Home Blog Page 261

কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে জোটবদ্ধ আইএমও ও আইএপিএইচ

গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে জাহাজ ও বন্দরের মধ্যে সহযোগিতা আরো শক্তিশালী করতে নতুন এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব উন্মোচন করা হয়েছে। দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব পোর্টস অ্যান্ড হারবার্স (আইএপিএইচ) সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থা (আইএমও) ও নরওয়ে সরকারের প্রকল্প ‘গ্রিনহাউস ২০৫০’-এ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে যুক্ত হচ্ছে। বিশ্বের ৯০টি দেশের ১৭০টি বন্দর এবং ১৪০টি বন্দরসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জোট হচ্ছে আইএপিএইচ।

জাহাজ থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে আইএমওর কৌশলপত্রে উল্লেখিত লক্ষ্যগুলো পূরণে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার উদ্দেশে গ্রিনহাউস ২০৫০ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে আইএপিএইচ যুক্ত হওয়ায় কারিগরি সহায়তা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো পূরণ বেশ সহজ হয়ে উঠবে। আইএমও গৃহীত পদক্ষেপগুলো গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে জাহাজ ও বন্দরের মধ্যে স্বেচ্ছাভিত্তিতে সহযোগিতার মনোভাবকে উৎসাহিত করে।

অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে ভারত

কঠোরতম লকডাউনের কারণে সৃষ্ট সংকোচন থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত মিলেছে ভারতীয় অর্থনীতিতে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু সূচকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের আভাস মিললেও তা ভঙ্গুর হতে পারে বলে জানিয়েছে ব্রিকওয়ার্ক রেটিংস।

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধ্বে ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। তবে কিছু সূচকে পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যেমন ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই (পারচেজিং ম্যানেজার্স’ ইনডেক্স) আগস্টের ৫২ শতাংশ থেকে বেড়ে সেপ্টেম্বরে হয়েছে প্রায় ৫৭ শতাংশ, যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেপ্টেম্বরে জিএসটি আদায় হয়েছে সাড়ে ৯৫ হাজার কোটি রুপি। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা প্রায় ৪ শতাংশ বেশি, আর আগস্টের তুলনায় বেশি ১০ শতাংশ। তবে ব্রিকওয়ার্ক রেটিংস বলছে, পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াটি টেকসই না-ও হতে পারে। কারণ নতুন প্রকল্পে মূলধনি ব্যয় দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৮১ শতাংশ। এছাড়া আগস্টে কোর সেক্টর প্রবৃদ্ধিও ছিল ঋণাত্মক সাড়ে ৮ শতাংশ।

তেল উৎপাদন ব্যয় রেকর্ড সর্বনিম্নে

জ্বালানি তেলের গড় ব্রেকইভেন মূল্য (না লাভ-না লোকসান) চলতি বছর কমে ব্যারেলপ্রতি ৫০ ডলারের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। দুই বছর আগের তুলনায় এ মূল্য প্রায় ১০ শতাংশ কম এবং ২০১৪ সালের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ। এর অর্থ হচ্ছে ছয় বছর আগের তুলনায় তেলের উৎপাদন ব্যয় এখন অনেক কম। রিস্টাড এনার্জির এক নতুন বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রিস্টাড এনার্জি বলছে, অফশোরে কূপ উন্নয়নের কারণেই উৎপাদন কমছে। জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে সংস্থাটির সরবরাহ রেখা ব্যয় অনুযায়ী, ২০২৫ সালে দিনপ্রতি ১০ কোটি ব্যারেল তেল উৎপাদনে যে দর থাকা প্রয়োজন সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তা ক্রমাগত কমছে। ওই মাত্রায় তেল উৎপাদন অব্যাহত রাখতে ব্যারেলপ্রতি দাম ৫০ ডলার হলেই চলবে বলে সাম্প্রতিক প্রাক্কলনে উঠে এসেছে।

গ্যাস ক্যারিয়ারে প্রথম ডুয়েল-ফুয়েল এলপিজি কনভারশন সম্পন্ন

বিডব্লিউ জেমিনি নামের বৃহদাকৃতির একটি গ্যাস ক্যারিয়ারে (ভিএলজিসি) প্রথম প্রথাগত জ¦ালানির পাশাপাশি এলপিজি প্রপালশন সিস্টেমে রূপান্তর সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের বহর আরো দক্ষ ও পরিবেশবান্ধব করে তোলার অংশ হিসেবে ইঞ্জিন রূপান্তরের কাজটি শেষ করেছে।

২০১৫ সালে নির্মিত বিডব্লিউ জেমিনি সাড়ে ৫৪ হাজার টনের এলপিজি ট্যাংকার আর ধারণক্ষমতা ৮৪ হাজার কিউবিক মিটার। চীনের ইয়ু লিয়ান ডকইয়ার্ডে ভেসেলটির রেট্রোফিটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর ডেকে স্থাপন করা হয়েছে ৯০০ কিউবিক মিটার ধারণক্ষমতার দুটি এলপিজি ট্যাংক। প্রথাগত জ্বালানির পাশাপাশি ভেসেলটির ডুয়েল-ফুয়েল প্রপালশন ইঞ্জিন চালাতে এ ট্যাংক দুটি থেকে এলপিজি ব্যবহার করা হবে। জেমিনির প্রধান ইঞ্জিনটি কোনো ধরনের কারিগরি সমস্যা ছাড়াই যেকোনো জ্বালানির মাধ্যমে চালু থাকতে পারবে।

মজুদ বাড়াতে রিটেইলারদের রেকর্ড আমদানি

করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে রয়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতি। মার্কিন বন্দরগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের অনেক বন্দরে পণ্যের মজুদ যেমন বাড়ছে, তেমনি সরকারগুলোও পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার সমর্থনে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।

সর্ববৃহৎ মার্কিন রিটেইল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন (এনআরএফ) এবং হ্যাকেট অ্যাসোসিয়েটসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, খুচরা বিক্রিতে চাঙ্গাভাবের কারণে চলতি গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড আমদানি হয়েছে। ছুটির মৌসুমকে সামনে রেখে মার্কিন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো পুরনো মজুদ বিক্রি করে নতুন করে মজুদ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

অবশ্য আমদানি বাড়ায় বন্দর ও ক্যারিয়ারগুলোর সামনে নতুন কিছু চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। খালি কনটেইনারগুলো খুঁজে পেতে শিপিং লাইনগুলো যেমন বিপদে পড়ছে, তেমনি বন্দরগুলোয় সৃষ্টি হচ্ছে জট। আর এর প্রভাব পড়ছে শিপিং শিডিউলে, পণ্য প্রবাহে দেখা দিচ্ছে স্লথতা।

ভারতের প্যাসেঞ্জার ভেহিকল রপ্তানিতে ধস

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধ্বে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) ভারতের প্যাসেঞ্জার কার রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। অন্যদিকে প্যাসেঞ্জার ভেহিকল রপ্তানি কমেছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। বৈশ্বিক বাজারে করোনাভাইরাসজনিত বিধিনিষেধের কারণে রপ্তানিতে এ ধস নেমেছে বলে জানিয়েছে সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (এসআইএএম)।

সংস্থাটির সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, অর্থবছরের প্রথমার্ধ্বে প্যাসেঞ্জার ভেহিকল রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৫৬ ইউনিটে। অথচ গত বছরের একই সময়ে এটি ছিল ৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৪৭ ইউনিট। একইভাবে প্যাসেঞ্জার কার রপ্তানি হয়েছে ১ লাখ ৫২৯টি, গত বছরের ওই সময়ে যা হয়েছিল ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৮টি। এছাড়া ইউটিলিটি ভেহিকল রপ্তানি গত বছরের ৭৭ হাজার ৩০৯টি থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৩৭৫টিতে। ভ্যান রপ্তানিও কমেছে প্রায় ৮১ শতাংশ।

মাছ-মাংস-দুধে নেপালের স্বনির্ভরতার উদ্যোগে হোঁচট

মাছ, মাংস ও দুধে হিমালয়বেষ্টিত নেপালের স্বনির্ভরতার উদ্যোগ করোনাভাইরাসের প্রকোপে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরিচালক বংশী শর্মা প্রবাসী নেপালি সংগঠন আয়োজিত এক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সম্মেলনে উপস্থাপিত এক নিবন্ধে শর্মা জানান, নেপালের জিডিপিতে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ১৩ শতাংশ। দেশটির ৬০ শতাংশ কৃষক গবাদিপশু লালন-পালনে যুক্ত। কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে এ খাত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেও মহামারির কারণে দুধের উৎপাদন ও সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি মাছ খাওয়ার অভ্যাসেও ভাটা পড়েছে। দারিদ্র্যের কারণে নেপালিদের মধ্যে মাছ, মাংস ও দুধ খাওয়ার অভ্যাস বাড়েনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গবাদিপশুর খুরা রোগসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে শর্মা জানান, ফেডারেল, রাজ্য ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো একযোগে কাজ করলে এ খাত জাতীয় অর্থনীতিতে আরো বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

নাবিক বদলে চীনের ১০ বন্দর উন্মুক্ত

করোনাভাইরাসসৃষ্ট মহামারিতে মেরিটাইম শিল্পে নাবিক বদলের ব্যবস্থাটি একেবারে ভেঙে পড়েছে, অবহেলিত থাকছে তাদের স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো। এ পরিস্থিতিতে সর্বশেষ দেশ হিসেবে চীন বিদেশি নাবিকদের জন্য তাদের ১০টি বন্দর উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাহাজে বা নিজ দেশে অবস্থানে বাধ্য নাবিকদের জন্য দেশটির এ উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

বিমকো প্রকাশিত তথ্যে চীনের দালিয়ান, তিয়ানজিন, কিংদাও, সাংহাই, নিংবো, ফুঝাউ, শিয়ামেন, গুয়াংঝু, শেনজেন এবং হাইকো বন্দর বিদেশি নাবিকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে খুবই কঠোর প্রটোকলের অধীনে নাবিক বদলের কাজটি সম্পন্ন হবে। বিমকো এজন্য শিপিং এজেন্সিগুলোকে চীনে তাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শের আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি আশা করছে, বিদেশি নাবিক বদলের ক্ষেত্রে চীনের অন্য বন্দরগুলোও একই পদক্ষেপ অনুসরণ করবে।

আইবিসি ও মারপল সংশোধনী কার্যকরে প্রয়োজন প্রস্তুতি

আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শিপিং শিল্পে বিদ্যমান দুটি ফিটনেস সার্টিফিকেটের স্থলে প্রয়োজন হবে হালনাগাদ সার্টিফিকেট। বিপজ্জনক কেমিক্যাল বহনকারী জাহাজের ফিটনেস অর্থাৎ নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংশ্লিষ্ট আইবিএস কোড এবং বাল্কে ক্ষতিকর তরল পরিবহন সংশ্লিষ্ট মারপল সংযোজনী-২-এর হালনাগাদ সার্টিফিকেট কার্যকরের আগে এ বিষয়ে সকল পক্ষকে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বিমকো।

বিমকো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভেসেল চলাচল অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট জাহাজ মালিকদের অবশ্যই নতুন বিধিমালা কার্যকরের আগেই সার্টিফিকেট দুটি সংগ্রহ করতে হবে। জটিলতা এড়াতে সংস্থাটি এজন্য আগে থেকে সার্টিফিকেট ইস্যুর আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া জাহাজগুলোয় নির্দিষ্ট বাষ্প শনাক্ত ডিভাইস সরবরাহে প্রস্তুতি নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি অনেকে বন্দরে ক্ষতিকর তরল আনলোডের পর প্রিওয়াশ সুবিধার ঘাটতি থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে।

২০৪০ নাগাদ সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ তিন গুণ বাড়তে পারে

আগামী দুই দশকে সমুদ্রে প্লাস্টিক বর্জ্যরে দূষণ বেড়ে তিন গুণ হতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল সলিড ওয়েস্ট অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, প্লাস্টিকের উৎপাদন হ্রাসে কোম্পানি ও সরকারগুলো যদি কার্যকর উদ্যোগ না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।

সলিড ওয়েস্ট জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ভোগ বেশ বেড়েছে। এশিয়ার নির্জন সৈকতগুলো ফেস মাস্ক ও ল্যাটেক্স গ্লাভসে সয়লাব হয়ে পড়ছে। ভাগাড়গুলো খাবারের টেকঅ্যাওয়ে পাত্র এবং অনলাইন ডেলিভারি প্যাকেজিংয়ে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে।

দ্য পিউ চ্যারিটেবল ট্রাস্টস এবং সিস্টেমআইকিউর জন্য প্রণীত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানী ও শিল্পসংশ্লিষ্টরা সম্ভাব্য সমাধানের পথ বাতলেছেন, যেগুলো অনুসরণ করলে সমুদ্রে পরিবাহিত প্লাস্টিকের পরিমাণ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।