Home Blog Page 242

কনটেইনার স্বল্পতায় ভূমিকা রাখছে ব্ল্যাংকড সেইলিং

শিপিং কনটেইনারের বৈশ্বিক স্বল্পতা এখন শিপিং শিল্পের অন্যতম আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সংকটের কারণে একদিকে রপ্তানিকারকরা যেমন তাদের পণ্য গন্তব্যে পাঠাতে পারছে না; অন্যদিকে ক্যারিয়ারগুলো যেখানে প্রয়োজন সেখানে প্রয়োজনীয় খালি কনটেইনার পাচ্ছে না। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ড্রিডরি কনটেইনার স্বল্পতার এ সংকটকে সরবরাহ সংকট হিসেবে না দেখে লজিস্টিকস সংকট হিসেবেই দেখছে।

ড্রিউরি তাদের নতুন প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিনিয়োগ স্বল্পতার কারণে এ সংকটের সৃষ্টি হয়নি; বরং সমস্যাটি রিপজিশনিং ইস্যু। ২০২০ সালের প্রথমার্ধ্বে ক্যারিয়ার কোম্পানিগুলো অত্যধিক পরিমাণে খালি কনটেইনার পরিবহন করেছে। আর সেটাই কনটেইনার স্বল্পতা তীব্রতর হওয়ার পেছনে আংশিক ভূমিকা রেখেছে। ড্রিউরির তথ্যে দেখা গেছে, খালি কনটেইনার পরিবহন অত্যধিক মাত্রায় বেড়েছে। ২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধ্বে কিছু কিছু বাণিজ্যপথে তা ছিল মোট সেইলিংয়ের ৩০ শতাংশ। ফলে চীনের মতো কার্গো চাহিদাকেন্দ্রে খালি কনটেইনারের স্বল্পতা তীব্রতর হয়েছে।

এদিকে ভারতে কনটেইনার স্বল্পতার কারণ হিসেবে বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা ভূমিকা রেখেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল-নভেম্বরে দেশটির আমদানি কমেছে ২২-২৪ শতাংশ। অন্যদিকে রপ্তানি একই সময়ে বেড়েছে ২৯ শতাংশ। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে কনটেইনারের সংকট দেখা দিয়েছে। আর এ সংকটে বেড়েছে পণ্য পরিবহনের ভাড়া। খাতভিত্তিতে ভাড়া বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। তাতে লোকসানে পড়েছে রপ্তানিকারকরা।

কনটেইনার ফ্রেইট স্টেশন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার মহাসচিব উমেশ গ্রোভার এ প্রসঙ্গে বলেন, ভারতের শক্তিশালী আমদানি অংশীদার হচ্ছে চীন। কিন্তু দেশটি থেকে আমদানিতে নজরদারি বাড়ায় এবং কিছু কিছু চীনা পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করায় ভারতে পণ্য আমদানি কিছুটা কমেছে। আর তাতেই রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় খালি কনটেইনারের সংকট দেখা দিয়েছে।

নতুন কোভিড বিধিনিষেধ থেকে নাবিকদের অব্যাহতির সুপারিশ ইইউর

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন (স্ট্রেন) ছড়িয়ে পড়লে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো পুনরায় কিছু ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে এ বিধিনিষেধ থেকে নাবিকদের অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করেছে ইউরোপীয় কমিশন। এদিকে চার্টারাররা তাদের চুক্তির ধারায় নাবিক বদলের সুযোগ না রাখায় আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থা (আইএমও)-এর তীব্র সমালোচনা করেছে।

করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের সংক্রমণ রুখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে আগত ব্যক্তিদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিধিনিষেধ জারির পর ইউরোপীয় কমিশন ভ্রমণ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে নতুন করে কিছু সুপারিশ প্রণয়ন করেছে। নতুন সুপারিশগুলো গত ১৩ অক্টোবর প্রকাশিত সুপারিশমালার হালনাগাদ সংস্করণ। এতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থেকে নাবিকদের অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জোটটির কমিশনার ফর জাস্টিস ডিডিয়ের রেন্ডার্স বলেন, ‘ভাইরাসের নতুন ধরনের বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ খুবই জরুরি। নতুন সুপারিশমালার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, বিধিনিষেধগুলো সমন্বিত হোক, যেন নাগরিক ও জরুরি প্রয়োজনে ভ্রমণকারীরা দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রে অব্যাহতি পায়।’

এদিকে আইএমওর মহাসচিব কিতাম লিম চার্টার পক্ষগুলোর চুক্তির ধারায় নাবিক বদলের কোনো সুযোগ না থাকায় এর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এ জাতীয় ধারা এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া নাবিকদের চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলবে। পাশাপাশি নাবিক বদলের চলমান সংকট সমাধানে যেসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, সেগুলোও বাধাগ্রস্ত হবে। আইএমওর পাশাপাশি চার্টারারদের ওই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

দীর্ঘ ও কষ্টকর হবে ক্রুড অয়েল ট্যাংকার বাজার পুনরুদ্ধার

বৈশ্বিক অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকার বাজারের আউটলুক (ভবিষ্যৎ আভাস) স্বল্পমেয়াদে তেমন উজ্জ্বল নয়। মেরিটাইম গবেষণা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ড্রিউরি তাদের নতুন এক বিশ্লেষণে এ তথ্য জানিয়েছে। ওই বিশ্লেষণে প্রতিষ্ঠানটি অতিসক্ষমতা এবং তেলের চাহিদায় অনিশ্চয়তার বিষয়টি তুলে ধরেছে। পাশাপাশি ভেসেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি মোকাবিলায় এ শিল্প যে ব্যর্থ হয়েছে তাও জানিয়েছে।

ড্রিউরি তাদের বিশ্লেষণে জানায়, অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকারের অতিসক্ষমতা কমাতে জাহাজ মালিকদের উদ্যোগে বেশ ঘাটতি ছিল। ২০২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধ্বে ভেসেলগুলোর আয়ে যথেষ্ট পতন ঘটলেও ২০১৯ সালের পর মাত্র একটি ভিএলসিসি (বৃহদাকৃতির জাহাজ) ভাঙা হয়েছে। অথচ একই সময়ে বাজারে ঢুকেছে ১০৪টি নতুন ভিএলসিসি।

ভাসমান মজুদাগার হিসেবে ট্যাংকার ব্যবহারের প্রবণতা কমে আসায় আরো বেশি ভেসেল বাজারে সহজলভ্য হয়েছে। ড্রিউরির তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ৭৪টি ভিএলসিসি এখন ভাসমান মজুদাগার হিসেবে সক্রিয় রয়েছে। ফলে এর হার ১১ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫০ ডলার পেরিয়ে গেলেও ড্রিউরি জানাচ্ছে, বৈশি^ক তেলের চাহিদা ২০২২ সালের আগে ২০১৯ সালের স্তরে পৌঁছবে না। প্রতিষ্ঠানটির পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাজারে বেশ কয়েকটি টিকা চলে আসায় তেলের বাজার কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। তবে এগুলোর কার্যকারিতা ও বৈশ্বিক সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে যাওয়ায় বাজার পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হতে আরো সময় লাগবে।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে ড্রিউরি জানিয়েছে, পুরনো কিছু ভেসেল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলে বাজার কিছুটা পুনরুদ্ধার হতে পারে। কারণ ২০২১ ও ২০২২ সালে আরো ১০২টি নতুন ভেসেল বাজারে প্রবেশ করবে। ফলে অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকার বাজারের পুনরুদ্ধার হবে দীর্ঘ ও কষ্টকর।

অফশোরে ঝুঁকছে যুক্তরাজ্যের গ্রিড অপারেটর

উত্তর সাগরের উত্তাল জলে বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে আরো সমন্বয়ের উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটেনের বিদ্যুৎ গ্রিড অপারেটর। অফশোর বায়ু শিল্প গড়ে তুলতে সংস্থাটি সরকারের ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের কর্মসূচি থেকে সহায়তা চেয়েছে।

ন্যাশনাল গ্রিডের নির্বাহীরা ডিসেম্বরে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক করেছে। অফশোরে বেড়ে চলা প্রকল্পগুলো কীভাবে ভূমিতে স্থাপিত নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর প্রতিটি আলাদা আলাদা কেবলের মাধ্যমে সংযুক্ত। এ সংযোগগুলো সমন্বয় করা গেলে নতুন অবকাঠামোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় অর্ধেকে নেমে আসবে।

অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ শিল্প গড়ে তোলা অগ্রগণ্য দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেন একটি। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির উদ্যোগগুলো অন্য দেশগুলোকেও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করবে।

বন্দর আধুনিকায়নের উদ্যোগ দক্ষিণ কোরিয়ার

দক্ষিণ কোরিয়া দেশটির বন্দরগুলোর পুনরায় উন্নয়নে ১০ বছর মেয়াদি এক উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ৬০০ কোটি ডলারের এ উদ্যোগের লক্ষ্য-বন্দরগুলোকে সংশ্লিষ্ট শহরগুলোর সঙ্গে আরো ভালোভাবে সমন্বিত করা এবং পর্যটন, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যকে আরো চাঙ্গা করে তোলা।

থার্ড বেসিক পোর্ট রিডেভেলপমেন্ট প্ল্যানের আওতায় আগামী দশকের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ১৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। দেশটির ওশানস অ্যান্ড ফিশারিজ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী পাক জুন-ইয়ং এ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, ‘জাতীয় ও আঞ্চলিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে বন্দরগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। তবে এও সত্য যে, কিছু কিছু বন্দর স্থাপনা শহর উন্নয়নে প্রতিবন্ধক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। নতুন পরিকল্পনার অধীনে আমরা বন্দর ও শহরকে আরো সমন্বিতভাবে উন্নয়ন করতে সক্ষম হবো।’

উপগ্রহের মাধ্যমে ফিশিং খাতে শনাক্ত হবে জোরপূর্বক শ্রম

বৈশ্বিক মৎস্য আহরণ খাতে নিয়োজিত জাহাজগুলোয় জোরপূর্বক শ্রমের ঘটনা উন্মোচনে কীভাবে উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) সহায়তা করতে পাবে, সে বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস (পিএনএএস)। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৎস্য আহরণ খাতে জোরপূর্বক শ্রম এখন মানবাধিকার সংকট হিসেবে স্বীকৃত হচ্ছে।

সাম্প্র্রতিক সময় পর্যন্ত মৎস্য আহরণ খাতে বাধ্যতামূলক শ্রমের ব্যাপ্তি সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না। বৈশি^ক পর্যায়ে ফিশিং ভেসেলগুলোয় জোরপূর্বক শ্রমের ঝুঁকি শনাক্তে কার্যকর কোনো টুলও নেই। তবে উপগ্রহ থেকে ধারণকৃত তথ্য ও মেশিন লার্নিংয়ের কল্যাণে এখন থেকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ফিশিং ভেসেলগুলো শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিশিং খাতে ১৪ থেকে ২৬ শতাংশ ভেসেল ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া জোরপূর্বক শ্রম নিয়োজন করে এমন ভেসেলগুলো কোন অঞ্চলগুলোয় মৎস্য আহরণ করে এবং কোন বন্দরগুলোয় নোঙর করে তাও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বিরল ফ্লোটিং সায়েন্স স্টেশন চালু করছে রাশিয়া

রাশিয়ার এডমিরালটি শিপইয়ার্ড বিরল এক জাহাজের নির্মাণকাজ শুরু করেছে। সেভেরনি পলিয়াস (নর্থ পোল) নামের জাহাজটি ভাসমান স্থাপনার পাশাপাশি একটি সেলফ-প্রপেলড ভেসেলও বটে। গোলাকার স্ফীত আকৃতির এ জাহাজটি রাশিয়ার আর্ক-এইট ক্লাসের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। পুরু বরফের আস্তরণের মধ্য দিয়েও জাহাজটি চলাচল করতে সক্ষম।

১০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত এ জাহাজটি পরিচালনা করবে দেশটির ফেডারেল সার্ভিস ফর হাইড্রোমেটিওরোলজি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মনিটরিং এবং রাশিয়ান আর্কটিক অ্যান্ড অ্যান্টার্কটিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ভাসমান গবেষণা প্লাটফর্ম হিসেবে টানা দুই বছরের জন্য জাহাজটি নিয়োজিত রাখা হবে। হেলিকপ্টার ও আইসব্রেকারের মাধ্যমে প্লাটফর্মটিতে খাবার ও কর্মী সরবরাহ করা হবে। ২০১৮ সালে জাহাজটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২২ সালে এর নির্মাণকাজ ও কমিশনিং সম্পন্ন হবে।

বাণিজ্যিক ভেসেলগুলোর জন্য লোহিত সাগর ঝুঁকিপূর্ণ

লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর, আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক ভেসেলগুলোকে সতর্ক করে ইউএস মারাড এক বার্তায় জানিয়েছে, বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর জন্য ইয়েমেন এখনো ঝুঁকি হিসেবে রয়ে গেছে।

সংস্থাটি তাদের সতর্কবার্তায় বলেছে, ওই অঞ্চলে চলাচলকারী জাহাজগুলোর জন্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে মিসাইল, রকেট, প্রোজেক্টাইল, মাইন, মনুষ্যবিহীন আকাশযান বা জলের নিচের ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস। ইয়েমেন সংকট এখনো চলমান থাকায় বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর জন্য এ ঝুঁকি রয়ে গেছে। মারাড বিদ্যমান ঝুঁকিগুলো বিবেচনায় নিয়ে ওই সাগর ও মহাসাগরগুলোয় চলাচলকারী জাহাজগুলোকে নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপগুলো যাচাই করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যেমন সবসময় যেন এআইএস চালু থাকা তা নিশ্চিত রাখা ও ভিএইচএফ চ্যানেল ১৬ পর্যবেক্ষণ করা। নিরাপত্তা হুমকির পাশাপাশি জলদস্যুতা নিয়েও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

হাইড্রোজেনকে বাণিজ্যিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে উদ্যোগ

আগামী ছয় বছরের মধ্যে গ্রিন হাইড্রোজেনের আকার ও উৎপাদন ৫০ গুণে উন্নীত করার এক বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের ঘোষণা এসেছে। এ উদ্যোগ শিপিং খাতসহ বিশ্বের সবচেয়ে কার্বন-ঘন শিল্পগুলোর সবুজ রূপান্তরে সহায়তা করবে।

নতুন ‘গ্রিন হাইড্রোজেন ক্যাটাপুল্ট’ নামের এ উদ্যোগে গ্রিন হাইড্রোজেন কোম্পানিগুলোকে ২০২৬ সালের মধ্যে ২৫ গিগাওয়াট সক্ষমতার নবায়নযোগ্য হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়া হতে পারে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, হাইড্রোজেনের বর্তমান মূল্য কিলোগ্রামপ্রতি ২ ডলারের নিচে নামিয়ে আনা। এ উদ্যোগের অংশীদার কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে এসিডব্লিউএ পাওয়ার, সিডব্লিউপি রিনিউয়েবলস, এনভিশন, আইবারড্রোলা, ওরস্টেড এবং ইয়ারা।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি কিলো হাইড্রোজেনের দাম ২ ডলারের নিচে নেমে এলে গ্রিন হাইড্রোজেন বেশ কয়েকটি খাতে জ্বালানির চাহিদার অন্যতম গ্রহণযোগ্য উৎসে পরিণত হবে।

অফশোর বায়ুবিদ্যুতে উচ্চাভিলাসী লক্ষ্য জাপানের

অফশোর বায়ুবিদ্যুতের সম্ভাবনা অনুসন্ধানে জাপান নতুন এক উচ্চাভিলাসী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটি ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ থেকে ৪৫ গিগাওয়াট সক্ষমতার বায়ুবিদ্যুৎ (বৈশ্বিক বিদ্যমান সক্ষমতা) প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে।

পরিকল্পনায় আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ গিগাওয়াট সক্ষমতার বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। জাপানের নতুন এ পরিকল্পনা দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো দেশগুলোর কাতারে উন্নীত করবে। ওই দেশগুলো ২০৪০ সালের মধ্যে সম্মিলিতভাবে হাজার হাজার গিগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জাপান ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য-নির্গমন লক্ষ্য পূরণের পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশটির এ পরিকল্পনা জাপান উইন্ড পাওয়ার অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্যের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ।