Home Blog Page 32

বাল্টিক-হরমুজ রেল নেটওয়ার্ক স্থাপনে বাধা কাটছে

রাশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী ভিতালি স্যাভেলিয়েভ (বামে) এবং ইরানের সড়ক ও শহর উন্নয়ন মন্ত্রী মেহেরদাদ বাজ্রপাশ (ডানে) চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন

বাল্টিক উপকূলীয় রুশ বন্দর সেন্ট পিটার্সবুর্গ থেকে হরমুজ প্রণালীর তীরবর্তী ইরানের বন্দর আব্বাস পর্যন্ত রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগটি অনেকদিন ধরেই ঝুলে রয়েছে। অবশেষে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে বড় একটি বাধা দূর হতে চলেছে।

রাশিয়ার উদ্যোগ ‘ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর’ নামের মাল্টিমোডাল বাণিজ্যপথের আওতায় এই নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। সমুদ্রপথের পাশাপাশি রেলপথেও পণ্য পরিবহনের সুযোগ থাকবে এই করিডোরে। তবে করিডোরের রেল নেটওয়ার্কটি ইরান সীমান্ত পর্যন্ত গিয়ে থেমে গিয়েছিল। ইরান অংশে আর কোনো কাজ হয়নি। এবার সেই অংশেই রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে ১৬০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গত বুধবার (১৭ মে) রাশত-আস্তারা রেলপথ নির্মাণ চুক্তির বিষয়ে অনুমোদন দেন। রাশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী ভিতালি স্যাভেলিয়েভ (বামে) এবং ইরানের সড়ক ও শহর উন্নয়ন মন্ত্রী মেহেরদাদ বাজ্রপাশ (ডানে) চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর

নেটওয়ার্কটি চালু হলে আজারবাইজান ও ইরানের রেল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোয় সহজেই পণ্য পাঠাতে পারবে রাশিয়া। ২০০০ সাল থেকে এই করিডোর স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা ও নির্মাণকাজ চলে আসছে। করিডোরের উত্তরাংশে আজারবাইজানের শহর আস্তারা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ হয়ে গেছে। ইরানের সীমান্তবর্তী এই শহরে রেলপথে কার্গো পরিবহন সেবা ২০১৮ সালে শুরুও হয়েছে। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৪ লাখ টন কার্গো ইরান সীমান্তে পৌঁছে যাচ্ছে রেলপথের মাধ্যমে। কিন্তু এরপর আর সেই সুবিধা মিলছে না।

অথচ ইরানের কাস্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী রাশত শহর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হলে এই সমস্যা আর থাকে না। এই রেলপথ নির্মাণে ভৌগলিক কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। কেবল অর্থায়নের অভাবে সেটি করা যাচ্ছিল না। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় সংকটে থাকা ইরান রেলপথটি নির্মাণে অর্থায়ন করতে পারছিল না। নতুন চুক্তির অধীনে ইরান ও রাশিয়া যৌথভাবে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে।

ইরান এই চুক্তিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রাইসি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, এই চুক্তি তেহরান ও মস্কোর মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে।’ রুশ সরকারও চুক্তিটি স্বাক্ষরের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে।

রাশিয়ার শিপিং খাতের ওপর আরও খড়গহস্ত যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য

জাপানের হিরোশিমায় গতকাল (১৯ মে) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জি৭ সম্মেলন। নিশ্চিতভাবেই এ সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু গুরুত্ব পাবে। তবে তার আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও খড়গহস্ত হওয়ার ঘোষণা এসেছে পশ্চিমা নেতাদের পক্ষ থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দেশটির ওপর আরও কয়েকটি খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছে, যার মধ্যে শিপিং খাতও রয়েছে।

রাশিয়ার সমুদ্র পরিবহন খাতের বেশিরভাগ অনুষঙ্গই গত এক বছরের বেশি সময় ধরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। নতুন নিষেধাজ্ঞায় এর সঙ্গে আরও কিছু বিষয় যোগ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য কেবল যে রাশিয়ার নাগরিক বা তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে, তা নয়। বরং তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন বিদেশি সত্তাগুলোও কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে।

পশ্চিমা নেতাদের মতে, নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণের ফলে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, সেটির উৎস সীমিত হবে। ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, ‘আমাদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে রাশিয়া তাদের সামরিক ব্যয়ে লাগাম টানতে বাধ্য হবে। নিষেধাজ্ঞার আওতা বৃদ্ধির ফলে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার সক্ষমতা কমবে পুতিনের। এছাড়া বিভিন্ন ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়ে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কাটাতে চাইছে রাশিয়া। এই পদক্ষেপের ফলে সেই ফাঁকফোকরগুলো বন্ধ করার বৈশ্বিক প্রচেষ্টাও গতি পাবে।’

নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে তিন শতাধিক বিষয়কে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় ২০০ ব্যক্তির সম্পদ, প্রতিষ্ঠান, জাহাজ ও আকাশযানকে জব্দ ও বিশেষ তালিকাভুক্ত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শিপিং কাতে মার্কিন খড়গের আওতায় এসেছে এফএসইউই অ্যাটমফ্লোট। রোসাটম গ্রুপের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিচালিত আইসব্রেকারের বহর। এছাড়া আর্কটিক উপকূলে রাশিয়া যেন তাদের ডিপ সি কোল টার্মিনাল ‘পোর্ট অব ইনডিগা’ প্রকল্প নিয়ে এগুতে না পারে, সেই প্রচেষ্টা রয়েছে পশ্চিমাদের। এই লক্ষ্যে টার্মিনালটির ডেভেলপার আকভামেরিন লিমিটেডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া এটির পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত চারটি কোম্পানিকে বিশেষ নজরদারির তালিকায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়ার লজিস্টিকস ও কার্গো পরিবহনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম এমন প্রায় ১০টি জাহাজের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া ও ইরান নিজেদের মধ্যে লজিস্টিকস নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে ইরানি শিপিং কোম্পানি খাজার সি শিপিং লাইনকে বিশেষ নজরদারির আওতায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান শিপিং লাইনের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটি গত এক বছরে অন্তত ৬০ বার রাশিয়ার বন্দরগুলোয় পোর্ট কল দিয়েছে। এছাড়া ইরানের সঙ্গে সমুদ্রবাণিজ্যে সম্পৃক্ত আরও দুটি কোম্পানিকেও এই তালিকায় রেখেছে মার্কিন প্রশাসন।

এদিকে ব্রিটিশ সরকার রাশিয়ার জ্বালানি, ধাতব শিল্প, সামরিক, আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতের ৮৬ ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া শিপিং খাতে তারা মেরিন অপারেটর এসএসকে পোর্ট, সিরিয়ার পতাকাবাহী জেনারেল কার্গো ভেসেল পাওয়েলকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। রুশ শিপিং কোম্পানি সোভকমফ্লোট গত এক বছরের বেশি সময় ধরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। তারপরও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রাখার অভিযোগে ছয়টি শিপিং কোম্পানি ও ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাজ্য।

এছাড়া ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য পাচার ও নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের চেষ্টার দায়ে ফেসকো ও ভলগাসহ আরও কয়েকটি শিপিং কোম্পানির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য উভয়েই অভিযোগ করেছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা শিপিং কোম্পানিগুলো রুশ সেনাদের দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলোর গুদাম ও খেত থেকে খাদ্যশস্য চুরি করে সেগুলো রাশিয়ার পণ্য হিসেবে বর্ণনা দিয়ে বাইরে পাচার করে আসছে।

যুক্তরাজ্য বলেছে, রাশিয়া ও তাদের সাহায্যকারীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হওয়ার তাদের এই প্রচেষ্টা এখানেই শেষ হচ্ছে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জি৭ সম্মেলনেই ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার হীরা ও ধাতু খাতের ওপর আরও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তার দেশ।

আরও দুই মাস বাড়ল ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের মেয়াদ

ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের আওতায় ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানির মানবিক করিডোর আরও দুই মাসের জন্য অব্যাহত থাকবে। রাশিয়া চুক্তি থেকে সরে আসতে পারে-এমন আশঙ্কার মধ্যেই চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির খবরটি এল। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বিষয়টিকে ‘বিশ্বের জন্য খুশির খবর’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

গত বছরের ২২ জুলাই জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তিটি হয়েছিল। চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ভূমিকা রয়েছে। তিনিই সম্প্রতি টেলিভিশনে বক্তব্য রাখার সময় সুখবরটি জানান। পরে রাশিয়া, ইউক্রেন ও জাতিসংঘ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলো অবরোধ করে রাখে রুশ সেনারা। এতে সমুদ্রপথে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হয়।

চুক্তিতে রাশিয়ার শস্য রপ্তানিতেও কিছু সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়ার অভিযোগ, সেই সুবিধা তারা পাচ্ছে না। এ কারণে ক্রেমলিন হুমকি দেয়, তাদের শর্তগুলো পূরণ না হলে ১৮ মের পর চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত তারা আরও দুই মাসের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ‘বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখার বড় একটি সুযোগ এটি। তবে এই অবদান কেবল কথায় নয়, চুক্তি অনুযায়ী রাখা হবে। চরম খাদ্যসংকটে থাকা দেশগুলোকে সাহায্য করা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইস্তাম্বুলে গত বছর যে চুক্তি হয়েছিল, সেটির বিষয়ে আমাদের নীতিগত পর্যালোচনায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নে যেসব ঘাটতি রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব পূরণ করতে হবে।’

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক গম সরবরাহে রাশিয়া ও ইউক্রেন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল এই দুই দেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর বহুমুখী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে রাশিয়া থেকে খাদ্য ও সার রপ্তানি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই। কিন্তু রাশিয়ার অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার জেরে আর্থিক লেনদেন, লজিস্টিকস ও বিমা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তাতে দেশটি থেকে খাদ্য ও সার সরবরাহও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

কঠোর নিঃসরণ নীতিমালার কারণে আগামী দশ বছরে দ্বিগুণ জাহাজ ভাঙা হবে: বিমকো

সমুদ্র শিল্পে নিঃসরণ প্রতিরোধে নিত্যনতুন সব বিধিবিধান চালু করা হচ্ছে। বিশেষ করে জাহাজগুলোর নিঃসরণ প্রতিরোধে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ। জ্বালানি রূপান্তরের পালে হাওয়া দিতে এরই মধ্যে বিভিন্ন খাতে এসেছে নতুন নিয়ম। সামনের দিনগুলোয় চালু হতে পারে আরও কঠোর বিধান। এর প্রভাবে আগামী এক দশকে রিসাইক্লিংয়ের জন্য জাহাজ বিক্রির সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। শিপিং খাতসংশিষ্ট আন্তর্জাতিক সংগঠন বাল্টিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম কাউন্সিল (বিমকো) এমনটাই মনে করছে।

সংগঠনটি বলছে, নিঃসরণ প্রতিরোধে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনসহ (আইএমও) অন্যান্য সংস্থাগুলো যেসব নীতিমালা এরই মধ্যে গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতে করতে যাচ্ছে, সেগুলো প্রতিপালনের জন্য জ্বালানি ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। এর ফলে নতুন নতুন সব জাহাজ নির্মাণের প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে মালিকরা পুরনো জাহাজগুলোকে ভাঙার জন্য শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোর কাছে বিক্রি করবে।

অবশ্য বিমকো একটি বিষয়ে সতর্কও করে দিয়েছে। তারা বলেছে, নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে স্বাভাবিক সময়ের আগেভাগেই রিসাইক্লিংয়ের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে সেই জাহাজ ভাঙা শিল্পই আবার নিঃসরণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বিমকোর চিফ শিপিং অ্যানালিস্ট নিলস রাসমুসেন বলেছেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপের ফলে অনেক জাহাজকে তাদের নির্ধারিত বয়স হয়ে যাওয়ার আগেই ভাঙার জন্য ইয়ার্ডগুলোর কাছে বিক্রি করা হবে। ২০২৩ থেকে ২০৩২ সালের মধ্যে মোট ৬০ কোটি ডিডব্লিউটি ধারণক্ষমতার ১৫ হাজারের বেশি জাহাজ রিসাইকেল করা হতে পারে। এটি গত দশ বছরের সংখ্যার দ্বিগুণ।’

বিমকোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দশ বছরে ৭ হাজার ৭৮০টি ও মোট ২৮ কোটি ৫০ ডিডব্লিউটি ধারণক্ষমতার জাহাজ ভাঙা হয়েছে। এর বেশিরভাগই (৬০ শতাংশ) নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে। একইভাবে ২০০০-এর দশকে নির্মীত জাহাজগুলো আগামী দশ বছরে জাহাজভাঙা শিল্পের জন্য বড় উৎস হয়ে দাড়াবে। ধারণক্ষমতার বিচারে ১৯৯০-এর দশকের চেয়ে ২০০০-এর দশকে জাহাজ নির্মীত হয়েছে দ্বিগুণ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আগামী দশকে জাহাজ ভাঙার পরিসরও বাড়বে। এদিকে ২০১০-এর দশকে জাহাজ নির্মাণ হয়েছে আগের দশকের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেশি। ফলে আগামী ১০ বছর-পরবর্তী থেকে ২০ বছরের মধ্যবর্তী সময়ে জাহাজ ভাঙার পরিমাণ এখনকার চেয়ে আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিমকো।

সংগঠনটি জানিয়েছে, সাধারণত বৈশ্বিক বহরে বাল্ক ক্যারিয়ার, ট্যাংকার ও কনটেইনার শিপ মিলিয়ে মোট ডিডব্লিউটির প্রায় অর্ধেক জাহাজ ২৫ বছর বয়স হয়ে গেলে রিসাইকেল করা হয়। এছাড়া ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী জাহাজের ৯০ শতাংশের গন্তব্য হয় শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলো।

ব্রাজিলে বন্দর সংস্কারে ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করবে এপিএম টার্মিনালস

ব্রাজিলে কয়েকটি বন্দরের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে ১০০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে ডেনিশ শিপিং জায়ান্ট মায়েরস্কের সাবসিডিয়ারি টার্মিনাল অপারেটর এপিএম টার্মিনালস। আগামী তিন বছরে এই বিনিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

ব্রাজিলের এসব বন্দরের মধ্যে রয়েছে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর সান্তোস, উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর সুয়াপে। এছাড়া আরও তিনটি বন্দর টার্মিনাল এবং উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলে থাকা নিজেদের অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোগুলোর উন্নয়নেও বিনিয়োগ করবে এপিএম।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, মোট বিনিয়োগের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (৩২ কোটি ডলার) ব্যয় করা হবে সুয়াপে বন্দরে একটি নতুন টার্মিনালের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকাজে। এছাড়া সান্তোস পোর্টে তাদের পরিচালনাধীন একটি টার্মিনালের সংস্কার কাজে ব্যয় হবে ৩১ কোটি ডলার। এই টার্মিনালটি পরিচালনায় এপিএমের সঙ্গে অংশীদারিত্বে রয়েছে মেডিটারেনিয়ান শিপিং কোম্পানির (এমএসসি) সাবসিডিয়ারি টার্মিনাল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (টিআইএল)।

এই দুটি বন্দর ছাড়াও তিনটি টার্মিনাল ও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোগুলোর উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলারের বেশি ব্যয় করবে এপিএম।

ঐতিহাসিক এলএনজি রপ্তানি প্রকল্প চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ইসরায়েল-সাইপ্রাস

ইসরায়েলের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে সাইপ্রাসের উপকূলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের লক্ষ্যে একটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে দেশ দুটির মধ্যে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে শিগগিরই।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোদৌলিদেসের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উভয় নেতা একটি চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।

এই পাইপলাইন একটি এলএনজি প্লান্টের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এর ফলে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে গ্যাসের বিশাল মজুদ থেকে এলএনজি রপ্তানির বড় সম্ভাবনা তৈরি হলো। এতে করে এই অঞ্চলটি যেমন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে, তেমনি ইউরোপীয় বাজারও তাদের এলএনজি চাহিদা মেটানোর জন্যও একটি বিকল্প উৎস পাবে।

গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের বিষয়ে ইসরায়েল ও সাইপ্রাসের মধ্যে আলোচনা চলে আসছে অনেক বছর ধরে। তবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে দুই পক্ষের মধ্যে যে নতুন উদ্যোমে আলোচনা শুরু হয়েছে, তাতেই চুক্তির আশার পালে হাওয়া লেগেছে।

নর্থ-সাউথ ট্রেড রুটের জন্য নতুন জাহাজ নির্মাণ করছে রাশিয়া

রাশিয়া সম্প্রতি নতুন এক ক্লাসের কনটেইনার জাহাজ নির্মাণ করছে, যেগুলো প্রয়োজনে ড্রাই বাল্ক কার্গোও পরিবহন করতে পারবে। এছাড়া নর্থ-সাউথ ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট করিডোরে রাশিয়ার প্রভাব বিস্তারেও বড় ভূমিকা রাখবে জাহাজগুলো। পাশপাশি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া যে তাদের জাহাজ নির্মাণ সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে, তারও প্রমান এটি।

সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত ইউনাইটেড শিপবিল্ডিং করপোরেশনের অধীনস্থ লোটোস শিপইয়ার্ডে এই ক্লাসের প্রথম জাহাজের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এই ক্লাসের মোট চারটি জাহাজ নির্মাণের চুক্তি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। জাহাজগুলোর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৪৬৩ ফুট। প্রস্থ ৫৫ ফুট আর সর্বোচ্চ গভীরতা হবে ২০ ফুট। জাহাজগুলোকে ভলগা-ডন ক্যানেলে চলাচলের উপযোগী সর্বোচ্চ আকারে নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৯৫০-এর দশকে খুলে দেওয়া ৬০ মাইল দীর্ঘ এই জলপথের কারণে সেন্ট পিটার্সবুর্গ থেকে কাস্পিয়ান সাগরে সরাসরি জাহাজ চলাচল করতে পারে।

রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, নর্থ-সাউথ ট্রেড করিডোরের জন্য দীর্ঘমেয়াদে অন্তত ৪৫টি ভলগা-ডন ম্যাক্স ক্লাস জাহাজ লাগবে। প্রতিটি জাহাজ নির্মাণে খরচ হবে আনুমানিক ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় আস্ত্রাখান রিজিওনের শিল্প, বাণিজ্য ও জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আপাতত এই করিডোরের জন্য ২১টি জাহাজ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

যে চারটি জাহাজ নির্মাণের চুক্তি হয়েছে, তার দুটি ২০২৪ সালে এবং বাকি দুটি ২০২৫ সালে সরবরাহ করা হবে। আর যেটির নির্মাণ শুরু হয়েছে, সেটি আগামী বছরই কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন জাহাজগুলো নর্থ-সাউথ ট্রেড করিডোরে বাণিজ্যের পরিমাণ অনেকখানি বাড়াবে। বর্তমানে এই করিডোর দিয়ে বছরে ১ কোটি ৭০ লাখ টন পণ্য পরিবহন হয়। ২০৩০ সাল নাগাদ এই পরিমাণ ৩ কোটি ২০ লাখ টনে উন্নীত হবে বলে আশা করছেন তারা।

প্রধান বন্দরগুলোয় হাইড্রোজেনভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহারের পরিকল্পনা ভারতের

নিজেদের বন্দর খাতে জলবায়ু কর্মসূচি নিয়ে আরও অগ্রসর হচ্ছে ভারত। দেশটির সরকার সম্প্রতি ‘হরিৎ সাগর’ শীর্ষক একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে, যার মূল লক্ষ্য হলো ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশটির শীর্ষ ১২টি বন্দরে যেন হাইড্রোজেনভিত্তিক জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণে হাইড্রোজেনকে সম্ভাবনাময় একটি বিকল্প জ্বালানি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে সারা বিশ্বেই। ভারতও এই সবুজ জ্বালানি ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে। হরিৎ সাগর সেই উদ্যোগেরই ফসল। এই পরিকল্পনায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানোর কথা বলা হয়েছে। দেশটির নৌপরিবহন মন্ত্রী শ্রী সর্বনন্দা সোনোয়াল বলেছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি টন কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের সময় কার্বন নিঃসরণ এক-চতুর্থাংশ ও ২০৪৭ সাল নাগাদ দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর সার্বিক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।

হরিৎ সাগর পরিকল্পনায় শীর্ষ ১২ বন্দরে ২০৩০ সাল নাগাদ এলএনজি বাংকারিং সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আর গ্রিন হাইড্রোজেন অথবা গ্রিন এমোনিয়া বাংকারিং সেবা পাওয়া যাবে ২০৩৫ সাল নাগাদ।

এছাড়া ২০৩০ সাল নাগাদ বন্দরগুলোর মোট যানবাহন ও সরঞ্জামের অর্ধেক ও ২০৪৭ সাল নাগাদ ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ শক্তিচালিত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এই বিদ্যুৎ সরবরাহে নবায়নযোগ্য উৎসের ব্যবহার বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। ২০৩০ সাল নাগাদ বন্দর পরিচালনায় ব্যবহৃত বিদ্যুতের ৬০ শতাংশ ও ২০৪৭ সাল নাগাদ ৯০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে সরবরাহের কথা বলা হয়েছে হরিৎ সাগরে। এই ১২টি বন্দর আগামী তিন বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করবে।

২০৭০ সাল নাগাদ পুরোপুরি নিঃসরণমুক্ত হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের। প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা থেকে তা আরও দুই দশক বেশি। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে সরকার বলছে, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তাদের স্বল্প খরচের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের সুবিধা আরও কয়েক বছর অব্যাহত রাখার সুযোগ দিতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ

পণ্য রপ্তানির প্রধান গেটওয়ে চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রোধে চট্টগ্রাম বন্দরের সব ধরণের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মহাবিপদ সংকেত ৮ ঘোষণার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

ভোরের জোয়ার থেকে শনিবার দুপুরের মধ্যেই জেটিতে অবস্থান করা ২১টি জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সতর্কতার অংশ হিসেবে বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত সকল লাইটারেজ জাহাজকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে ৬০টি জাহাজ অবস্থান করলেও সেখানে কোন পণ্য ওঠানামা হচ্ছেনা।

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের সময়কালে বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয়ে চারটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। মেরিন, ট্রাফিক, নিরাপত্তা ও সচিব বিভাগে একটি করে কন্ট্রোল রুম চালু রয়েছে। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে রোস্টার ভিত্তিতে দায়িত্ব বন্টন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করণীয় ঠিক করতে একাধিক সভা করেছে বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এসব সভায় সভাপতিত্ব করেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

আরব উপসাগরে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান জোরদার করবে যুক্তরাষ্ট্র

সাম্প্রতিক মাসগুলোয় উপসাগরীয় এলাকায় বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের ওপর ইরানের হস্তক্ষেপের জেরে সেখানে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান জোরদার করবে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র জন কিরবি সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছেন।

কিরবির দাবি, গত দুই বছরে ইরান আন্তর্জাতিক পতাকাবাহী ১৫টি জাহাজকে হয়রানি, হামলা অথবা হস্তক্ষেপ করেছে। এর মাধ্যমে তারা জাহাজগুলোকে মুক্তভাবে চলাচলের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। এ কারণে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরব উপসাগরে আমাদের প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে বেশি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এদিকে কিরবি জানান, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে।