Home Blog Page 244

বেজার ওয়ান স্টপ সেন্টারে যুক্ত হলো ১১ সেবা

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বা বেজার এক দরজায় সেবায় (ওএসএস) নতুন আরো ১১টি অনলাইন পরিষেবা যুক্ত হয়েছে। ২২ অক্টোবর রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে নতুন এসব পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস। নতুন যে ১১টি সেবা বেজার ওএসএসে যুক্ত হয়েছে তার মধ্যে ৯টিই পরিবেশ-বিষয়ক। আর এসব সেবার প্রদানকারী সংস্থা পরিবেশ অধিদপ্তর।

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এক জায়গা থেকে শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয় সব সুবিধা দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন, ২০১৮ পাস করা হয়। এ আইনের মাধ্যমে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনি বাধ্যবাধকতার আওতায় আনা হয়। আইনটি পাস হওয়ার পর থেকে শিল্প স্থাপনে বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া প্রয়োজনীয় সেবার মধ্য থেকে ২১টিকে বেজার ওএসএসভুক্ত করা হয়। নতুন ১১টি যুক্ত হওয়ার ফলে এখন সেবার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২টিতে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। এ কারণে মাথাপিছু আয় ১২ হাজার মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’’

নতুন সেবা যুক্ত করার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইন্টার এশিয়া গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেডের সাথে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের জমি বরাদ্দ চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটি সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে ৯ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, জাদুঘর, ওপেন এয়ার অ্যাম্ফিথিয়েটার, বিনোদন পার্ক, হোটেল, রিসোর্ট ইত্যাদি তৈরি করবে। এতে ছয় হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

বঙ্গোপসাগরে মহীসোপান সীমার সংশোধিত তথ্য জাতিসংঘে দিল বাংলাদেশ

বঙ্গোপসাগরে বর্ধিত মহীসোপানে বাংলাদেশের সীমানা-সংক্রান্ত সংশোধিত তথ্য-উপাত্ত জাতিসংঘের কাছে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ। মহীসোপান সীমা-সংক্রান্ত সংশোধিত এসব তথ্য ২২ অক্টোবর জাতিসংঘের সমুদ্র আইন ও সমুদ্র-বিষয়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক দিমিত্রি গংচারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশের উপস্থাপিত সংশোধনীটি যাতে ‘জাতিসংঘের মহীসোপান সীমা-বিষয়ক কমিশন’-এর পরবর্তী অধিবেশনের কার্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তা নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন রাবাব ফাতিমা। মহীসোপানের সীমা নির্ধারণ চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ তার সীমানার সমুদ্রসম্পদ ও সমুদ্র তলদেশের খনিজ সম্পদ আহরণ-ব্যবহারের সুযোগ পাবে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

এর আগে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মহীসোপান সীমা-বিষয়ক কমিশনে বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান সীমা-সংক্রান্ত মূল তথ্যগুলো জমা দিয়েছিল বাংলাদেশ।

মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্র সীমা নির্ধারণ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক মামলায় যথাক্রমে ২০১২ ও ২০১৪ সালের ঐতিহাসিক রায়ে বাংলাদেশ জয়লাভ করে। এতে বঙ্গোপসাগরে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমা নির্ধারণ চূড়ান্ত হয়। আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জিত এই সাফল্যের বাস্তবায়নের জন্য বঙ্গোপসাগরে মহীসোপান সীমা-সংক্রান্ত তথ্য সংশোধন করা হলো।

নিয়মানুযায়ী জাতিসংঘের মহীসোপান সীমা-বিষয়ক কমিশন বাংলাদেশের দাখিল করা এসব তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি উপকমিটি গঠন করবে। পরবর্তী সময়ে সন্তুষ্টিসাপেক্ষে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের মহীসোপান সীমা নির্ধারণে চূড়ান্ত সুপারিশ তুলে ধরবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র-বিষয়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী দল মহীসোপান সীমা সংশোধনী-বিষয়ক এসব দলিল তৈরি করেছে।

এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ১.৬ শতাংশ

চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। করোনার কারণে অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, রপ্তানি, প্রবাসী আয়সহ বিভিন্ন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তাই এত প্রবৃদ্ধি কমার কথা বলছে এই দাতা সংস্থা। ৮ অক্টোবর প্রকাশিত সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যদিও বাজেট ঘোষণার সময় চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। মূলত করোনায় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি স্লথ হওয়ায় এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক আরো বলছে, আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে।

বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, করোনায় দেশের নিম্ন আয়ের রোজগার ও আয় কমে যাওয়া এবং প্রবাসী আয় হ্রাসের ফলে ভোগ বা খরচ করার প্রবণতা কমেছে। অন্যদিকে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। চলতি অর্থবছরের শুরুর দিকে বন্যায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক আরো বলেছে, করোনার কারণে দিনমজুরসহ অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক ও উৎপাদন খাতের বেতনভুক্ত কর্মীদের জীবন-জীবিকার ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছে। শহরের শ্রমিকরাও একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিশেষ করে করোনার সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৬৮ শতাংশ শ্রমিকের জীবিকার ওপর আঘাত এসেছে।

অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনার কারণে কর খাতের সংস্কার বিলম্বিত হলে কিংবা বড় প্রকল্পগুলোর খরচ বাড়লে আর্থিক খাতের ঝুঁকি আরো বেড়ে যেতে পারে। ঘাটতি বাজেট মোকাবিলায় ব্যাংক খাত থেকে অর্থ নেওয়া হলে তা সুদের হারে চাপ সৃষ্টি করবে এবং বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করবে। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া ঠেকিয়ে ঋণের ঝুঁকি কমাতে ফলপ্রসূ আলোচনা দরকার। বহির্বাণিজ্য খাতেও চাপ বাড়বে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

বহির্নোঙরে অপেক্ষা ছাড়াই জাহাজ ভিড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরে

চট্টগ্রাম বন্দরে সেবার মান বেড়েছে। চার মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সেবার মান। জাহাজ বহির্নোঙরে আসামাত্রই ভিড়ে যাচ্ছে পণ্য খালাসের কাজে। ফলে গত সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম সময়ে পণ্য হাতে পাচ্ছেন আমদানিকারকেরা। এতে কারখানায় দ্রুত কাঁচামাল চলে যাচ্ছে এবং পণ্যও বাজারজাত হচ্ছে।

বন্দর সুবিধা বাড়লে দেশের উৎপাদনমুখী সকল শিল্প-কারখানা সুফল পায়। কারণ, সিমেন্ট ও ইস্পাত ছাড়া কমবেশি সকল ধরনের শিল্প-কারখানার কাঁচামাল আমদানি হয় কনটেইনারে। রপ্তানি পণ্যেরও পুরোটাই যায় কার্যত কনটেইনারে। আর কনটেইনার পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে শীর্ষে হলো পোশাক শিল্প খাত। ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ পাওয়ার পর দ্রুত পোশাক রপ্তানি করা যাবে কিনা, তা অনেকাংশে নির্ভর করে বন্দরের সুযোগ-সুবিধার ওপর।

জাহাজ আসার পর কত দ্রুত জেটিতে ভিড়তে পারছে, সেটি হলো চট্টগ্রাম বন্দরের সেবার মানের সবচেয়ে বড় সূচক। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) নির্দেশিকা অনুযায়ী, বন্দরের জলসীমায় জাহাজ আসার পর থেকে জেটিতে ভেড়ানো পর্যন্ত সময়কে ‘অপেক্ষমাণ সময়’ হিসেবে ধরা হয়।

অপেক্ষমাণ সময় পেরিয়ে জেটিতে ভেড়ানোর পরই জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানো হয়। এরপর শুল্ক-করসহ সব প্রক্রিয়া শেষ করে ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস নিতে পারেন। পোশাকশিল্পের কাঁচামালের মতো জরুরি পণ্য জাহাজ থেকে নামানোর পর সিংহ ভাগই কয়েক দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করে খালাস করে নেওয়া হয়। সেপ্টেম্বরে বন্দরের জলসীমায় আসার পর থেকে জেটিতে ভেড়ানো পর্যন্ত প্রতিটি জাহাজের সময় লেগেছে ১৮ ঘণ্টা। বন্দরে জোয়ারের সময় জাহাজ ভেড়ানো হয়। তাতে ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা স্বাভাবিক সময় হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। অথচ গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রতিটি জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় ছিল পাঁচ দিন ছয় ঘণ্টা।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘বন্দরের দক্ষতা বেড়েছে। মহামারির পুরো সময়ে সেবার মানের উন্নতি ধরে রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর সামনে আমদানির চাপ বাড়লেও সমস্যা হবে না।’’

কর্ণফুলী রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের লাইফ লাইনখ্যাত কর্ণফুলী নদীকে দূষণ ও দখলের হাত থেকে রক্ষা করে তার নান্দনিক রূপ ফিরিয়ে এনে অর্থনীতিতে আরো বেশি অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টির জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। ৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে কর্ণফুলী নদীর দূষণ রোধ, নাব্যতা বৃদ্ধি ও অবৈধ দখল রোধকল্পে কর্ণফুলী নদীসংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রাম বন্দর অধিশাখার কর্মকর্তারা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদফতর ও বিআইডব্লিউটিএর প্রতিনিধি অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ সংস্থার কর্ণফুলী নদীসংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি এবং বাস্তবায়নের সুফল সম্পর্কে সভায় অবহিত করেন। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা মূল চ্যানেলে বাড়লেও খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং দূষণ ও অবৈধ দখল বেড়ে যাওয়ায় নৌ সচিব উদ্বেগ জানান। এ সময় তিনি প্রতিটি সংস্থাকে তাদের প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নদীর দূষণ রোধ এবং অবৈধ দখল প্রতিরোধের জন্য সমন্বিতভাবে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর দূষণ রোধ, নাব্যতা বৃদ্ধি ও অবৈধ দখল রোধকল্পে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যান যথাসময়ে বাস্তবায়নের জন্য সংস্থাগুলোকে আরো উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

নিম্ন মাত্রার সালফারয্ক্তু ফুয়েলে সারচার্জ বসাল ওয়ান

দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন এমিশন কন্ট্রোল এরিয়ায় (ইসিএ) নিম্ন সালফারযুক্ত জ্বালানিতে অতিরিক্ত চার্জ আদায় করবে ওশান নেটওয়ার্ক এক্সপ্রেস (ওএনই বা ওয়ান)। সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে সৃষ্ট দূষণের হার কমাতে বন্দর এবং উপকূলকে ইসিএ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে কোরিয়ার নৌপরিবহন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়। এসব এলাকায় শূন্য দশমিক ১ শতাংশ সালফারবাহী জ্বালানি ব্যবহার এবং ধীরে জাহাজ চালানো বাধ্যতামূলক করা হয়, ফলে জাহাজ অপারেশন খরচ বেড়েছে। এ কারণে কোরিয়ামুখী সকল আমদানি-রপ্তানি পণ্যে প্রতি টিইইউ ৩ ডলার করে সালফার জ্বালানি সারচার্জ বসিয়েছে ওয়ান।

সমুদ্রভিত্তিক ক্লাইমেট সলিউশন অ্যাক্ট পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন জলসীমায় পাঁচ হাজার গ্রস টনেজের চেয়ে বড় আকৃতির জাহাজের জন্য গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ-বিষয়ক মনিটরিং, রিপোর্টিং এবং সত্যয়নের জন্য নতুন আইন চালু করেছে মার্কিন সরকার। সিলেক্ট কমিটির ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী ছয়টি পরিবেশ সুরক্ষা আইনের পাশাপাশি এটিও কার্যকর হবে। এ আইনের চারটি উপধারা হলো বোনামিচির ব্লু কার্বন ফর আওয়ার প্ল্যানেট অ্যাক্ট, কোস্ট রিসার্চ অ্যাক্ট, ওয়াটার পাওয়ার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট এবং ব্লু গ্লোব অ্যাক্ট।

ভিএলসিসি ভাঙায় মন্দা

বাণিজ্যে মন্দার এ সময়ে ভাঙার উদ্দেশে জাহাজ বিক্রির ঘটনা বাড়লেও ২০২০ সালে এসে দেখা যাচ্ছে ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘতম সময় ধরে একটিও ভেরি লার্জ ক্রুড অয়েল ট্যাংকার স্ক্র্যাপ হয়নি। বিমকোর হিসাব অনুযায়ী, ভাঙার উদ্দেশে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ২০১৯ সালের জুনে আসা শেষ ভিএলসিসির পর আর কোনো বড় অয়েল ট্যাংকারকে স্ক্র্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। এর নেপথ্য কারণ হিসেবে শক্তিশালী তেলের বাজার এবং জাহাজ ভাঙা শিল্পের মন্দাভাবকে চিহ্নিত করেছে বিমকো। গত বছর যেখানে টনপ্রতি ৪৪০ মার্কিন ডলার করে জাহাজ বিক্রি হয়েছে, এ হার বর্তমানে প্রতি টন ৩৬০ ডলার।

পানামা খালে কমেছে পণ্য পরিবহন

পানামায় অর্থবছর শুরু হয় অক্টোবরের ১ তারিখে। সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ এবং চলমান মহামারির ধাক্কায় ট্রানজিট এবং টনেজ, দুদিক থেকেই জাহাজের ভলিউম প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে বলে জানিয়েছে পানামা ক্যানাল অথরিটি। অথচ বছর শুরু হয়েছিল অত্যন্ত আশানুরূপভাবে। এপ্রিল নাগাদ সকল ক্রুজ শিপের ট্রাফিক বন্ধ হয়ে যায়, প্যাসেঞ্জার ও এলএনজি ট্যাংকারের অভাবে মে-জুন মাসে ট্রানজিট কমে যায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত। যদিও অর্থবছরের শেষ দুই মাসে ট্রানজিট ও কার্গো মুভমেন্ট আবার স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।  

বায়োফাউলিং এবং জিএইচজির বিরুদ্ধে জোটের শক্তি বাড়ল

সমুদ্রে জৈব দূষণ বা বায়োলজিক্যাল ফাউলিং এবং গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ বন্ধে গড়া জোট গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যালায়েন্সে (জিআইএ) ষষ্ঠ ও সপ্তম সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার মেরিন সাপ্লায়ার ট্যাস গ্লোবাল এবং পরিবেশবিষয়ক ড্যানিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিএইচআই ওয়াটার। আইএমও গ্লোফাউলিং পার্টনারশিপ প্রজেক্টের অধীনে চলতি বছরের জুনে শুরু হয় এ প্রকল্প। বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী রক্ষা এবং ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে মেরিন সেক্টরের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে জিআইএ।