Home Blog Page 33

মুনাফায় ধস দেখার পর ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটছে এইচএমএম

ওশান ফ্রেইট মার্কেটের চাঙ্গাভাব এখন আর নেই। বরং সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের ভাড়া এখন পড়তির দিকে। এদিকে আবার চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৯০ শতাংশ কমেছে মুনাফা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাধ্য হয়েই ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে দক্ষিণ কোরীয় কনটেইনার লাইনার এইচএমএম।

করোনা মহামারির মন্দা কাটিয়ে ভোক্তাবাজারে যে ঊর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছিল, তা শেষ হয়েছে গত বছর। চাহিদা কমার ফলশ্রুতিতে পণ্য পরিবহনের চাপ ও ফ্রেইট রেট দুটোই কমেছে। ইস্ট-ওয়েস্ট ট্রেড লেনেও এর ব্যতিক্রম নয়। আর এই রুটেই ব্যবসা বেশি এইচএমএমের। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় ও মুনাফা দুটোই কমেছে।

আলোচ্য সময়ে এইচএমএমের আয় বছরওয়ারি কমেছে ৫৮ শতাংশ। আর মুনাফা কমেছে আরও বেশি-৯০ শতাংশ। বছরওয়ারি হিসাব বাদ দিলে অবশ্য প্রথম প্রান্তিকে তাদের মুনাফার পরিমাণকে গ্রহণযোগ্যই বলা যায়। এ সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে ২৩ কোটি ডলার। তবে ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসের ২৪০ কোটি ডলার মুনাফার তুলনায় তা অনেক কম।

এইচএমএম বলছে, জ্বালানি ও কাঁচামালের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে ভোক্তামূল্যও বেড়ে গেছে। আর এর ফলশ্রুতিতে ভোক্তাব্যয়ে মন্দাভাব তৈরি হয়েছে। এই মন্দা আরও বেশ কিছু সময় চলবে। কোম্পানিটির মতে, বৈশ্বিক অর্থনীতির নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে এবং ভোক্তাদের আস্থাসূচকে নিকট ভবিষ্যতে উন্নতি দেখার সম্ভাবনা কম। এই অবস্থার প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি খাতে ব্যয় সংকোচন ও পরিচালন কার্যদক্ষতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে এইচএমএম।

উল্লেখ্য, এর আগে এইচএমএমের প্রতিদ্বন্দ্বী মায়েরস্কও ব্যয় ব্যবস্থাপনায় একই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।

আলু রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পেতে লাগবে ইপিবির সনদ

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রত্যয়ন সনদপত্র থাকলেই আলু রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতদিন আলু রপ্তানিতে নগদ সহায়তার জন্য বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিইএ) প্রত্যয়নপত্র লাগতো। কিন্তু আদালতে রিটের কারণে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন ও সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার স্বার্থে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

দেশে অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আলু রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিইএ) প্রত্যয়নপত্র দাখিল সংক্রান্ত রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রত্যয়ন সনদপত্র দাখিলের শর্ত বহাল থাকবে।

হামবুর্গ বন্দরে কনটেইনার টার্মিনালের শেয়ার কিনতে কসকোর প্রস্তাবে জার্মানির সম্মতি

রাজনৈতিকভাবে তীব্র সমালোচনা ছিল। ছিল বিভিন্ন পক্ষের বিরোধিতাও। তা সত্তেও হামবুর্গ সমুদ্রবন্দরের একটি কনটেইনার টার্মিনালের শেয়ার কেনার বিষয়ে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি কসকো শিপিংয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে জার্মান সরকার। জার্মান পোর্ট লজিস্টিকস ফার্ম এইচএইচএলএ বুধবার (১০ মে) এ কথা জানিয়েছে।

গত মাসে এই ক্রয়প্রস্তাবের বিষয়ে কিছু শর্ত আরোপ করে জার্মানির মন্ত্রিসভা। সেখানে কসকোর ক্রয়কৃত শেয়ারের পরিমাণ ২৫ শতাংশের নিচে থাকার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়। এদিকে চলতি বছর টোলেরোর্ট টার্মিনালটিকে ‘সংবেদনশীল অবকাঠামো’ হিসেবে ঘোষণা করেছে জার্মান সরকার। চুক্তিতে সেই বিষয়টিকেও বিবেচনায় নেওয়া লাগত। বার্লিন জানিয়েছে, এইচএইচএল ও কসকো চুক্তিটি নিয়ে পুনরায় কাজ করে যে খসড়া দাঁড় করিয়েছে, তা এসব শর্ত পূরণ করে। এ কারণে এই ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, টার্মিনালটির ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ শেয়ার কিনবে কসকো।

গত মাসে জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তারা কসকোর ক্রয়প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে দেখছে। সে সময় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জার্মানির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল, পর্যালোচনার মাধ্যমে যেন গঠনমূলক ও যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তটিই নেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের উদ্বোধন করবেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল তার কার্যালয়ে বন্যা পরিস্থিতি ও পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার দুই দিনব্যাপী ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি) উদ্বোধন করবেন। আঞ্চলিক দেশগুলোর সহযোগিতা জোরদারে আলোচনার জন্য এতে অন্তত ২৫ দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোনেম। এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।

‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও অংশীদারত্ব’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে শক্তিশালী করতে রোডম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে মূল স্টেকহোল্ডাররা দুদিনের এ অনুষ্ঠানে একত্রিত হবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা আশা করছি, এ কনফারেন্স থেকে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলো যে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, তা মোকাবেলায় বেশকিছু সুপারিশ আসবে। এ এলাকার ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

হানওয়া কর্তৃক অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দাইয়ু পর্ষদের

আর্থিক সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ু শিপবিল্ডিং অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (ডিএসএমই) বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ নতুন ব্যবস্থাপনা ও পর্ষদ সদস্য নির্বাচনসহ এসব পরিবর্তনের প্রস্তাবনায় অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া হানওয়া গ্রুপের অংশ হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় রিব্র্যান্ডিংয়ের বিষয়েও সবুজ সংকেত দিয়েছে পর্ষদ। এতে করে হানওয়া গ্রুপ কর্তৃক ডিএসএমই অধিগ্রহণের পথে আরও একটি বাধা দূর হলো।

হানওয়ার দাইয়ু অধিগ্রহণ নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা ও উদ্যোগ চলে আসছে। মাস ছয়েক আগে দাইয়ুর শেয়ার কেনার বিষয়ে কোম্পানিটির সিংহভাগ শেয়ারের মালিক কোরিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি করে হানওয়া। তবে অধিগ্রহণ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন যার অন্যতম। এখন হানওয়াকে আরেকটি ধাপ পেরুতে হবে। সেটি হলো দাইয়ুর শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন পাওয়া। পরিচালনা পর্ষদের সুপারিশগুলোর অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি মাসেই শেয়ারহোল্ডারদের সভা হওয়ার কথা রয়েছে।

কোরিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে, দাইয়ুর ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ মালিকানা কিনে নেবে হানওয়া। এর বিনিময়ে শিপইয়ার্ডটিকে মূলধন হিসেবে প্রায় ১৪০ কোটি ডলার দেবে তারা। এ লক্ষ্যে দাইয়ুর ১০ কোটির বেশি নতুন শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে, যেগুলো হানওয়ার পাঁচটি ডিভিশন ভাগাভাগি করে নেবে।

এর আগেও আর্থিক সংকটে পড়েছিল দাইয়ু। সেবার কোম্পানিটিকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে সরকার। ১৯৯৯-২০০১ মেয়াদের সেই বেইলআউট কর্মসূচির মাধ্যমেই দাইয়ুর সিংহভাগ শেয়ারের মালিক হয় রাষ্ট্রায়ত্ত কোরিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। তবে হানওয়ার বিনিয়োগের পর ব্যাংকটি আর দাইয়ুর শীর্ষ শেয়ারমালিক থাকছে না। কোম্পানিটিতে তাদের শেয়ার ২৮ শতাংশে নেমে আসবে।

এর আগে ডিএসএমইকে অধিগ্রহণ করতে চেয়েছিল স্বদেশী জায়ান্ট হুন্দাই হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ। কিন্তু ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) আপত্তির কারণে শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে তারা। ইসির আশঙ্কা ছিল, এই অধিগ্রহণের ফলে বাজার প্রতিযোগিতা হুমকির মুখে পড়ে যাবে। আর তাতে জাহাজ কিনতে ক্রেতাদের ব্যয় বেড়ে যাবে। অবশ্য অধিগ্রহণে বাধা দেওয়ার আইনগত অধিকার ইসির ছিল না। ফলে এটি ঠেকাতে তারা যেটি করেছিল সেটি হলো, অধিগ্রহণের পর কোম্পানিটির বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিল। আর এই শুল্ক আরোপ করলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়ত হুন্দাইয়ের জন্য।

চট্টগ্রাম-দুবাই কনটেইনার জাহাজ সার্ভিস চালু

দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রধান গেটওয়ে চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: বন্দর বার্তা

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেবেল আলী বন্দরে কনটেইনার জাহাজ সার্ভিস চালু হয়েছে। নতুন সার্ভিসের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রপ্তানি পণ্য ১৫ দিনে জেবেল আলী বন্দরে এবং সেখান থেকে ১০ দিনে চট্টগ্রামে আনার সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা। এতে সময়, অর্থ দুটিই সাশ্রয় হবে।

মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ এই দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের হাব হলেও দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে কোনো জাহাজ সার্ভিস চালু ছিল না। এর ফলে দুবাই ও আবুধাবিভিত্তিক আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন করা হতো বিভিন্ন ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর দিয়ে। এতে বাড়তি সময় লাগত এবং ভাড়াও বেশি হতো।

ফ্রান্সভিত্তিক শিপিং প্রতিষ্ঠান ‘সিএমএ-সিজিএম’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকেই সরাসরি জেবেল আলী বন্দরে এই কনটেইনার জাহাজ সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। রপ্তানি পণ্য পরিবহনের জন্য ‘হং এন’ জাহাজটি গত ৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি জেটিতে ভিড়েছে। পণ্য বোঝাই করে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ দুবাইয়ের জেবেল আলী বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে ৭ মে।

কেন্দ্রীয়ভাবে সিএমএ-সিজিএম কর্তৃপক্ষ বলেছে, নতুন সার্ভিসে আরব আমিরাত থেকে আমদানিতে বড় সুফল আনবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মুন্দ্রা, নভোসেবা বন্দর হয়ে রপ্তানি পণ্য ভারতের বিভিন্ন স্থানে দ্রুত পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আগে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হয়ে জেবেল আলী থেকে চট্টগ্রামে পণ্য পাঠাতে ৩০-৩৫ দিন সময় লাগত। আর ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে জট লেগে অবস্থা আরো কঠিন হতো। এখন ১১ থেকে ১৭ দিনে চট্টগ্রামে পণ্য পৌঁছানোর খবর আমরা পেয়েছি। আমদানির ক্ষেত্রে এটি বড় সুফল অর্থাৎ ১০-১৫ দিন সাশ্রয় হবে। ভাড়া একটু বেশি হলেও সময় ও ভোগান্তি কমে আমদানিতে সুফল আসবে।

উদ্যোক্তারা এই সার্ভিসটির নাম দিয়েছেন ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া গালফ এক্সপ্রেস’ অর্থাৎ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের তিনটি সমুদ্রবন্দর এবং আরব আমিরাতের দুটি বন্দরের সঙ্গে এই সার্ভিস পরস্পরকে সংযুক্ত করবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিয়ে প্রথমে কলম্বো বন্দরে, এরপর ম্যাঙ্গালোর বন্দর, সেখান থেকে নভোসেবা বন্দর হয়ে মুন্দ্রা বন্দরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে সরাসরি চলে যাবে জেবেল আলী বন্দরে, এরপর আবুধাবির খালিফা বন্দরে। এতে সময় লাগবে ১৫ দিন।

অপহরণের পাঁচ সপ্তাহ পর উদ্ধার মোঞ্জাসা রিফর্মারের ছয় ক্রু

গিনি উপসাগরে পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় আগে ডেনিশ জ্বালানি কোম্পানি মোঞ্জাসার একটি প্রডাক্ট ট্যাংকার থেকে অপহৃত ছয় ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার একটি অজ্ঞাত স্থান থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তারা সবাই সুস্থ রয়েছেন। এই খবর জানানোর পাশাপাশি মোঞ্জাসা পশ্চিম আফ্রিকায় জলদস্যুতার ঝুঁকি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

গত ২৫ মার্চ কঙ্গো উপকূল থেকে প্রায় ১৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থানকালে মোঞ্জাসা রিফর্মার নামের ট্যাংকারটি জলদস্যুদের হামলার শিকার হয়। এ সময় জলদস্যুরা ট্যাংকারটিতে আরোহন করে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এরপর থেকে ট্যাংকারটির কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। নিরাপত্তা বাহিনীর নিরন্তর অভিযানে পাঁচদিন পর ফরাসি নৌবাহিনীর একটি ড্রোন গিনি উপসাগরে ট্যাংকারটির সন্ধান পায়। এরপর ফরাসি একটি প্যাট্রল বোট ট্যাংকারটির অবস্থানের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু সেটি পৌঁছনোর আগেই জলদস্যুরা মোঞ্জাসা রিফর্মারের ১৬ জন ক্রুর মধ্যে ছয়জনকে অপহরণ করে চলে যায়।

মোঞ্জাসা জানিয়েছে, অপহৃত ক্রুদের যে অবস্থায় রাখা হয়েছিল, সেটি বিবেচনায় নিলে উদ্ধারের সময় তাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা বেশ ভালো রয়েছে বলা যায়। উদ্ধারের পর তাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপহৃত ছয়জন ক্রুর কেই ডেনমার্কের নাগরিক নয় উল্লেখ করে মোঞ্জাসা কঠিন পরিস্থিতিতে সাহসী ভূমিকা রাখায় ট্যাংকারটির সব ক্রুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

বিপদসংকুল পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে মোঞ্জাসা। এই প্রথম যে তাদের জাহাজ জলদস্যুতার শিকার হলো, তা নয়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তাদের আরেকটি প্রডাক্ট ট্যাংকার আনুকেত অ্যাম্বার একই ধরনের ঘটনায় মুখোমুখী হয়েছিল। সে সময় ট্যাংকারটি ভাড়া করেছিল নরবাল্ক শিপিং।

ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন বসছে আগামী শুক্রবার (১২ মে)। সম্মেলনে যোগ দিতে সংক্ষিপ্ত সফ‌রে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র উল্লেখ করে এ সংবাদ দিয়েছে বণিকবার্তা।

জানা গেছে, ১২ ও ১৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আয়োজন করছে এ কনফারেন্স। ষষ্ঠবারের মতো সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১২ মে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে আগত অতিথিদের সম্মানে তার পক্ষ থেকে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হবে।

ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে সেই দেশের সরকারের সঙ্গে যৌথ আয়োজনে ‘ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স’ নামক এ সম্মেলন নিয়মিত আয়োজন করে আসছে। সম্মেলনটি মূলত ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে আয়োজন করা হলেও এতে পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে।

অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে এক বা দুজন রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা মন্ত্রী ও বিভিন্ন সেক্টরের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য প্যানেলিস্ট, শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

১২ মে উদ্বোধনের আগে বেশ কয়েকটি প্রাক-সম্মেলন কর্মশালা ও ১৩ মে মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন হবে। মরিশাসের রাষ্ট্রপতি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে সম্মতি জানিয়েছেন। এ ছাড়া আরো কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাপানের ভাইস মিনিস্টার সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন।

বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিসে যোগ হল আরও চার সেবা

অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টালে আরও চারটি নতুন সেবা যুক্ত করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা)। মঙ্গলবার (৯ মে) বিডার কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন এসব সেবার উদ্বোধন করেন।

বিডা জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার, ওয়েভার অব কন্ডিশন ৭ প্রদান যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের সিঙ্গেল প্রসেস (নামের ছাড়পত্র, কোম্পানি নিবন্ধন ও পেমেন্ট) এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দখল সনদ প্রদানসহ মোট চারটি সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এই সংযুক্তির ফলে এখন থেকে বিডার ২০টি সেবা এবং অন্যান্য ২২টি প্রতিষ্ঠানের ৪৭ সেবাসহ মোট ৬৭টি সেবা অনলাইন ওএসএস সিস্টেমের মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব হবে।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, এখন বিনিয়োগকারীরা ঘরে বসেই আরও বেশি বিনিয়োগ সেবা পাবেন, অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টালের সেবা গ্রহণের জন্য বিনিয়োগকারীদের অফিসে আসার কোনও প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোনও প্রান্ত থেকেই সহজেই মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই কাঙ্ক্ষিত সেবা গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

রাশিয়া থেকে রেকর্ড সিফুড আমদানি জাপানের

২০২২ সালে রাশিয়া থেকে রেকর্ড ১২০ কোটি ডলারের (১৫ হাজার ৫২০ কোটি ইয়েন) সিফুড আমদানি করেছে জাপান। ১৯৯২ সালের পর আমদানির পরিমাণ এটাই সর্বোচ্চ। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে।

এই পরিসংখ্যানের ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হলেও সিফুডের চাহিদা পূরণে মস্কোর ওপর নির্ভরশীলতা এখনো রয়েছে টোকিওর।

গত বছর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর কিছু ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাপান, যার মধ্যে ভদকা ও প্রক্রিয়াজাত কাঠ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো পদক্ষেপও ছিল। অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় দেশটি সিফুডকে রাখেনি। তাদের আশঙ্কা ছিল, রাশিয়া থেকে সিফুড আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে জাপানের বাজারে পণ্যটির বড় ধরনের সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

জাপানের নর্দার্ন টেরিটরিজ ও রাশিয়ার কুরিল দ্বীপপুঞ্জের সর্বদক্ষিণের অঞ্চলের মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে জাপান ও রাশিয়ার মধ্যে। এই বিরোধপূর্ণ জলসীমায় গত বছর জাপানের মৎস্য আহরণ কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে রাশিয়ার মৎস্য আহরণ। বিষয়টি রাশিয়া থেকে জাপানের সিফুড আমদানি বেড়ে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।

এর আগে জাপান রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি সিফুড আমদানি করেছিল ২০১৮ সালে; ১৪ হাজার ২০ কোটি ইয়েনের। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির আমদানি উৎসের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান। তাদের আগে রয়েছে চিলি ও যুক্তরাষ্ট্র। জাপানের মোট সিফুড চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশই পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে।