতাকা উত্তোলিত ছিল না। এর মধ্যে একটি ট্যাংকার হলো এমটি আরমান ১১৪, যেটি ইরানে নিবন্ধিত।

ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ দূর থেকে ট্যাংকারটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি। এছাড়া আরমানের অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস) সঠিক তথ্য সরবরাহ করছিল না বলে জানিয়েছেন আন কুর্নিয়া। তিনি বলেন, এআইএস সিস্টেমে কারসাজির মাধ্যমে ট্যাংকারটি তাদের অবস্থান লোহিত সাগরে দেখাচ্ছিল।

আন কুর্নিয়া জানান, ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ যখন পরিদর্শনের জন্য এমটি আরমানের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, ট্যাংকারটি তখন আন্তর্জাতিক জলসীমার দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় আরমানকে আটকের জন্য মালয়েশীয় বাহিনীর সাহায্য চায় ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ। এপিএমএমের সদস্যরা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এমটি আরমানে আরোহন করেন এবং ট্যাংকারটিকে আটকে ভূমিকা রাখেন।

তেল স্থানান্তরে সম্পৃক্ত অপর ট্যাংকারের নাম এস টিনোস এবং সেটি ক্যামেরুনে নিবন্ধিত বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে এর পরিচয় নিয়ে যথেষ্ট অস্পষ্টতা রয়েছে। ডেটাবেজ পর্যালোচনায় জানা যায়, এস টিনোস নামের একটি ট্যাংকার এক সময় ইউরোন্যাভের মালিকানাধীন ছিল। পাঁচ বছর আগে সেটি স্ক্র্যাপ করা হয়। এর সর্বশেষ জ্ঞাত মালিকপক্ষ ট্যাংকারটিকে পালাউয়ে নিবন্ধন করিয়েছিল। ট্যাংকারটির পরিচয় সম্পর্কে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ইন্দোনেশিয়া কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, আটকের সময় এমটি আরমানে ৩১ জন আরোহী ছিল। তাদের মধ্যে ২৮ জন ছিল ক্রু। বাকি তিনজন সিকিউরিটি অফিসারের পারিবারের সদস্য।

চট্টগ্রাম বন্দর আন্তঃবিভাগীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আন্তঃবিভাগীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। সোমবার বিকালে শহীদ প্রকৌশলী শাসশুজ্জামান স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন সরকারের যুগ্ম সচিব ও বন্দরের পর্ষদ সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. হাবিবুর রহমান। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্ণেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান, সচিব মো. ওমর ফারুক, প্রধান নিরীক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, ডক মাস্টার ক্যাপ্টেন আবু সুফিয়ান, টার্মিনাল ম্যানেজার মো. কুদরত ই-খুদা মিল্লাত, চীফ পারসোনেল অফিসার মো. নাসির উদ্দিন, সিনিয়র হাইড্রোগ্রাফার মো. নাছির উদ্দিন, স্পোর্টস কমপ্লেক্সের উপ-পরিচালক ডা. সারোয়ার ইসলাম ও সিনিয়র পার্সোনেল অফিসার মোহাম্মদ আজিজুল মওলাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের অবদান, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও করণীয় নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৫ জুলাই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এফবিসিসিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে গতকাল রোববার এফবিসিসিআইয়ের অধিভূক্ত সকল চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে দেশের বেসরকারি খাত। দেশের ৮২ ভাগ ব্যবসা বাণিজ্য আসে বেসরকারি খাত থেকে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাত কি ভূমিকা রাখবে সেসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হবে সম্মেলনে।

এসময় তিনি বলেন, করোনাকালীন সৃষ্ট সংকট অনেকখানি কাটিয়ে ওঠা গেলেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের অর্থনীতি কঠিন সময় অতিক্রম করছে। এই কঠিন সময় অতিক্রম করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাত একসাথে কাজ করছে।

বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সক্ষমতাকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করার প্রয়াস হিসেবে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট আয়োজন করা হয় বলে উল্লেখ করেন মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের প্রাপ্তি নিয়ে আমরা একটি বই বের করছি। ব্যবসায়ী সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নিকট কাছে এই বই হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া সামিটে অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং সামিটে আলোচনা হওয়া সুপারিশ ও পলিসিগুলো সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে।

দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে বেসরকারি খাতের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের সমস্যার বিষয়াদি প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানান ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।