Home Blog Page 243

আর্কটিকে দীর্ঘায়িত শিপিং মৌসুম

আর্কটিক মহাসাগরে বরফের আস্তরণ দিন দিন পাতলা হওয়ার কারণে চলতি বছর প্রাকৃতিক গ্যাস ট্যাংকারগুলো আরো লম্বা সময় ধরে এ পথে চলাচলের সুযোগ পেয়েছে। আর তাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে, জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তরের অংশে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

নর্দান সমুদ্রপথটি রাশিয়ার পশ্চিমের ব্যারেন্টস সি থেকে পূর্বের বেরিং প্রণালি পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার নটিক্যাল মাইল বিস্তৃত। সাধারণত জুন থেকে অক্টোবর সময়ে এ পথটি জাহাজ চলাচলের উপযুক্ত থাকে, যখন উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বরফের আস্তরণ ভেঙে যায়। চলতি বছর এক মাস আগেই এ পথে জাহাজ চলাচল শুরু হয় এবং চলতে থাকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। শিপিং মৌসুমের এ লম্বা সময় ইঙ্গিত দিচ্ছে, অঞ্চলটি বাদবাকি বিশ্বের তুলনায় দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণায়িত হচ্ছে।

আইবিসি কোড ও মারপল অ্যানেক্সে সংশোধনী

২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে আইবিসি কোড ও মারপল অ্যানেক্স টু সংশোধনী। সংশোধনীগুলোর কারণে ভেসেলগুলোর জন্য নতুন সার্টিফিকেট অব ফিটনেস (সিওএফ) বছরের প্রথম দিনের মধ্যেই ইস্যু করার পাশাপাশি জাহাজে তা সংরক্ষণও করতে হবে।

এমইপিসি (মেরিন এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন কমিটি) ২০১৯ সালে এমইপিসি.৩১৮ রেজল্যুশন পাস করে। ওই রেজল্যুশনের প্রধান লক্ষ্য ছিল বিশাল আকারে (বাল্ক) বিপজ্জনক কেমিক্যাল বহনকারী জাহাজগুলোর নির্মাণ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদ বা আইবিসি কোড সংশোধন করা। মূলত এ সনদের আটটি ধারায় এ সংশোধনী কার্যকর হবে। সংশোধনীতে আইবিসি সনদের ১৭ ও ১৮ নং অধ্যায়ে তালিকাভুক্ত দ্রব্যগুলোর শ্রেণিকরণ আরো সমন্বয়পূর্ণ (হারমোনাইজড) করা হয়েছে, যেন ২০০৪ সালের আগে ও পরে মূল্যায়িত দ্রব্যগুলো একই মানদ- অনুসরণ করে। 

জাহাজে স্ক্রাবার স্থাপন উচ্চ সালফার জ্বালানির চাহিদা বাড়াচ্ছে

সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজগুলোয় স্ক্রাবার বা দূষণ হ্রাসে সহায়ক সরঞ্জাম স্থাপনের হিড়িক পড়েছে। আর তাতে বাড়ছে সবচেয়ে নোংরা মেরিন জ্বালানি বলে পরিচিত এইচএসএফও বা উচ্চ সালফারযুক্ত জ্বালানি তেলের চাহিদা।

গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত স্ক্রাবারযুক্ত জাহাজের সংখ্যা ৮০ শতাংশ বেড়েছে। ডিএনভি জিএল-এর তথ্যে দেখা গেছে, মূলত কনটেইনার ও ড্রাই বাল্ক ভেসেলগুলোয় অধিকাংশ স্ক্রাবার যুক্ত করা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম সংস্থা (আইএমএ) ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে স্বল্প সালফারযুক্ত জ্বালানির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। তবে জাহাজে স্ক্রাবার স্থাপন করলে এ বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি মেলে। আর এ কারণে অনেক জাহাজ পরিচ্ছন্ন জ্বালানি না ব্যবহার করে স্ক্রাবার যুক্ত করে উচ্চ সালফারযুক্ত জ্বালানি তেলের ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।

পরিত্যক্ত পণ্যের বিষয়ে এফআইএটিএ’র গাইডলাইন

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফআইএটিএ) পরিত্যক্ত পণ্য বিষয়ে তাদের নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। একশরও বেশি জাতীয় সংস্থা এবং সাড়ে পাঁচ হাজার ফরোয়ার্ডিং অ্যান্ড লজিস্টিকস কোম্পানির প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনটির এ নির্দেশিকা ফ্রেইট ফয়োয়ার্ডারদের লিয়েন অধিকার চর্চা ও শিপিং কোম্পানিগুলোর মালামাল জব্দ এবং দাবি নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে। এফআইএটিএর আইন-বিষয়ক উপকমিটি এবিএলএম এ নির্দেশিকাগুলো প্রণয়ন করেছে।

পরিত্যক্ত বা অসংগৃহীত পণ্য ফ্রেইট ফয়োয়ার্ডারদের নিত্য মাথাব্যথার কারণ। শিপার বা কার্গোর কনসাইনি যখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালামাল গ্রহণ না করে তখন ফ্রেইট ফয়োয়ার্ডাররা শিপিং লাইনগুলোর দাবির মুখে পড়ে। কার্গোর মালামালের ক্ষেত্রে চুক্তিসংশ্লিষ্ট লিয়েন কার্যকর করার জন্য অনেক সময় শিপিং লাইনগুলো বিল অব ল্যান্ডিংয়ে তাদের চুক্তিগত অধিকার চর্চা করে। এফআইএটিএর নতুন নির্দেশনাগুলো পরিত্যক্ত পণ্য বিষয়ে মীমাংসায় আসতে সব পক্ষকে সহায়তা করবে।

বছর শেষে চীনের রপ্তানিতে ঊর্ধ্বগতি

গত নভেম্বরে চীনের রপ্তানি ২০১৮ সালের প্রথমার্ধের পর সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন দেখেছে। আর তাতেই বাণিজ্য উদ্বৃত্তে মাসিক রেকর্ড দেখেছে দেশটি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে কীভাবে মহামারিসংশ্লিষ্ট পণ্যের বৈশ্বিক চাহিদা ভূমিকা রাখতে পারে তা এই রপ্তানি তেজিভাবে উঠে এসেছে। গত নভেম্বরে চীনের কোম্পানিগুলো ২৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা যেকোনো মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ এবং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। এদিকে নভেম্বরে আমদানি প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ। ফলে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার, যা রীতিমতো এক রেকর্ড। দেশটির অর্থনীতির ইঞ্জিনে শক্তি জোগাতে মহামারির সময় প্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক চাহিদা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।

জৈবজ্বালানি কোনো সমাধান নয়: ইউরোপীয় থিংক ট্যাংক

উড়োজাহাজ ও জাহাজের জন্য ইলেকট্রোফুয়েলের পরিবর্তে বায়োফুয়েলের ওপর অতিনির্ভরতা ইউরোপে পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। ইউরোপের ক্লিন ট্রান্সপোর্ট ক্যাম্পেইন গ্রুপ ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (টিঅ্যান্ডই) ইইউকে সতর্ক করে জানিয়েছে, বায়োফুয়েলের ক্ষেত্রে নির্ভরতা ইউরোপকে আবারো অতীতের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি করতে পারে।

সংস্থাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাসটেইনেবিলি অ্যান্ড স্মার্ট মোবিলিটি স্ট্র্যাটেজিকে স্বাগত জানিয়েছে। পাশাপাশি বায়োফুয়েলের ব্যর্থতায় ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করেছে। টিঅ্যান্ডই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বায়োফুয়েলের ওপর নির্ভরতা কমিশনের হাইড্রোজেন স্ট্র্যাটেজির পরিপন্থি। এছাড়া বৃক্ষনিধন নির্মূলে ব্লকটির লক্ষ্যের সঙ্গে তা অসঙ্গতিপূর্ণ। ২০৩০ সাল থেকে উড়োজাহাজ ও জাহাজে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে ইইউ। তবে তারা জানিয়েছে, বিকল্প জ্বালানির অধিকাংশই আসবে জৈবজ্বালানি থেকে। আর এতেই ইউরোপকে অতীত ব্যর্থতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে টিঅ্যান্ডই।

অস্ট্রেলীয় অফশোরে কার্বন ধারণের প্রকল্প

অস্ট্রেলিয়ার অফশোরে কার্বন ডাই-অক্সাইড ধারণ ও মজুদে দেশটির তেল ও গ্যাস খাতের কোম্পানিগুলো গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। ‘ডিপসি স্টোর প্রজেক্ট’ নামের এ প্রকল্পে অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শিল্প উৎস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড তরল আকারে ধারণ করে সেখান থেকে দেশটির অফশোরে একটি ভাসমান স্টোরেজ অ্যান্ড ইনজেকশন (এফএসআই) হাবে স্থানান্তর করা হবে। পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় এফএসআই হাবেব কাছাকাছি মাটির নিচে একটি কার্বন ডাই-অক্সাইড ইনজেকশন কূপও নির্মাণ হবে।

ডিপসি স্টোর প্রজেক্টের উদ্দেশ্য-অস্ট্রেলীয় সরকারের লো এমিশনস টেকনোলজি স্টেটমেন্টের সঙ্গে সঙ্গতি বজায় রাখা। সরকারের ওই স্টেটমেন্টে কার্বন ধারণ ও মজুদ ব্যবস্থা পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক প্রযুক্তির একটি।

প্রথমবারের মতো চীনে বিলেট রপ্তানি করতে যাচ্ছে জিপিএইচ

একসময় রড তৈরির মধ্যবর্তী কাঁচামাল ‘বিলেট’ আমদানি হতো। বছর দুয়েক আগে দেশীয় কারখানাগুলো বিলেট উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়েছে। এখন আর আমদানি করতে হচ্ছে না। স্বনির্ভরতা অর্জনের পরই এবার বড় চালানের বিলেট রপ্তানিতে নাম লেখাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

ইস্পাত উৎপাদনে বিশে^ শীর্ষ স্থানে থাকা চীনে এই বিলেট রপ্তানি করবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত। চট্টগ্রামের সীতাকু-ের কুমিরায় অবস্থিত জিপিএইচ সম্প্রতি তাদের কারখানার উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করে। সম্প্রসারিত কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর পরপরই আগামী মাসের শুরুতে প্রথমবারের মতো কোম্পানিটি চীনে বিলেট রপ্তানি করতে যাচ্ছে।

চীনের প্রতিষ্ঠানটির সাথে ২৫ হাজার টন বিলেট রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। রপ্তানি মূল্য ১ কোটি ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ থেকে এক সাথে এত বড় চালান কখনো রপ্তানি হয়নি। বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিলেট রপ্তানি করেছিল জিপিএইচ ইস্পাত, সেটি ২০০৮ সালে। সেই সময় শ্রীলংকায় আড়াই হাজার টনের ছোট চালান রপ্তানি করে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া ভারতের সাতটি রাজ্যেও অনিয়মিতভাবে দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে রড ও বিলেট রপ্তানি করেছে। 

রপ্তানিকারকদের জন্য সুখবর: কমেছে ইডিএফ সুদের হার

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সুদের হার আবারো কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে এই তহবিলের ঋণে ২ শতাংশ সুদ দিতে হতো, এখন তা কমিয়ে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন ঋণেই শুধু এ সুদহার কার্যকর হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২৮ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনে সুদের হার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে। তবে পুরনো ঋণে সুদ আগের মতোই থাকবে। এই তহবিল থেকে সাধারণত পোশাক খাত, চামড়াজাত ও প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিকারকেরা ঋণ নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি রপ্তানি পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতেও এই তহবিল থেকে ঋণ পাওয়া যায়।

করোনাভাইরাসের কারণে গত এপ্রিলে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আকার ৩৫০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি ডলার করা হয়। সেই সাথে সুদের হার কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছিল। এছাড়া বিজিএমইএ ও বিটিএমএর সদস্য প্রতিষ্ঠানের ঋণসীমা বাড়িয়ে আড়াই কোটি থেকে তিন কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়। পাশাপাশি রপ্তানি মূল্য প্রত্যাবাসনের সময় ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে বস্ত্র খাতের জন্য ২১০ দিন করা হয়েছিল।

রপ্তানিকারকদের সহায়তা দিতে ১৯৮৯ সালে রিজার্ভের অর্থ দিয়ে ইডিএফ চালু করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমলেও অন্যদের তুলনায় ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের পোশাক রপ্তানি কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। ভারত ও মেক্সিকোর কমেছে এক-তৃতীয়াংশ। ইন্দোনেশিয়ার কমেছে ২১ শতাংশের কাছাকাছি। সেই হিসাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম আট মাস জানুয়ারি থেকে আগস্টে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। তবে বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে শুধু ভিয়েতনাম, দেশটির রপ্তানি কমেছে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা গত মার্চ থেকে পোশাক আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে সকল দেশেরই ব্যবসা কমেছে। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বাজারটিতে বিভিন্ন দেশের ৪ হাজার ৩৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ২৯ শতাংশ কম। যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো গত বছর ৫ হাজার ৭২৯ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট সময়ে বাজারটিতে যে পরিমাণ পোশাক রপ্তানি হয়েছে, তার ৫৭ শতাংশ করেছে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও মেক্সিকো।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ৫৯৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। চলতি বছরের প্রথম মাসে ৬২ কোটি ডলারের রপ্তানির বিপরীতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৭ শতাংশ। পরের মাসেও প্রবৃদ্ধি হয় ১১ শতাংশ। মার্চ ও এপ্রিলেও রপ্তানি নেতিবাচক হয়নি। করোনার প্রভাব পড়ে মূলত মে মাসে। সেই মাসে রপ্তানি এক ধাক্কায় ১২ শতাংশ কমে। আট মাসে মোট ৩৪৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম। বর্তমানে বাজারটিতে বাংলাদেশের হিস্যা ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যা গত বছরের শেষে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।