Home Blog Page 31

২০২৩ সালে মুনাফার মধ্যেই থাকবে বৈশ্বিক কনটেইনার শিপিং খাত: বিশ্লেষক

মহামারি-উত্তর সময়ে ভোক্তাচাহিদার ঊর্ধ্বগতির সুবাদে কনটেইনার পরিবহন খাতে যে চাঙ্গাভাব তৈরি হয়েছিল, এখন তা অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। এর ফলশ্রুতিতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেশিরভাগ শিপিং কোম্পানির মুনাফা সক্ষমতায় বড় ধরনের ধস নেমেছে। টানা সাত প্রান্তিক রেকর্ড আয়ের পর গত তিন প্রান্তিকে পতনমুখী কনটেইনার পরিবহন খাত। তবে এই নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যেও আশার কথা শোনাচ্ছেন জন ম্যাককাউন। এই শিপিং বিশ্লেষকের মতে, ২০২৩ সালটা কনটেইনার লাইনারগুলো মুনাফার মধ্য দিয়েই কাটাবে।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে কনটেইনার শিপিং খাতে নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ের ৫ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার মুনাফার তুলনায় তা ৪ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার বা ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ কম। তবে এই তথ্য সঠিক চিত্র তুলে ধরতে পারছে না বলে মনে করছেন জন ম্যাককাউন। এর পেছনে কিছু যুক্তিও তুলে ধরেছেন তিনি।

ম্যাককাউনের মতে, মোট আয় ও মুনাফার আনুপাতিক হিসাব বিবেচনায় নিলে প্রথম প্রান্তিকের পরিসংখ্যান মহামারি-পূর্ব সময়ের তুলনায় যথেষ্টই ইতিবাচক। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চার বছরে কনটেইনার শিপিং খাতে সম্মিলিত লোকসান হয়েছিল ৮৫০ কোটি ডলার। এ সময়ে খাতটির মোট রাজস্ব আয় ছিল ৬৮ হাজার ১২০ কোটি ডলার। মুনাফা ও রাজস্ব আয়ের মার্জিন ছিল ১ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মার্জিন ছিল ২০ দশমিক ৯ শতাংশ।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিশ্বজুড়ে মোট ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯১৩ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা গত বছরের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় ৪ দশমিক ১ শতাংশ কম।

কার্বন নিঃসরণ কমিয়েছে ডিপি ওয়ার্ল্ড

দুবাইভিত্তিক লজিস্টিকস কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডের বৈশ্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমেছে। প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিপি ওয়ার্ল্ডের এনভায়রনমেন্টাল সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএসজি) রিপোর্টে দেখা গেছে, গত বছর তারা ৫ শতাংশ নিঃসরণ কমিয়েছে এবং ২০৪০ সাল নাগাদ তাদের কার্যক্রম পুরোপুরি কার্বনমুক্ত হওয়ার পথে রয়েছে।

২০২২ সালে ডিপি ওয়ার্ল্ড তাদের ইএসজি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ফ্রেমওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করেছে এবং বিষয়টির দেখভালের জন্য এক্সিকিউটিভ সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল গঠন করেছে। এ বছরেই কোম্পানিটি ২০২১ সালের জন্য ইএসজি রিপোর্ট প্রথমবারের মতো এককভাবে প্রকাশ করেছে। এতে টেকসই ব্যবসায়িক চর্চার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

ভূমধ্যসাগরে ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী বোঝাই নৌকা উধাও

প্রায় ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী বোঝাই একটি নৌকা কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে হারিয়ে গেছে। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কয়েকজন গর্ভবতী নারী ও এক নবজাতক শিশুও ছিল। দুটি দাতব্য সংস্থা শুক্রবার (২৬ মে) এ কথা জানিয়েছে।

বিপদাপন্ন মাইগ্রেন্ট ভেসেলের বার্তা পেয়ে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দাতব্য সংস্থা অ্যালার্ম ফোন। তারা জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকেই নৌকাটির সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলেছে তারা। সে সময় নৌকাটি লিবিয়ার বেনগাজি বন্দর থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার উত্তর এবং মাল্টা ও ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ সিসিলি থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে অবস্থান করছিল। ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসছিল সেটি।

এদিকে ইমার্জেন্সি নামের একটি ইতালীয় দাতব্য সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাদের একটি লাইফ সাপোর্ট শিপ ও একটি চ্যারিটি ভেসেল দিনভর নৌকাটির সন্ধানে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেও নৌকা অথবা এর ধ্বংসাবশেষের কোনো হদিস পায়নি। সংস্থাটির একজন মুখপাত্র শুক্রবার জানিয়েছেন, তাদের তল্লাশি অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হয়তো অন্য কোনো নৌকায় তুলে নেওয়া হয়েছে অথবা তাদের নৌকার ইঞ্জিন সারিয়ে নিয়ে হয়তো তারা সিসিলির পথে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।

ইতালির কোস্ট গার্ড বৃহস্পতিবার জানায়, তারা পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করে ইতালির জলসীমায় যথাক্রমে ৪২৩ জন ও ৬৭১ জন অভিভাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। তবে অ্যালার্ম ফোন জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতরা হারিয়ে যাওয়া নৌকাটির নয়। এ বিষয়ে ইতালির কোস্ট গার্ডের তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বন্দরগুলোয় শোর পাওয়ার সিস্টেম স্থাপনে অর্থ দেবে ডাচ সরকার

নেদারল্যান্ডসের বন্দরগুলোয় শোর পাওয়ার প্রযুক্তির সর্বাত্মক ব্যবহার চালু করতে আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রæতি দিয়েছে দেশটির সরকার। শোর পাওয়ার ব্যবহার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও নিজেদের বন্দরগুলোর পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে এই বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নেদারল্যান্ডসের অবকাঠামো মন্ত্রণালয় দেশটির বন্দরগুলোয় শোর পাওয়ার সিস্টেম স্থাপনে আগামী কয়েক বছরে ১৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা কনসাল্টিং গ্রæপ বিওজেডের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) তৈরি করেছে। এছাড়া দেশটির জলবায়ু তহবিল থেকে আরও ৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার সরবরাহ করা হবে।

অল্টারনেটিভ ফুয়েলস ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেগুলেশনসের (এএফআইআর) অধীনে ২০৩০ সাল নাগাদ পাঁচ হাজার গ্রস টনের বড় জাহাজগুলোকে শোর পাওয়ার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে ইইউর বন্দরগুলোকে। কনটেইনার জাহাজ, প্রমোদতরী, প্যাসেঞ্জার শিপ, কম্বাইন্ড প্যাসেঞ্জার অ্যান্ড কার্গো শিপ-সব ধরনের জাহাজই এই নিয়মের আওতায় আসবে। নেদারল্যান্ডসের সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন, ইইউর এএফআইআর প্রতিপালন করতে হলে এসব বৃহদাকার জাহাজ ডকে থাকা অবস্থায় সেগুলোকে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে।

বিওজেডের হিসাব অনুযায়ী, এএফআইআর বাস্তবায়নে ইইউর বন্দরগুলোকে তাদের শোর পাওয়ার ক্যাপাসিটি প্রায় ২৭০ মেগাওয়াটে উন্নীত করতে হবে। আর এর জন্য প্রায় ৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে বলে ধারণা তাদের।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, নেদারল্যান্ডসের পাঁচটি বড় বন্দরে শোর পাওয়ার সিস্টেম স্থাপনে তহবিল সরবরাহ করা হবে। এগুলো হলো রটারডাম, আমস্টারডাম, গ্রোনিনজেন, মোয়েরডিজক ও নর্থ সি পোর্ট। ইইউর এএফআইআর কর্মসূচির অধীনস্ত জাহাজগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য জাহাজে শোর পাওয়ার সরবরাহ প্রকল্পও ভর্তুকির আওতায় আসবে।

রপ্তানিতে সিআইপি হলেন ১৮০ ব্যবসায়ী

দেশের রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০২১ সালের জন্য ১৮০ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত করেছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে সিআইপিদের তালিকা প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা অনুযায়ী তাদের নির্বাচিত করেছে সরকার। আগামী এক বছরের জন্য এই ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ির স্টিকার পাবেন। এ ছাড়া জাতীয় অনুষ্ঠান ও নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।

এ ছাড়া সিআইপিরা তাঁদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিদেশভ্রমণের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁদের জন্য ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে।

সিআইপিদের মধ্যে সরাসরি রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য ১৪০ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কাঁচা পাট শ্রেণিতে ৪ জন, পাটজাত পণ্যে ৪, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ৫, হিমায়িত খাদ্যে ৮, ওভেন পোশাকে (একক) ১৭, ওভেন পোশাক (গ্রুপ) শ্রেণিতে ৪ জন, কৃষি পণ্যে ৮, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে ৩, হালকা প্রকৌশল পণ্যে ৩, ফার্মাসিউটিক্যালস শ্রেণিতে ৪ এবং হস্তশিল্প শ্রেণিতে ৩ জন সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যদের মধ্যে হোম টেক্সটাইলে ৩ জন, নিট পোশাকে (একক) ২৫, নিট পোশাকে (গ্রুপ) ৭ জন, সিরামিক পণ্যে ২ জন, প্লাস্টিক পণ্যে ১ , বস্ত্র খাতে ৭ জন এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটার সেবা ও ডেটা প্রসেসিং ইত্যাদি পণ্য ও সেবা শ্রেণিতে ৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া বিবিধ পণ্য শ্রেণিতে ২৩ জন ও ইপিজেডভুক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সিআইপি হয়েছেন। এর বাইরে ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের থেকে ৪০ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে।

সুয়েজ খালে ফের জাহাজ আটকা, কয়েক ঘণ্টায় মুক্ত

সুয়েজ খালে আবারও জাহাজ আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৪ মে) দিবাগত রাত ১টার (গ্রিনিচ মান সময়) দিকে শিন হাই তোং ২৩ নামের হংকংয়ের পতাকাবাহী একটি বাল্ক ক্যারিয়ার সুয়েজ খালের দক্ষিণ মুখের একটু ভেতরে আটকে যায়। এ সময় জাহাজটির পেছনে আরও কয়েকটি জাহাজ আটকা পড়ে। সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দুটি টাগবোটের সহায়তায় ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই বাল্কারটিকে পুনরায় পানিতে ভাসানো সম্ভব হয়।

অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস) তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পোল স্টার জানিয়েছে, দক্ষিণ প্রান্ত থেকে সুয়েজ খালে প্রবেশের কিছু সময় পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালের সরু অংশে আটকে যায় ১৯০ মিটার দীর্ঘ বাল্ক ক্যারিয়ারটি। ট্র্যাকিং ডেটা অনুযায়ী, এ সময় চ্যানেলটিতে সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। সুয়েজ খালে জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী লেথ এজেন্সিজ জানিয়েছে, খবর পেয়ে খাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত দুটি টাগবোট সেখানে পাঠায়।

সুয়েজ খালে জাহাজ আটকা পড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোয় শিপিং খাতের জন্য অন্যতম মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত জানুয়ারিতে ৬৫ হাজার টন ইউক্রেনীয় গম নিয়ে খালটিতে আটকা পড়ে একটি বাল্ক ক্যারিয়ার। গত বছরের আগস্টে খালের দক্ষিণমুখী লেনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আড়াআড়িভাবে আটকা পড়ে আফরাম্যাক্স ট্যাংকার অ্যাফিনিটি ফাইভ। তবে এসব ঘটনায় জাহাজ চলাচল খুব বেশি সময় বন্ধ থাকেনি, যেমনটি ছিল এভার গিভেনের সময়। ২০২১ সালের ২৩ মার্চ লোহিত সাগর থেকে ভূমধ্যসাগরে যাওয়ার সময় খালে আড়াআড়িভাবে আটকা পড়ে এভারগ্রিন মেরিনের মালিকানাধীন ২০ হাজার টিইইউ কনটেইনার ধারণক্ষমতার জাহাজ এভার গিভেন। ৪০০ মিটার দীর্ঘ জাহাজটি ছয়দিন পর মুক্ত হয়। এভার গিভেন আটকা পড়ায় বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই শিপিং চ্যানেল দিয়ে ছয়দিন জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল, যার ফলশ্রুতিতে দুই শতাধিক জাহাজ খালের দুই পাশে আটকা পড়ে। ওই ঘটনা বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।

ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরের সংযোগকারী সুয়েজ খাল মিশরের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস। মোট বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ পণ্য খালটি দিয়ে পরিবহন করা হয়।

সাগরে কনটেইনার হারানোর প্রবণতা কমেছে

সাগরে জাহাজ থেকে পড়ে কনটেইনার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা রেকর্ড সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। ওয়ার্ল্ড শিপিং কাউন্সিলের (ডব্লিউএসসি) সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে মোট ৬৬১টি কনটেইনার সাগরে হারিয়ে গেছে। ২০০৮ সালের পরের বছরগুলোর বার্ষিক গড় ১ হাজার ৫৬৬ থেকে এই সংখ্যা অনেকটাই কম।

বর্তমানে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ২৫ কোটি কনটেইনার পরিবহন হয়। এ হিসাবে ২০২২ সালে কনটেইনার হারিয়েছে এক শতাংশের এক-সহস্রাংশেরও কম।

প্রতিবেদনে ডব্লিউএসসির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জন বাটলার বলেছেন, ‘২০২২ সালে সাগরে কনটেইনার হারানো কমে যাওয়া অবশ্যই ইতিবাচক বিষয়। তবে আমাদের এতে নিশ্চিন্তে বসে থাকার সুযোগ নেই। কারণ প্রতিটি কনটেইনারই সাপ্লাই চেইনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাগরে কনটেইনার পড়ে যাওয়ার প্রবণতা কমানোর মাধ্যমে জলজ পরিবেশ ও কার্গোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাব।’

সাধারণত বিরূপ আবহাওয়ায় উত্তাল ঢেউ, জাহাজে-জাহাজে সংঘর্ষ, দুর্ঘটনায় জাহাজডুবি ইত্যাদি কারণে কনটেইনার সাগরে পড়ে যায়। এতে করে যে কেবল আর্থিক লোকসানই হয়, তা নয়। বরং এর কারণে সামুদ্রিক পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়।

৫ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করবে রাশিয়া

বছরে ১৩ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদন ও ৫ কোটি ৫০ লাখ টন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে রাশিয়া। দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র অনুযায়ী, ইউক্রেন ইস্যুর জেরে অনেক দেশ রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য কিনতে অস্বীকৃতি জানালেও দেশটি খুব ভালোভাবেই রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। ক্রেতা দেশের সংখ্যা কমে গেলেও বিক্রির পরিমাণ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে তারা। রাশিয়া এখন রপ্তানি গন্তব্যের সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে বিদ্যমান দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাশিয়ার খাদ্যশস্য রপ্তানি ইউনিয়নের প্রধান এডওয়ার্ড জেরনিন জানান, রাশিয়া বর্তমানে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের ৮০ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় সরবরাহ করছে। তুরস্ক, মিসর, ইরান, সৌদিআরব ও আলজেরিয়া রাশিয়ার শীর্ষ পাঁচ ক্রেতা দেশ।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে রাশিয়ার মোট খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২ কোটি ৩০ লাখ টন। আর এ সময়ে মোট রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৫ কোটি থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টন।

অতিসম্প্রতি ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের অধীনে খাদ্যশস্য রপ্তানির মানবিক করিডোর চুক্তি আরও দুই মাস অব্যাহত রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। তবে এই চুক্তি আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে তারা। দেশটির দাবি, খাদ্যশস্য রপ্তানিতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে হবে। কেবল সেক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি হবে তারা।

প্রথম লাইনার হিসেবে ৫০ লাখ টিইইউর মাইলফলক ছুঁতে যাচ্ছে এমএসসি

পরিবহন সক্ষমতার বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনটেইনার লাইনারের তকমা দখলের ২০ মাসের কম সময়ের মধ্যে আরও একটি মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছে মেডিটারেনিয়ান শিপিং কোম্পানি (এমএসসি)। আর অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বিশ্বের প্রথম অপারেটর হিসেবে ৫০ লাখ টিইইউ কনটেইনার পরিবহনের সক্ষমতা অর্জন করবে তারা।

তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান আলফালাইনার বলছে, এমএসসির প্রবৃদ্ধির এই ধারা এখানেই থেমে যাবে না। বরং কোম্পানিটির অর্ডারবুক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, তারা কনটেইনার পরিবহন সক্ষমতা আরও এক-তৃতীয়াংশ বাড়ানোর পথে রয়েছে।

আলফালাইনারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এমএসসির বহরের মোট পরিবহন সক্ষমতা ৪৯ লাখ ৫৬ হাজার ৭২০ টিইইউ। কনটেইনার শিপিংয়ের বৈশ্বিক বাজারে তাদের হিস্যা ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ। শিগগিরই তারা ১৬ হাজার টিইইউ ধারণক্ষমতার নতুন একটি নিও পানাম্যাক্স ক্লাসের কনটেইনার জাহাজ বুঝে পাবে। চীনে নির্মিত জাহাজটি বহরে যোগ হলে চলতি মাসেই ৫০ লাখ টিইইউয়ের মাইলফলক স্পর্শ করবে এমএসসি।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে উন্নয়নের এই ধারবাহিকতায় ২০২৫ সাল নাগাদ এমএসসির কনটেইনার পরিবহন সক্ষমতা ৬০ লাখ টিইইউ পেরিয়ে যাবে বলে আলফালাইনার পূর্বাভাস দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে নবনিযুক্ত চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা নিবেদন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ওএসপি, এনইউপি, পিপিএম, পিএসসি। শনিবার (২০ মে)  গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি মাজার জিয়ারত করেন। মোনাজাতে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনাসহ দেশ এবং জাতির কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণকালে বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে ছিলেন পর্ষদ সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (ই), পিএসসি, বিএন, সদস্য (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম. ফজলার রহমান (সি), বিএসপি, পিএসসি, বিএন, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, সচিব মো. ওমর ফারুকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সিবিএ’র সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।